রাষ্ট্রপ্রধান
রাষ্ট্রপ্রধান হলেন একজন সুপরিচিত ব্যক্তি যিনি সরকারীভাবে রাষ্ট্রকে ঐক্য ও বৈধতায় সংগঠিত করেন।[1] রাষ্ট্রে সরকারের ধরন এবং ক্ষমতা পৃথকীকরণের উপর নির্ভর করে রাষ্ট্রপ্রধান একজন আনুষ্ঠানিক ব্যক্তিত্ব (যেমন যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্র) বা একযোগে সরকারপ্রধান এবং অন্য ক্ষমতার (যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, যিনি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কও) অধিকারী হতে পারে।
রাজনীতি |
---|
সম্পর্কিত ধারাবাহিকের অংশ |
রাজনীতি প্রবেশদ্বার |
যুক্তরাজ্য বা ভারতের মতো সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধানের সাধারণত বেশিরভাগই আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা থাকে এবং সরকার প্রধান আলাদা থাকে।[2] তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কিছু সংসদীয় ব্যবস্থায় একজন নির্বাহী রাষ্ট্রপতি রয়েছেন যা রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধান উভয়ের ভূমিকাই পালন করেন। তেমনি কিছু সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান সরকার প্রধান না হয়েও উল্লেখযোগ্য ক্ষমতার অধিকারী হন, যেমন মরক্কো। বিপরীতে, ফ্রান্সের মতো আধা-রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান উভয়েই রাষ্ট্রের প্রধান নেতা হিসাবে রয়েছেন (তারা মূলত দেশটির নেতৃত্বকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন)। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধানই হলেন সরকার প্রধান।[1]
প্রাক্তন ফরাসী রাষ্ট্রপতি শার্ল দ্য গোল ফ্রান্সের বর্তমান সংবিধান বিকাশের সময় (১৯৫৮) বলেছিলেন যে রাষ্ট্রপ্রধানে জাতির চেতনায় মূর্ত থাকা উচিত।[3]
তথ্যসূত্র
- ফোকস, পৃ. ১১০–১১ "[The head of state] being an embodiment of the State itself or representatitve of its international persona."
- Foakes, p. 62
- কুবিসেক, পল (২০১৫)। European Politics। Routledge। পৃষ্ঠা 154–56, 163। আইএসবিএন 978-1-317-34853-5।
গ্রন্থপঞ্জি
- ফোকস, জোয়ান (২০১৪)। The Position of Heads of State and Senior Officials in International Law। অক্সফোর্ড আন্তর্জাতিক আইন গ্রন্থাগার। অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-964028-7।