রঙ-এ খোদা

রঙ-এ খোদা (রঙে খোদা বা স্বর্গের রঙ) (ফার্সি: رنگ خدا, Rang-e Khodā), এটি ১৯৯৯ সালের ইরানি চলচ্চিত্র, ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাজিদ মাজিদী, ছবিতে অভিনয় করেছেন হুসেইন মাহজুব, মোহসেন রামেজানী, সালামেহ ফেয়জী, ফারাহনায সাফারী প্রমূখ।

রঙ-এ খোদা
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকমাজিদ মাজিদী
রচয়িতামাজিদ মাজিদী
শ্রেষ্ঠাংশে
  • হুসেইন মাহজুব
  • মোহসেন রামেজানী
  • সালিমে ফেইজ
  • এলহাম শাহরিফি
  • ফারাহনাজ সাফারি
সুরকারআলী রেযা কোহানদায়রী
চিত্রগ্রাহকমোহাম্মদ দাউদী
সম্পাদকহাসান হাসান্দোস্ত
প্রযোজনা
কোম্পানি
ভারাহোনার কোম্পানি
পরিবেশকযুক্তরাষ্ট্র
সনি পিকচারস ক্লাসিকস, কলাম্বিয়া ট্রিস্টার
ইরান
ভারাহোনার কোম্পানি
মুক্তি
  •  ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ (1999-02-09)
দৈর্ঘ্য৯০ মিনিট
দেশইরান
ভাষাফার্সি

কাহিনীসংক্ষেপ

মোহসেন রামেজানি

আট বছরের মোহাম্মদ একজন অন্ধ বালক, বুদ্ধিমান এবং প্রকৃতিপ্রেমী। সে অন্ধদের বিশেষ বিদ্যালয়ে যায় এবং সেখানে তার আচরণ খুবই ভালো। বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি ফুলের ঘ্রাণ, পাখির কণ্ঠ, বাতাসের শব্দ এইসব প্রাকৃতিক নৈস্বর্গ মোহাম্মদের ভীষণ ভাল লাগে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছোট দুই বোন, বৃদ্ধ দাদী সবাই মোহাম্মদকে পছন্দ করে, ভালোবাসে।

গৃষ্মের ছুটিতে বিদ্যালয় ছটির পর অন্য বাচ্চাদের বাবা-মা তাদের নিতে আসে, কিন্তু মোহাম্মদের বাবা আসে না। মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের গেটের কাছে বাবার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। একে একে তার সব বন্ধুরা বাড়িতে চলে যায়। অবশেষে মোহাম্মদের বাবা তাকে নিতে আসে। এদিকে মোহাম্মদের বাবা তার ছেলের অন্ধত্ব নিয়ে সবসময় লজ্জিত-বিব্রত বোধ করতে থাকেন। এমনকি এ-কারণে গৃষ্মের ছুটিতেও মোহাম্মদকে বিদ্যালয়ে রাখার জন্যে প্রধান শিক্ষককে তিনি অনুরোধ করেন। তবে প্রধান শিক্ষক এতে রাজি না হওয়ায় তিনি মোহাম্মদতে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। আরেকটি বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন মোহাম্মদের বাবা হাসেম। এজন্যে তিনি এক স্থানীয় নারীর পরিবারের সম্মতি নেন। কিন্তু মোহাম্মদের বিষয়ে কিছুই প্রকাশ করেন না। তার ধারণা হয় অন্ধ ছেলে থাকাকে তার স্ত্রীর পরিবার অশুভভাবে দেখবে।

এদিকে মোহাম্মদ গ্রামের পাহাড়ি ঢালে ঘুরে বেড়ায়, পশু-পাখির ডাক শোনে আর তাদের অনুসরণ করে। বোনের বিদ্যালয়ে গিয়ে নিজের বইটি ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়ে সে সব ছাত্র-শিক্ষকদের বিস্মিত করে দেয়। তবে তার এই সুখের কাল স্থায়ী হয় না। বাবা বিয়ের আগেই তাকে অন্য কোথায় সরিয়ে দিতে এক অন্ধ কাঠমিস্ত্রির কাছে যায় এবং সেখানে মোহাম্মদকে রেখে আসে। অন্ধ মিস্ত্রি মোহাম্মদকে সাদরে গ্রহণ করে এবং তাকে কাজ শেখাতে থাকে।

মোহাম্মদের দাদী হাসেমের বিয়ের খবর শুনে অহত হয়ে বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে যান। এরপর পথে অচেতন হয়ে গেলে হাসিম তাকে বাড়ি নিয়ে আসে তবে শেষপর্যন্ত তিনি মারা যান। এদিকে কন্যার পরিবার এই মৃত্যুকে অভিশাপ হিসেবে দেখে বিয়ে বাতিল করে দেয়। হাশেম মোহাম্মদকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে যায়। ফেরার পথে একটা ভাঙা সেতুর কাছে তারা থামে। ঘোড়া পার করাতে গিয়ে মোহাম্মদ খরস্রোতা নদীতে ভেসে যায়। হাসিম ভাবতে থাকে তার সারাজীবনের সমস্যা চলে গেলো। কিন্তু খানিকক্ষণ পরই তিনি ঝাপিয়ে পড়েন নদীতে। এরপর কাস্পিয়ান সাগড়ের পারে হাসিমের জ্ঞান ফেরে এবং তিনি দেখতে পান পাশে মোহাম্মদ পড়ে আছে, নিথর, অনঢ়। মোহাম্মদ মারা গেছে ভেবে তিনি কাঁদতে শুরু করেন আর তখনই মোহাম্মদের অঙুলগুলো নড়ে ওঠে।

অভিনয়ে

  • মোহসেন রামেজানি
  • হুসেইন মাহজুব
  • সালিমে ফেইজ
  • এলহাম শাহরিফি
  • ফারাহনাজ সাফারি

তথ্যসূত্র

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.