রাষ্ট্রধর্ম

রাষ্ট্রধর্ম (যাকে ধর্মীয় রাষ্ট্র বা সরকারী ধর্মও বলা হয়) হল একটি ধর্ম সরকারীভাবে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র দ্বারা অনুমোদিত। সরকারী আছে এমন একটি রাষ্ট্র (যা স্বীকারোক্তিমূলক রাষ্ট্র হিসাবেও পরিচিত), যদিও ধর্মনিরপেক্ষ নয়, অগত্যা একটি ধর্মতন্ত্রও নয়। রাষ্ট্র ধর্ম হলো একটি সরকারী বা সরকার-অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান। তবে এক্ষেত্রে ধর্মতন্ত্রের মতো রাষ্ট্রকে ধর্মের নিয়ন্ত্রণে থাকার প্রয়োজন নেই বা রাষ্ট্র-অনুমোদিত ধর্ম অপরিহার্যভাবে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেই।

ইতিহাস

রাষ্ট্রধর্ম মানব ইতিহাস জুড়ে প্রায় সব ধরনের সংস্কৃতিতে পরিচিত। প্রাগৈতিহাসিক যুগেও রাষ্ট্রধর্মের প্রচলন ছিল। ধর্মীয় উপাসনা এবং এর সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি প্রাচীন ল্যাটিন পণ্ডিত মার্কাস টেরেন্টিয়াস ভারোর দ্বারা প্রথম আলোচিত হয়েছিল। প্রথম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত খ্রিস্টান চার্চটি ছিল আর্মেনিয়ান অ্যাপোস্টলিক চার্চ, যা ৩০১ সিইতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [1]

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রধর্ম

ইসলাম

ইহুদিধর্ম

অনির্দিষ্ট

ক্যাথলিক

পূর্বদেশীয় অর্থোডক্স

প্রটিসট্যানট মতবাদ

অন্যান্য/মিশ্র

বৌদ্ধধর্ম

হিন্দুধর্ম

মুসলিম রাষ্ট্রে রাষ্ট্রধর্ম

মধ্যপ্রাচ্যে, প্রধানত মুসলিম জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সরকারী ধর্ম হিসাবে ইসলাম রয়েছে, যদিও নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে ধর্মীয় বিধিনিষেধের মাত্রা দেশ অনুসারে ভিন্ন। সৌদি আরবের শাসকরা ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্মীয় উভয় শক্তি ব্যবহার করে থাকেন। আর ইরানের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপতিদের ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। তুরস্ক, (যেখানে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা রয়েছে) আতাতুর্কের সংস্কারের পরে এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হয়ে ওঠে।

সমসাময়িক সমাজে রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিকদের উপর সরকারী জাতীয় ধর্ম আরোপ করার মাত্রা যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়। সৌদি আরব এবং ইরানে এ মাত্রা উচ্চ আর ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং গ্রিসের মতো দেশে এ মাত্র ন্যূনতম বা একেবারেই নয়।

তথ্যসূত্র

  1. The Journal of Ecclesiastical History. p. 268 by Cambridge University Press, Gale Group, C.W. Dugmore
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.