রাজেশ রোশন

রাজেশ রোশন (জন্মনাম: রাজেশ রোশন লাল নাগরথ, জন্ম: ২৪ মে ১৯৫৫) হলেন একজন ভারতীয় সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং বাদ্যযন্ত্র বাদক। তিনি মূলত বলিউড চলচ্চিত্রের গানে সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশনের ছোট ভাই এবং অভিনেতা হৃতিক রোশনের চাচা।

রাজেশ রোশন
राजेश रोशन
লন্ডনে কাইটস ছবির প্রিমিয়ারে রাজেশ
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম নামরাজেশ রোশন লাল নাগরথ
জন্ম (1955-05-24) ২৪ মে ১৯৫৫
বোম্বে, বোম্বে রাজ্য, ভারত
ধরনচলচ্চিত্রের গান
পেশাসুরকার, সঙ্গীত পরিচালক
বাদ্যযন্ত্রবঙ্গো , গিটার , সঙ্গীত পরিচালনা
কার্যকাল১৯৭৪-বর্তমান

তার চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা শুরু হয় ১৯৭৪ কুওয়ারা বাপ চলচ্চিত্র দিয়ে। জুলি (১৯৭৫) ও কহো না... প্যার হ্যায় (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি দুইবার [ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক পুরস্কার] লাভ করেন। এছাড়া কহো না... প্যার হ্যায় চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে আইফা পুরস্কারস্ক্রিন পুরস্কার লাভ করেন।

প্রাথমিক জীবন

রাজেশ রোশন ১৯৫৫ সালের ২৪ মে ভারতের বোম্বে রাজ্যের বোম্বে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সঙ্গীত পরিচালক রোশন লাল নাগরথ ও মা ইরা রোশন একজন সঙ্গীতশিল্পী। তার বড় ভাই চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশন[1] তিনি অভিনেতা হৃতিক রোশনের চাচা, যার অভিনীত বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

কর্মজীবন

রাজেশকে তার প্রথম চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার সুযোগ পাইয়ে দেয় তার মেহমুদ। তার সুরারোপিত প্রথম চলচ্চিত্র কুওয়ারা বাপ (১৯৭৪)। এই ছবিতে কিশোর কুমারের কণ্ঠে "আরি আজা নিন্দিয়া" গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।[1] পরের বছর জুলি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক পুরস্কার লাভ করেন।[2] প্রিয়তমা চলচ্চিত্রে রাজেশ তার বড় ভাই রাকেশের চলচ্চিত্রের প্রথম সঙ্গীত পরিচালনা করেন। বসু চ্যাটার্জি পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে তার সুর করা কিশোর কুমারের কণ্ঠে "কোই রোকো না দিওয়ানে কো" গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং কিশোর কুমারের গাওয়া সেরা গানের তালিকা রয়ে যায়। পরের বছর তার ভাইয়ের জন্য ইনকার চলচ্চিত্রে মোহাম্মদ রফির কণ্ঠে "দিল কি কলি ইয়ুহী সদা" এবং খাট্টা মিঠা চলচ্চিত্রে কিশোর কুমার ও লতার কণ্ঠে "থোড়া হ্যায় থোড়ে কি জরুরত হ্যায়" ও "তুমসে মিলে থা প্যার" গানের সুর করেন। এই সময়ে তিনি দেব আনন্দের পরপর তিনটি চলচ্চিত্র দেশ পরদেশ (১৯৭৮), লুটমার (১৯৭৯), মন পছন্দ (১৯৮০) চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার সুযোগ পান।[1]

২০০০ এর দশকে তিনি কহো না... প্যার হ্যায় (২০০০), কারোবার (২০০০), ক্যায়া কেহনা (২০০০), মেলা (২০০০), অফিসার (২০০১), মুঝে মেরি বিবি সে বাচাও (২০০১), না তুম জানো না হাম (২০০২), আপ মুঝে অচ্ছে লগনে লগে (২০০২), কোই মেরে দিল সে পুচে (২০০২), কোই... মিল গয়া (২০০৩), লাভ অ্যাট টাইম স্কয়ার (২০০৩) চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। কহো না... প্যার হ্যায় তার সুরকৃত সর্বোচ্চ বিক্রিত চলচ্চিত্রের গান।[3]

চলচ্চিত্রের তালিকা

  • কুওয়ারা বাপ (১৯৭৪)
  • জুলি (১৯৭৫)
  • গিন্নি অউর জনি (১৯৭৬)
  • উধার কা সিন্দুর (১৯৭৬)
  • জিন্দগী (১৯৭৬)
  • স্বামী (১৯৭৭)
  • প্রিয়তমা (১৯৭৭)
  • এক হী রাস্তা (১৯৭৭)
  • মামা ভাঞ্জা (১৯৭৭)
  • চন্দ্রদাস (১৯৭৭)
  • জয় বিজয় (১৯৭৭)
  • ইয়ে হ্যায় জিন্দগী (১৯৭৭)
  • দুসরা আদমী (১৯৭৭)
  • খাট্টা মিঠা (১৯৭৮)
  • ইনকার (১৯৭৮)
  • স্বর্গ নরক (১৯৭৮)
  • এক বাপ ছে বেটে (১৯৭৮)
  • দিল্লাগী (১৯৭৮)
  • বিশ্বনাথ (১৯৭৮)
  • দেশ পরদেশ (১৯৭৮)
  • মুকাদ্দর (১৯৭৮)
  • তুমহারি কসম (১৯৭৮)
  • ঝুটা কাহিঁ কা (১৯৭৯)
  • কালা পাত্থর (১৯৭৯)
  • দুনিয়া মেরি জেব মে (১৯৭৯)
  • মিস্টার নটবরলাল (১৯৭৯)
  • বাতো বাতো মে (১৯৭৯)
  • জনতা হাওলাদার (১৯৭৯)
  • আখরি ইনসাফ (১৯৮০)
  • আপ কে দিওয়ানে (১৯৮০)
  • উনিশ-বিশ (১৯৮০)
  • দো অউর দো পাঁচ (১৯৮০)
  • লুটমার (১৯৮০)
  • স্বয়ংবর (১৯৮০)
  • মন পছন্দ (১৯৮০)
  • ইয়ারানা (১৯৮১)
  • সন্নাতা (১৯৮০)
  • সক্কা (১৯৮০)
  • শ্রীমান শ্রীমতি (১৯৮২)
  • হামারি বহু অলকা (১৯৮২)
  • কামচোর (১৯৮২)
  • জনি আই লাভ ইউ (১৯৮২)
  • ওয়াক্ত ওয়াক্ত কী বাত (১৯৮২)
  • খুদ-দার (১৯৮২)
  • নিশান (১৯৮৩)
  • রিস্তা কাগজ কা (১৯৮৩)
  • জাগ উঠা ইনসান (১৯৮৪)
  • ইনতেহা (১৯৮৪)
  • জিন্দগী জীনে কে লিয়ে (১৯৮৪)
  • আখির কিউঁ? (১৯৮৫)
  • উল্টা সীধা (১৯৮৫)
  • টেলিফোন (১৯৮৫)
  • বাবু (১৯৮৫)
  • এক ডাকু শেহের মে (১৯৮৫)
  • ভগবান দাদা (১৯৮৬)
  • অনুভব (১৯৮৬)
  • এক অউর সিকান্দর (১৯৮৬)
  • মকর (১৯৮৬)
  • ঘর সংসার (১৯৮৬)
  • খুদগর্জ (১৯৮৭)
  • কাশ (১৯৮৭)
  • ইয়াদোঁ কী জাঞ্জীর (১৯৮৭)
  • দিল তুঝ কো দিয়া (১৯৮৭)
  • ধরম যুদ্ধ (১৯৮৮)
  • খুন ভরী মাঙ্গ (১৯৮৮)
  • দরিয়া দিল (১৯৮৮)
  • জাঙ্গল কী বেটি (১৯৮৮)
  • কব্জা (১৯৮৮)
  • মার ধদ (১৯৮৮)
  • আসমান সে উচা (১৯৮৯)
  • জেইসি করনি ওয়েইসি ভরনি (১৯৮৯)
  • কালা বাজার (১৯৮৯)
  • কিষেণ কানাইয়া (১৯৯০)
  • জুর্ম (১৯৯০)
  • বাহার আনে তক (১৯৯০)
  • কর্জ চুকানা হ্যায় (১৯৯১)
  • বিষ্ণু দেব (১৯৯১)
  • দো পাল (১৯৯১)
  • খেল (১৯৯২)
  • কিং আঙ্কেল (১৯৯৩)
  • গুনাহ (১৯৯৩)
  • ইনসানিয়াত (১৯৯৪)
  • আনজানে (১৯৯৪)
  • করন অর্জুন (১৯৯৫)
  • সবসে বড়া খিলাড়ী (১৯৯৫)
  • দস্তক (১৯৯৬)
  • পাপা কেহতে হ্যায় (১৯৯৬)
  • ছোটা সা ঘর (১৯৯৬)
  • কয়লা (১৯৯৭)
  • চিরাগ (১৯৯৭)
  • তারাজু (১৯৯৭)
  • ঈমান বেঈমান (১৯৯৭)
  • গুলাম-ই-মুস্তাফা (১৯৯৭)
  • কীমত (১৯৯৮)
  • জান-এ-জিগার (১৯৯৮)
  • ম্যাঁ ষোল বরস কী (১৯৯৮)
  • দাগ (১৯৯৯)
  • লাওয়ারিশ (১৯৯৯)
  • ত্রিশক্তি (১৯৯৯)
  • কারোবার (২০০০)
  • কহো না... প্যার হ্যায় (২০০০)
  • ক্যায়া কেহনা (২০০০)
  • মেলা (২০০০)
  • অফিসার (২০০১)
  • মুঝে মেরি বিবি সে বাচাও (২০০১)
  • না তুম জানো না হাম (২০০২)
  • আপ মুঝে অচ্ছে লগনে লগে (২০০২)
  • কোই মেরে দিল সে পুচে (২০০২)
  • কোই... মিল গয়া (২০০৩)
  • লাভ অ্যাট টাইম স্কয়ার (২০০৩)
  • এতবার (২০০৪)
  • কৃষ (২০০৬)
  • ক্রেজি ফোর (২০০৮)
  • কাইটস (২০১০)
  • কৃষ ৩ (২০১৩)
  • কাবিল (২০১৭)

পুরস্কার ও মনোনয়ন

পুরস্কার বছর পুরস্কারের বিভাগ মনোনীত চলচ্চিত্র ফলাফল
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ১৯৭৬ শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক জুলি বিজয়ী
১৯৭৮ স্বামী মনোনীত
১৯৭৯ দেশ পরদেশ মনোনীত
১৯৮০ মিস্টার নটবরলাল মনোনীত
কালা পাত্থর মনোনীত
১৯৮৯ খুন ভরী মাঙ্গ মনোনীত
১৯৯৬ করন অর্জুন মনোনীত
১৯৯৭ পাপা কেহতে হ্যায় মনোনীত
২০০১ কহো না... প্যার হ্যায় বিজয়ী
২০০৪ কোই... মিল গয়া মনোনীত
আইফা পুরস্কার ২০০১ শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক কহো না... প্যার হ্যায় বিজয়ী
২০০৪ কোই... মিল গয়া মনোনীত
জি সিনে পুরস্কার ২০০৪ শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক কোই... মিল গয়া মনোনীত
স্ক্রিন পুরস্কার ২০০১ শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক কহো না... প্যার হ্যায় বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত মনোনীত
২০০৪ শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক কোই... মিল গয়া মনোনীত
শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত মনোনীত

তথ্যসূত্র

  1. Vijayakar, Rajiv (২৮ জানুয়ারি ২০১৭)। "Rakesh and Rajesh Roshan: Brothers in tune"বলিউড হাঙ্গামা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৭
  2. "Best Music Director (Popular)"ফিল্মফেয়ার। ১৮ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৭
  3. Thakkar, Mehul S (১২ অক্টোবর ২০১৩)। "I lost out to Anand-Milind: Rajesh Roshan"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.