রংধনু

রামধনু বা রংধনু[1] কিংবা ইন্দ্রধনু হল একটি দৃশ্যমান ধনুকাকৃতি আলোর রেখা যা বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত জলকণায় সূর্যালোকের প্রতিফলন এবং প্রতিসরণের ফলে ঘটিত হয়। সাধারণত বৃষ্টির পর আকাশে সূর্যের বিপরীত দিকে রামধনু দেখা যায়। রামধনুতে সাতটি রঙের সমাহার দেখা যায়। দেখতে রামের ধনুকের মতো বাঁকা হওয়ায় এটির নাম রামধনু।

রামধনু

কীভাবে তৈরি হয়

বৃষ্টির কণা বা জলীয় বাষ্প-মিশ্রিত বাতাসের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো যাবার সময় আলোর প্রতিসরণের কারণে বর্ণালীর সৃষ্টি হয়। এই বর্ণালীতে আলো সাতটি রঙে ভাগ হয়ে যায়। এই সাতটি রঙ হচ্ছে বেগুনী, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল; এই রংগুলোকে তাদের আদ্যক্ষর নিয়ে সংক্ষেপে বলা হয়: বেনীআসহকলা। এই সাতটি রঙের আলোর ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এদের বেঁকে যাওয়ার পরিমাণে তারতম্য দেখা যায়। যেমন লাল রঙের আলোকরশ্মি ৪২° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যদিকে বেগুনী রঙের আলোকরশ্মি ৪০° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যান্য রঙের আলোক রশ্মি ৪০° থেকে ৪২°'র মধ্যেকার বিভিন্ন কোণে বাঁকা হয়। এই কারণে রংধনুর রঙগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সারিতে সবসময় দেখা যায়।

প্রাথমিক উজ্জ্বল রংধনুর একটু উপরে কম উজ্জ্বল আরেকটি গৌণ রংধনু দেখা যায়, যাতে রংগুলি বিপরীত পরিক্রমে থাকে। এই দুই ধনুর মধ্যবর্তী আকাশ (আলেক্সান্ডারের গাঢ় অঞ্চল) বাকি আকাশের থেকে একটু অন্ধকার হয়, তবে ভালো করে লক্ষ না করলে এই তারতম্য নজর এড়িয়ে যেতে পারে।

যুগ্ম রংধনু ও অন্তর্বর্তী গাঢ় অঞ্চল

টীকা

  1. "পশ্চিমবঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে 'রামধনু না রংধনু' বিতর্ক"। www.bbc.com। বিবিসি বাংলা। ২৪ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২১

তথ্যসূত্র

  • Greenler, Robert (১৯৮০)। Rainbows, Halos, and Glories। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0195218337।
  • Lee, Raymond L. and Alastair B. Fraser (২০০১)। The Rainbow Bridge: Rainbows in Art, Myth and Science। New York: Pennsylvania State University Press and SPIE Press। আইএসবিএন 0-271-01977-8।
  • Lynch, David K.; Livingston, William (২০০১)। Color and Light in Nature (2nd edition সংস্করণ)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-77504-3।
  • Minnaert, Marcel G. J. (১৯৯৩)। Light and Color in the Outdoors। Springer-Verlag। আইএসবিএন 0-387-97935-2। একের অধিক |লেখক= এবং |শেষাংশ= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Minnaert, Marcel G. J. (১৯৭৩)। The Nature of Light and Color in the Open Air। Dover Publications। আইএসবিএন 0-486-20196-1। একের অধিক |লেখক= এবং |শেষাংশ= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Naylor, John (২০০২)। Out of the Blue: A 24-Hour Skywatcher's Guide। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-80925-8। একের অধিক |লেখক= এবং |শেষাংশ= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Boyer, Carl B. (১৯৮৭)। The Rainbow, From Myth to Mathematics। Princeton University Press। আইএসবিএন 0-691-08457-2।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.