যোধপুর
যোধপুর ভারতের রাজস্থান রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১.৫২ মিলিয়নের অধিক জনসংখ্যার সাথে রাজ্যের দ্বিতীয় মহানগর।[8] এটি পূর্ববর্তী যোধপুর রাজ্যের (দেশীয় রাজ্য) রাজধানী ছিল। যোধপুর ঐতিহাসিকভাবে মারোয়ার রাজ্যের রাজধানী ছিল, যা বর্তমানে রাজস্থানের অংশ। থর মরুভূমির প্রাকৃতিক দৃশ্যপটে স্থাপিত বহু প্রাসাদ, দুর্গ ও মন্দিরসমূহের দ্বারা সমন্বিত যোধপুর একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি রাজস্থান ও সমগ্র ভারতের মানুষের মধ্যে "ব্লু সিটি" বা নীল শহর নামে জনপ্রিয়।[1] শহরটি যোধপুর জেলা ও যোধপুর বিভাগের প্রশাসনিক সদর দপ্তর হিসাবে কাজ করে।
যোধপুর | |
---|---|
মহানগর | |
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে : মেহরানগড় দুর্গ, ব্লু সিটি, উমাইদ ভবন প্রাসাদ, ক্লক টাওয়ার, আধুনিক যোধপুরের দিগন্ত | |
ডাকনাম: ব্লু সিটি, সান সিটি[1] | |
যোধপুর যোধপুর | |
স্থানাঙ্ক: ২৬.২৮° উত্তর ৭৩.০২° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | রাজস্থান |
বিভাগ | যোধপুর |
জেলা | যোধপুর[2] |
বসতি স্থাপন | ১৪৫৯ |
প্রতিষ্ঠাতা | মান্ডোরের রাও যোধা |
নামকরণের কারণ | রাও যোধা |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র-কাউন্সিল |
• শাসক | যোধপুর পৌর কর্পোরেশন |
• মেয়র, পৌর কর্পোরেশন | কুন্তি দেওরা পরিহার (যোধপুর উত্তর) বানিতা শেঠ (যোধপুর দক্ষিণ) |
• কালেক্টর ও ডিএম | ইন্দ্রজিৎ সিং, আইএএস |
• যোধপুরের পুলিশ কমিশনার | জোস মোহন, আইপিএস[3] |
আয়তন[4][5] | |
• মহানগর | ২৩৩.৫ বর্গকিমি (৯০.২ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ২৩৩.৫ বর্গকিমি (৯০.২ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২৩১ মিটার (৭৫৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[6] | |
• মহানগর | ১০,৫৬,১৯১ |
• ক্রম | ৪৪তম |
• জনঘনত্ব | ৪,৫০০/বর্গকিমি (১২,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর[7] | ১৫,২০,০০০ |
বিশেষণ | যোধপুরী, মারোয়ারি |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | হিন্দি, ইংরেজি |
• স্থানীয় | মারোয়ারি, রাজস্থানী, সিন্ধি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৩৪২০০১ |
টেলিফোন কোড | ০২৯১ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | আরজে-আইএন |
যানবাহন নিবন্ধন | আরজে-১৯ |
ওয়েবসাইট | jodhpur |
পুরানো শহরটি মেহরানগড় দুর্গের চারদিকে বৃত্তাকারভাবে অবস্থিত এবং বেশ কয়েকটি দরজা বিশিষ্ট প্রাচীর দ্বারা আবদ্ধ।[9] যদিও বিগত কয়েক দশক ধরে শহরটি প্রাচীরের বাইরে বিস্তৃত হয়েছে। যোধপুর রাজস্থান রাজ্যের ভৌগোলিক কেন্দ্রের নিকটে অবস্থিত, এটি পর্যটকদের দ্বারা প্রায়শই এই অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য একটি সুবিধাজনক ঘাঁটি তৈরি করে।[1] শহরটি নিউ ইয়র্ক টাইমসের ২০২০-এর ৫২ টি সেরা স্থান শীর্ষকে প্রদর্শিত হয়।[10]
শহরটিতে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, যোধপুর, ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান যোধপুর, ডাঃ সম্পুরানন্দ মেডিকেল কলেজ, ডিএসআরআরইউ যোধপুর, ও যোধপুরের জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, কেন্দ্রীয় শুষ্ক অঞ্চল গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শুষ্ক বন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ডেসার্ট মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার সহ বহু গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
ইতিহাস
প্রারম্ভিক ইতিহাস
রাজস্থান জেলা গেজেটিয়ার (ভৌগোলিক অভিধান) অনুসারে অভিরারা মারওয়ারের বাসিন্দা ছিল এবং পরে রাজপুতরা মারোয়ারে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে। রাঠোরের শাসনের আগে এই অঞ্চলে হয়তো ছোট ছোট জনবসতি ছিল।[11][12]
যোধপুর শহরটি রাঠোর বংশের রাজপুত প্রধান রাও যোধা ১৪৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পার্শ্ববর্তী অঞ্চল জয় করতে সফল হন এবং এইভাবে একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা মারোয়ার নামে পরিচিতি লাভ করে। রাও যোধা নিকটবর্তী শহর মান্ডোরের বাসিন্দা ছিলেন, সেই শহরটি প্রথমে রাজ্যের রাজধানী হিসাবে কাজ করে; তবে তাঁর জীবদ্দশায় যোধপুর রাজধানী শহরে উন্নীত হয়। শহরের মধ্যদিয়ে দিল্লিকে গুজরাটের সাথে সংযুক্তকারী কৌশলগত সড়ক অগ্রসর হয়ছে। এটি শহরটিকে আফিম, তামা, সিল্ক, চন্দন, খেজুর ও অন্যান্য ব্যবসা যোগ্য পণ্যসমূহের একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্য থেকে লাভ করতে সক্ষম করে।[13]
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারির প্রতিবেদন অনুসারে,[7] যোধপুরের জনসংখ্যা ছিল ১০,৩৩,,৯১৮ জন, যার মধ্যে প্রায় ৫২.৬২ শতাংশ পুরুষ এবং প্রায় ৪৭.৩৮ শতাংশ মহিলা রয়েছেন।
জলবায়ু
যোধপুরের জলবায়ু প্রায় বছরব্যাপী শুকনো মরসুমে উত্তপ্ত ও আধা শুষ্ক থাকে, তবে জুনের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের (কপ্পেন বিএসএইচ) সংক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। যদিও গড় বৃষ্টিপাত ৩৬২ মিমি (১৪.৩ ইঞ্চি) এর কাছাকাছি হয়, তবে এটি ব্যাপকভাবে ওঠানামা করে। দুর্ভিক্ষ বছর ১৮৯৯ সালের যোধপুরে মাত্র ২৪ মিমি (০.৯৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত প্রাপ্ত হয়, তবে ১৯১৭ সালের বন্যার বছরে ১,১৭৮ মিমি (৪৬.৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত ঘটে।
যোধপুর (১৯৭১–২০০০, চূড়ান্তভাবে ১৯৬৮–১৯৯৬)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩১.২ (৮৮.২) |
৩৬.০ (৯৬.৮) |
৪১.৬ (১০৬.৯) |
৪৫.০ (১১৩.০) |
৪৮.৯ (১২০.০) |
৪৭.৮ (১১৮.০) |
৪২.৬ (১০৮.৭) |
৪০.৩ (১০৪.৫) |
৪২.৫ (১০৮.৫) |
৪০.৬ (১০৫.১) |
৩৭.৫ (৯৯.৫) |
৩২.৩ (৯০.১) |
৪৮.৯ (১২০.০) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৪.৫ (৭৬.১) |
২৭.৪ (৮১.৩) |
৩৩.৪ (৯২.১) |
৩৮.৪ (১০১.১) |
৪১.২ (১০৬.২) |
৪০.০ (১০৪.০) |
৩৫.২ (৯৫.৪) |
৩৩.৫ (৯২.৩) |
৩৪.৯ (৯৪.৮) |
৩৫.৮ (৯৬.৪) |
৩১.২ (৮৮.২) |
২৬.৯ (৮০.৪) |
৩৩.৫ (৯২.৩) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ৯.৬ (৪৯.৩) |
১১.৭ (৫৩.১) |
১৭.৩ (৬৩.১) |
২২.৬ (৭২.৭) |
২৬.৫ (৭৯.৭) |
২৭.৮ (৮২.০) |
২৬.৪ (৭৯.৫) |
২৫.৪ (৭৭.৭) |
২৩.৯ (৭৫.০) |
২০.১ (৬৮.২) |
১৪.৭ (৫৮.৫) |
১১.২ (৫২.২) |
১৯.৮ (৬৭.৬) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ১.৮ (৩৫.২) |
০.৭ (৩৩.৩) |
৪.৪ (৩৯.৯) |
১৫.৬ (৬০.১) |
১৫.৪ (৫৯.৭) |
২০.০ (৬৮.০) |
২১.০ (৬৯.৮) |
২১.২ (৭০.২) |
১৮.৪ (৬৫.১) |
১২.৫ (৫৪.৫) |
৫.৮ (৪২.৪) |
১.৭ (৩৫.১) |
০.৭ (৩৩.৩) |
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ৪.০ (০.১৬) |
৪.০ (০.১৬) |
১.৩ (০.০৫) |
৪.৮ (০.১৯) |
১৭.৪ (০.৬৯) |
৪০.০ (১.৫৭) |
১২০.৫ (৪.৭৪) |
১১১.৮ (৪.৪০) |
৪৯.৯ (১.৯৬) |
৬.৯ (০.২৭) |
১.৯ (০.০৭) |
০.৫ (০.০২) |
৩৬২.৯ (১৪.২৯) |
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় | ০.৩ | ০.৬ | ০.৩ | ০.৬ | ১.২ | ২.১ | ৬.৫ | ৫.৯ | ২.৬ | ০.৬ | ০.২ | ০.০ | ২১.০ |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) (17:30 IST) | ২৭ | ২৪ | ২২ | ১৯ | ২০ | ৩৩ | ৫২ | ৫৮ | ৪৫ | ২৯ | ৩২ | ৩৩ | ৩২ |
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় | ৩০৩.৮ | ২৯১.০ | ২৮৮.৩ | ২৭৯.০ | ২৮৫.২ | ১৩২.০ | ৯৬.১ | ১২০.৯ | ১৮০.০ | ২৩২.৫ | ২৭০.০ | ২৯৪.৫ | ২,৭৭৩.৩ |
দৈনিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় | ৯.৮ | ১০.৩ | ৯.৩ | ৯.৩ | ৯.২ | ৪.৪ | ৩.১ | ৩.৯ | ৬.০ | ৭.৫ | ৯.০ | ৯.৫ | ৭.৬ |
উৎস: ভারত আবহাওয়া অধিদফতর (সূর্য ১৯৭১-২০০০)[14][15][16][17] |
অর্থনীতি
বিভিন্ন শিল্পের মাধ্যমে রাজস্থানের অর্থনীতিতে যোধপুরের ৪ বিলিয়ন ডলারের (প্রায়) অবদান রয়েছে। যোধপুর হল ভারতের ২০০ মিলিয়ন ডলারের হস্তশিল্প শিল্পের কেন্দ্র। ভারতের শীর্ষস্থানীয় ঐতিহ্যবাহী হোটেলসমূহের সাথে বহু পোর্টালের মাধ্যমে যোধপুর অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।[18][19]
বাড়মীর জেলার পাচপাদ্রায় হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচপিসিএল) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আসন্ন ৯ এমএমটিপিএ সক্ষমতার তেল শোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্সটি শহরের শিল্পের দৃশ্যকে মারাত্মকভাবে রূপান্তরিত করবে। পাচপাদ্রা যোধপুরের বোরনারের শিল্প অঞ্চল থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
শিক্ষা
যোধপুরে আইআইটি-জেইই, এনইইটি ও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার শীর্ষ কোচিং ইনস্টিটিউট সহ পশ্চিমের রাজস্থানের বৃহত্তম শিক্ষা কেন্দ্র।
তথ্যসূত্র
- "These Spectacular Shots of India's 'Blue City' Will Ignite Your Wanderlust"। HuffPost। ২৭ এপ্রিল ২০১৬।
- "Jodhpur.nic.in"। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১২।
- "जोधपुर में नए पुलिस कमिश्नर जोस मोहन ने संभाला पद, पहले ही दिन दी यह नसीहत"। Zee News (হিন্দি ভাষায়)। ৮ জুলাই ২০২০।
- "Jodhpur District Census 2011 Handbook: VILLAGE AND TOWN WISE PRIMARY CENSUS ABSTRACT (PCA)" (PDF)। Censusofindia.gov.in। পৃষ্ঠা 33। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৬।
- "Statical Information"। Jodhpur Municipal Corporation। ২০১৯-১০-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১।
- ORGI। "Census of India : Provisional Population Totals Paper 1 of 2011 : Rajasthan"।
- "Jodhpur City Population Census 2011 - Rajasthan"।
- Britannica, The Editors of Encyclopaedia। "Jodhpur, India"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২১।
- Gopal, Madan (১৯৯০)। K.S. Gautam, সম্পাদক। India through the ages। Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India। পৃষ্ঠা 178।
- "52 Places to go in 2020"। The New York Times। ১০ জানুয়ারি ২০২০।
- Rajasthan [district Gazetteers].: Jodhpur-page-18
- Rajasthan [district Gazetteers].: Jodhpur – Rajasthan (India)। Government Central Press। ১৯৭৯।
- Dhananajaya Singh (১৯৯৪)। The House of Marwar: The Story of Jodhpur। Lotus Collection। এএসআইএন B003FD2ISQ।
- "Station: Jodhpur RS/RW Climatological Table 1971–2000" (পিডিএফ)। Climatological Normals 1971–2000। India Meteorological Department। অক্টোবর ২০১১। পৃষ্ঠা 365–366। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২০।
- "Extremes of Temperature & Rainfall for Indian Stations (Up to 2012)" (পিডিএফ)। India Meteorological Department। ডিসেম্বর ২০১৬। পৃষ্ঠা M183। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২০।
- "Highest Maximum Temperature (°C) Ever Recorded" (পিডিএফ)। India Meteorological Department। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২০।
- "Table 3 Monthly mean duration of Sun Shine (hours) at different locations in India" (পিডিএফ)। Daily Normals of Global & Diffuse Radiation (1971–2000)। India Meteorological Department। ডিসেম্বর ২০১৬। পৃষ্ঠা M-3। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২০।
- =https://jodhpur.rajasthan.gov.in/content/raj/jodhpur/en/business/economy.html#
- http://www.thejodhpurinitiative.com/economicdevelopment.aspx