যু আমর অভিযান
যু আমর অভিযান (আরবি: غزوة ذي أمر),[1] গাতাফান অভিযান নামেও পরিচিত।[2] এটি ছাতুর যুদ্ধের পর ৩ হিজরির মুহাররাম মাসে (সেপ্টেম্বর, ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) সংঘটিত হয়।[3][4] বদর ও উহুদের মধ্যবর্তী সময়ে সংঘটিত অভিযানের মধ্যে এটি ছিল সর্ববৃহৎ।[1][2]
যু আমর অভিযান | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
মদিনার মুসলিম | বনু মুহারিব ও বনু সালাবাহ গোত্র | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
মুহাম্মাদ | অজ্ঞাত | ||||||
শক্তি | |||||||
৪৫০ | অজ্ঞাত | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
০ | বন্দী ১ |
অভিযান
সাওয়িক অভিযানের একমাস পর মুহাম্মাদ জানতে পারেন যে বনু গাতাফানের[5] অন্তর্গত বনু সালাবা ও বনু মুহারিব গোত্র মদিনা আক্রমণের জন্য নজদের যু আমরে একটি বাহিনী গঠন করেছে। তাই তাদেরকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে ৪০০ জনের একটি বাহিনী নিয়ে মুহাম্মাদ অভিযানে বের হন। এর পূর্বে তিনি উসমান ইবনে আফফানকে মদিনার দায়িত্ব দিয়ে যান।[1]
মুসলিমরা বনু সালাবা গোত্রের জুবার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। মুহাম্মাদ তাকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলে সে তা গ্রহণ করে এবং প্রতিপক্ষের অবস্থানে মুসলিমদের পৌছে দেয়ার জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে।[1][6]
মুসলিমদের আগমনের খবর পাওয়ার পর প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। মুসলিমরা অগ্রসর হয়ে প্রতিপক্ষের অবস্থানস্থলে গিয়ে পৌছায়। এই স্থানে যু আমর নামক একটি প্রস্রবণ ছিল। বেদুইনদের উপর প্রভাব ফেলার জন্য মুসলিমরা পুরো সফর মাস এখানে অতিবাহিত করে মদিনায় ফিরে আসে।[1]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- আর-রাহীকুল মাখতুম, গাজওয়ায়ে যু আমর অনুচ্ছেদ
- Strauch, Sameh (২০০৬), Biography of the Prophet, Darussalam Publications, পৃষ্ঠা 472, আইএসবিএন 978-9960-9803-2-4
- Tabari, Al (২০০৮), The foundation of the community, State University of New York Press, পৃষ্ঠা 100, আইএসবিএন 978-0-88706-344-2
- Watt, W. Montgomery (১৯৫৬)। Muhammad at Medina। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 978-0-19-577307-1। (free online)
- সিরাত ইবনে হিশাম, যু আমর অভিযান
- Haykal, Husayn (১৯৭৬), The Life of Muhammad, Islamic Book Trust, পৃষ্ঠা 267, আইএসবিএন 978-983-9154-17-7