রফিকুল ইসলাম (বীর প্রতীক)
রফিকুল ইসলাম হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[1]
রফিকুল ইসলাম | |
---|---|
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | বীর প্রতীক |
প্রারম্ভিক জীবন
তার বাবার নাম আবদুল আলী দেওয়ান। মায়ের নাম ফরিদা খাতুন। ১৯৭১ সালে মোঃ রফিকুল ইসলামের বয়স ছিল ১৫ বছর। সে সময় তিনি ফরিদপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি তার শিক্ষাজীবনের ৩টি বছর ফরিদপুর জিলা স্কুল হতে সম্পন্ন করেন । স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে তিনি মুন্সীগঞ্জের রামপাল হাইস্কুলে ভর্তি হন এবং এই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। [2]
মুক্তিযুদ্ধে অবদান
রফিকুল ইসলাম ১৯৭১ সালের ২৮ মে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মেলাঘরে যান। সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি ২ নম্বর সেক্টরে যোগ দেন। পরে মুন্সীগঞ্জ জেলায় থানা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মধ্যভাগের চরে একটি সেতু ধ্বংসের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত শেলের টুকরার আঘাতে তিনি আহত হন। এরপর তার সহযোদ্ধারা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি আবার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জ, টংগিবাড়ী, গজারিয়া, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি, হোমনা, দেবীদ্বার, পানতি, পাহাড়পুর, কোনাবন এবং ঢাকার মাতুয়াইলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের তাঁবেদার বাহিনী রাজাকারদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় সাহসিকতার সঙ্গে গেরিলা কায়দায় খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ করেছেন। [3]
সম্মাননা ও স্বীকৃতি
তথ্যসূত্র
- "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ২৮-০৩-২০১১"। ২০১৪-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৩।
- একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449।
- একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। এপ্রিল ২০১২। পৃষ্ঠা ১৭১। আইএসবিএন 9789843338884।
পাদটীকা
- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৩-০২-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।