রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসতভিটা, পিঠাভোগ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসতভিটা বাংলাদেশের খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে অবস্থিত।[1] পিঠাভোগ গ্রামে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসতভিটা বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত।[2]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসতভিটা, পিঠাভোগ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাখুলনা জেলা
অবস্থান
অবস্থানরূপসা উপজেলা
দেশবাংলাদেশ

অবস্থান

পিঠাভোগ গ্রামটি বাংলাদেশের খুলনা জেলার ভৈরব নদের অববাহিকায় অবস্থিত। ইতিহাস থেকে জানা যায় খান জাহান আলীর আগমণের দুই শতাব্দী আগে এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে।

ইতিহাস

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষ পঞ্চানন কুশারী পিঠাভোগের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। পঞ্চানন কুশারীর উত্তরপুরুষ দুর্গানারায়ন এবং গোপীমোহন জমিদারী কিনে জোঁড়াসাকোয় ঠাকুর এস্টেট প্রতিষ্ঠা করেন। সতীশ্চন্দ্র মিত্র সম্পাদিত যশোর-খুলনা ইতিহাস এর ষষ্ঠ পরিচ্ছেদে পয়োগ্রাম কসবা অধ্যায়ে বিশ্বকোষের পীরালী বিষয়ক অংশ এবং টি ডব্লিউ ফ্যারেলের দ্যা টেগোর ফ্যামিলি গ্রন্থে পঞ্চানন কুশারীর ইতিহাস উল্লিখিত হয়েছে।

সংরক্ষণে সরকারী উদ্যোগ

১৯৯৪ সালে রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষদের নির্মিত কারুকার্যখচিত একটি ভবন খুলনার জনৈক ব্যবসায়ী ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকায় কিনে নেন। এরপর তিনি ভবনটি ভেঙে ফেলেন। একই বছরে দৈনিক ইত্তেফাক এবং আজকের কাগজে কবির আদি পুরুষের বাড়ি নামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।[3] প্রতিবেদন প্রকাশের পরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের খুলনা জেলা প্রশাসক রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের বসতভিটা সংরক্ষণের উদ্যোগ দেয়।[4] সরকারি উদ্যোগে পিঠাভোগে ৯.৩৫ একর জমির উপরে নির্মিত বসত ভিটার খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনটি সমতল ভূমি থেকে চার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এবং ইন্দো ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। [5]

১৯৯৪ সালে ২৪ নভেম্বর পিঠাভোগে রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ২৫ শে বৈশাখ ১৪২২ বংগাব্দ থেকে এই স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। [6]

কীভাবে যাবেন

খুলনা শহর থেকে বাসে করে রূপসা উপজেলায় গিয়ে সেখান থেকে স্থানীয় যানবাহনে পিঠাভোগ গ্রামে যাওয়া যাবে।[7]

তথ্যসূত্র

  1. "পিঠাভোগ থেকে জোড়াসাঁকো"জনকন্ঠ
  2. "প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর"www.archaeology.gov.bd
  3. "পিঠাভোগ-খুলনার সংবাদ"। ১২ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  4. "রাইজিং বিডি"
  5. সমকাল
  6. "খুলনা নিউজ"। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৯

আরো পড়ুন

বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.