রাজবলহাট

রাজবলহাট (ইংরেজি: Rajbalhat) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার অন্তর্গত একটি সেন্সাস টাউন। এই জায়গাটি জাঙ্গীপাড়া কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ব্লক ও শ্রীরামপুর মহকুমার অধীন।[1]

রাজবলহাট
সেন্সাস টাউন
স্থানাঙ্ক: ২২.৭৬° উত্তর ৮৮.০৪° পূর্ব / 22.76; 88.04
Country India
Stateপশ্চিমবঙ্গ
Districtহুগলি জেলা
উচ্চতা১৪ মিটার (৪৬ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট১৬,৪৭৯
Languages
  OfficialBengali, English
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+5:30)
PIN৭১২৪০৮
Telephone code০৩২১২
যানবাহন নিবন্ধনWB
ওয়েবসাইটwb.gov.in
রাজবলহাটে রথযাত্রা

অবস্থান

রাজবলহাটের অবস্থান ২২.৭৬ উত্তর এবং ৮৮.০৪ পশ্চিম।[1] রাজবলহাট পঞ্চায়েতের অধীন গ্রামগুলি হল শিবচক, মোরহাল, মুকুন্দপুর, কুলিয়ারা, ঝান্দা, বিনোদবাটি, চৈমন চক, নস্করডাঙা, গুলটিয়া, দক্ষিণ গুলটিয়া, ত্রিপন, নবগ্রাম, জাবনী, রহিমপুর।

জনসংখ্যা

২০১১ সালে জনগণনা অনুযায়ী রাজবলহাট একটি সেন্সাস টাউন। এখানকার মোট জনসংখ্যা ১৬৪৯৭। এর মধ্যে ৫১% পুরুষ এবং ৪৯% মহিলা।

শিক্ষা

রাজবলহাটে দুটি উচ্চতর বিদ্যালয় আছে যথা রাজবলহাট হাই স্কুল ও রাজবলহাট গার্লস হাই স্কুল।[2]

অর্থনীতি

১৭৮৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী রাজবলহাটে তাদের বাণিজ্যিক রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই সময় হতে রাজবলহাট একটি বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানকার রেশম তন্তু শাড়ি ও স্বর্ন গহনা প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য।

ইতিহাস ও সংস্কৃতি

রাজবল্লভী দেবী প্রতিমা, রাজবলহাট

অতীতের ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী ছিল রাজবলহাট। শনিভানগড়ের মৎসজীবি রাজা, চতুরানন্দ নামক এক ব্যক্তির কাছে পরাজিত হন। চতুরানন্দের নাতি কৃষ্ণ রায় ভুরশুট রাজ্য স্থাপন করেন ১৫৮৩-৮৪ খৃষ্টাব্দে। তার বংশধর প্রতাপ নারায়ণ ছিলেন প্রজাপালক ও দাতা প্রকৃতির রাজা। তার পুত্র শিবনারায়ন, তস্য পুত্র নরনারায়ণ রায় ভুরশুটে রাজত্ব করেন। নরনারায়নের রাজত্বকালের শেষে বা তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বর্ধমান রাজ কীর্তিচন্দ্র ভুরশুট রাজ্য দখল করে নেন। ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী রাজবলহাটে তিনটি গড় বা দুর্গ ছিল যদিও বর্তমানে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না। ৫০০ বিঘা জমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে দান করেছিলেন ভূরশুট রাজারা দেবী রাজবল্লভীর মন্দিরের সেবায়। এই দেবীর মন্দির বর্তমানে সংস্কার করা হয়েছে।

রাজবল্লভী মন্দির চত্বর

রাজবলহাট জায়গার নাম দেবী রাজবল্লভীর নামানুসারেই চিহ্নিত। এখানকার রাজবল্লভী কালীমন্দির একটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান। এতদঞ্চলে দেবী দুর্গা, রাজবল্লভী নামে পূজিতা হন।[3]

রাধাকান্ত মন্দির, ঘটকতলা, রাজবলহাট, হুগলি

রাজবলহাটে একাধিক প্রাচীন টেরাকোটা মন্দির আছে যার মধ্যে আঠেরোশো শতকে তৈরী রাধাকান্ত, মতান্তরে রাধাগোবিন্দ মন্দির ও শ্রীধর দামোদর মন্দির অন্যতম। এখানে অমূল্য প্রত্নশালা নামে একটি সংগ্রহালয় আছে। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়,[4] বাঙলার তালমিছরি শিল্পের জনক দুলাল চন্দ্র ভড়ের বাড়িও রাজবলহাট।[5]

তথ্যসূত্র

  1. "Rajbalhat"indiamapia.com
  2. "RAJBALHAT GIRLS HIGH"allindiafacts.com। ২৭ ২ অক্টোবর ০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 22 May 2017 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |আর্কাইভের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "দি টেম্পলস ইন হুগলি"hindubooks.org। ১৬ ২ অক্টোবর ০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ২ মে ০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ=, |আর্কাইভের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. "আবক্ষ মূর্তি ঘিরে এখন আগাছার ভিড়"। ১৫ ২ এপ্রিল ০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারী ২০১৮ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. "Amulya Pratnashala"craftrevival.org। Asia in CH encyclopedia। ২৭ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.