রজার ওয়াটার্স

জর্জ রজার ওয়াটার্স (ইংরেজি: George Roger Waters, জন্ম ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩) একজন ব্রিটিশ সঙ্গীতঙ্গ, গায়ক, গীতিকার এবং বহু-বাদ্যযন্ত্রী। ১৯৬৫ সালে, তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে, ড্রামার নিক মেইসন, কিবোর্ডবাদক রিচার্ড রাইট এবং গিটারবাদক, গায়ক, গীতিকার সিড ব্যারেটের সহযোগে প্রগ্রেসিভ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েড গঠন করেন। ওয়াটার্স প্রাথমিকভাবে দলটির বেসবাদক এবং সহ-প্রধান গায়ক হিসেবে কাজ করেছেন, তবে ১৯৬৮ সালে, বারেট দল ত্যাগ করলে তিনি পিংক ফ্লয়েডের গীতিকার এবং ধারণাসঙ্গত অগ্রদূত হয়ে ওঠেন।

রজার ওয়াটার্স
Roger Waters
Roger Waters playing a bass guitar and singing into a microphone. He has grey hair and is unshaven.
ওয়াটার্স, দ্য ০২ এরিনা, ২০০৮
জন্ম
জর্জ রজার ওয়াটার্স

(1943-09-06) সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৪৩
গ্রেট বুকহাম, সারে, ইংল্যান্ড
জাতীয়তাব্রিটিশ
মাতৃশিক্ষায়তনরিজেন্ট স্ট্রিট পলিটেকনিক
পেশা
  • সঙ্গীতজ্ঞ
  • গায়ক
  • গীতিকার
  • সুরকার
  • প্রযোজক
কর্মজীবন১৯৬৪বর্তমান
সন্তান
পিতা-মাতা
    সঙ্গীত কর্মজীবন
    ধরন
    বাদ্যযন্ত্র
    • কন্ঠ
    • বেস গিটার
    • রিদম গিটার
    • সিন্থেসাইজার
    লেবেল
    ওয়েবসাইটroger-waters.com

    পিংক ফ্লয়েড পরবর্তীকালে দ্যা ডার্ক সাইড অব দ্য মুন, উই< ইউ ওয়্যার হেয়ার, অ্যানিমেলস, দ্যা ওয়াল এবং দ্যা ফাইনাল কাট ধারণা অ্যালবামের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জন করেন। আশির দশকের শুরুতে, তারা সমালোচকদের কর্তৃক প্রশংসিত এবং পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় সঙ্গীত ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বিক্রয়ের দল হিসেবে গৌরব অর্জন করে; ২০১৩ সালের হিসেবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫.৫ মিলিয়নসহ, বিশ্বব্যাপী তাদের ২৫০ মিলিয়নের অধিক অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। দলের মধ্যে সৃজনশীল তারতম্যের অভান্তরে, ওয়াটার্স ১৯৮৫ সালে প্রস্থান করেন এবং অবশিষ্ট সদস্যদের সাথে ব্যান্ডের নাম এবং উপাদান ব্যবহার নিয়ে আইনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৭ সালে তারা আদালতের বাইরে এ-বিষয়ের নিষ্পত্তি ঘটান, এবং প্রায় আঠারো বছর পর ওয়াটার্স পূনরায় তাদের সাথে কাজ শুরু করেন।

    ওয়াটার্সের একক কর্মজীবনে তিনটি স্টুডিও অ্যালবাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে: দ্যা প্রস এ্যন্ড কনস অফ হিচ হাইকিং, রেডিও কে.এ.ও.এস.এবং এমিউজড টু ডেথ। ১৯৯০ সালে, তিনি দ্যা ওয়াল – লাইভ ইন বার্লিন নামে, ইতিহাসের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ব্যয়কৃত রক কনসার্ট মঞ্চস্থ করেছিলেন, যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় ২০০,০০০ দর্শক উপস্থিতি ছিলো। পিংক ফ্লয়েডের একজন সদস্য হিসেবে, তিনি ১৯৯৬ সালে ইউএস রক এ্যন্ড রোল হল অফ ফেইম এবং ২০০৫ সালে ইউকে মিউজিক অফ ফেইমের অর্ন্তভূক্ত হন। একই বছর তিনি সিএ ইরা নামে অপেরা মুক্তি দেন, যেখানে তিনি ফরাসি বিপ্লব সম্পর্কে ইটিয়েন এবং নাদিনে রঁদা-গিলের গীতিনাট্য থেকে তিনটি অনুবাদ কাজ করেন। সে বছরের শেষে, তিনি পিংক ফ্লয়েড ব্যন্ডসদস্য মেইসন, রাইট এবং গিলমোরের সাথে লাইভ ৮ বৈশ্বিক সচেতনতা ইভেন্টের জন্য পুনরায় একত্রিত হন; যা ছিল ১৯৮১ সালের পর প্রথম ওয়াটার্সের সাথে দলের উপস্থিতি। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি এককভাবে বাজিয়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছিলেন, এবং তার ২০০৬-২০০৮ বিশ্ব সফরের অংশ হিসেবে দ্যা ডার্ক সাইড অব দ্যা মুন সঞ্চালন করেন। ২০১০ সালে, তিনি দ্যা ওয়াল লাইভ শুরু করেন এবং ২০১১ সালে, লন্ডনে ডবল অ্যালবামের প্রদর্শনের সময় গিলমোর এবং ম্যাসন তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।

    ওয়াটার্স চার বার বিয়ে করেছেন; প্রথম ১৯৬৯ সালে তার শৈশব প্রণয়ী জুডি ট্রিমকে; তাদের কোন সন্তান ছিলনা এবং ১৯৭৫ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরের বছর তিনি বিয়ে করেন লেডি ক্যরল্যন ক্রিস্টির সাথে; বিয়ের পর তাদের ছেলে, হ্যারি ওয়াটার্স, একজন সঙ্গীতঙ্গ যিনি ২০০৬ সাল থেকে তার বাবার সফর দলের সাথে কিবোর্ড বাজান; এবং মেয়ে, ইন্ডিয়া ওয়াটার্স, যিনি মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। ক্রিস্টির এবং ওয়াটার্সের ১৯৯২ সালে বিচ্ছেদ ঘটে। এবং ১৯৯৩ সালে, তিনি প্রিষ্কিল্লা ফিলিপসকে বিয়ে করেন। তাদের জ্যাক ফ্লেচার নামে একটি ছেলে রয়েছে এবং ২০০১ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ওয়াটার্স অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা লরি ডুরনিংকে বিয়ে করেন।

    ১৯৬৫–১৯৮৫: পিংক ফ্লয়েড

    ১৯৮৪–বর্তমান: একক কর্মজীবন

    ডিস্কতালিকা

    উদ্ধৃতি

    1. "Roger Waters"Desert Island Discs। ২৯ মে ২০১১। BBC Radio 4। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৪

    উৎস

      আরো পড়ুন

      • Di Perna, Alan (২০০২)। Guitar World Presents Pink Floyd। Hal Leonard Corporation। আইএসবিএন 978-0-634-03286-8।
      • Fitch, Vernon (২০০১)। Pink Floyd: The Press Reports 1966–1983। Collector's Guide Publishing Inc। আইএসবিএন 978-1-896522-72-2।
      • Harris, John (২০০৫)। The Dark Side of the Moon: The Making of the Pink Floyd Masterpiece। Da Capo। আইএসবিএন 978-0-306-81342-9। ৩ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
      • Hiatt, Brian (সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Back to The Wall"। Rolling Stone1114: pp. 50–57।
      • MacDonald, Bruno (১৯৯৭)। Pink Floyd: through the eyes of ... the band, its fans, friends, and foes। Da Capo Press। আইএসবিএন 978-0-306-80780-0। ১৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
      • Mabbett, Andy; Mabbett, Miles (১৯৯৪)। Pink Floyd : the visual documentary। Omnibus Press। আইএসবিএন 978-0-7119-1444-5।
      • Miles, Barry (১৯৮২)। Pink Floyd: A Visual Documentary by Miles। New York: Putnam Publishing Group। আইএসবিএন 978-0-399-41001-7।
      • Scarfe, Gerald (২০১০)। The Making of Pink Floyd: The Wall (1st US paperback সংস্করণ)। Da Capo Press। আইএসবিএন 978-0-306-81997-1।
      • Simmons, Sylvie (ডিসেম্বর ১৯৯৯)। "Pink Floyd: The Making of The Wall"। Mojo। London: Emap Metro। 73: pp. 76–95।

      বহিঃসংযোগ

      This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.