যুক্ত প্রদেশ (ব্রিটিশ ভারত)
ব্রিটিশ ভারতের সংযুক্ত প্রদেশ যা সংযুক্ত প্রদেশ নামে বেশি পরিচিত, হল ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ। আগ্রা ও ওউধের সংযুক্ত প্রদেশ-এর নাম পরিবর্তন হয়ে ১৯২১ সালের ৩ জানুয়ারি এটি গঠিত হয়। এটি বর্তমান ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যগুলির সম্মিলিত অঞ্চলগুলির সাথে সম্পর্কিত। ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল যুক্তপ্রদেশ নামকরণ করা হলে এটির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায়।[1] ১৯২১ সালের কিছু পরে লখনউ এর রাজধানী হয়ে ওঠে।
ব্রিটিশ ভারতের সংযুক্ত প্রদেশসমূহ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের প্রদেশ | |||||||||
১৯২১–১৯৩৭ | |||||||||
পতাকা
প্রতীক
| |||||||||
ভারতের গভর্নর-জেনারেল-এর সংযুক্ত প্রদেশগুলির মানচিত্র | |||||||||
রাজধানী | লখনউ | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৯২১ | ||||||||
• বিলুপ্ত | ১৯৩৭ | ||||||||
| |||||||||
বর্তমানে যার অংশ | উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড |
প্রশাসনিক বিভাগ
ব্রিটিশ ভারতের সংযুক্ত প্রদেশগুলিতে ৪৮টি জেলাসহ ৯টি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
- মীরাট বিভাগ
- মীরাট জেলা
- ডেরা দুন জেলা
- সাহারানপুর জেলা
- মোজাফফরনগর জেলা
- বুলান্দশহর জেলা
- আলীগড় জেলা
- আগ্রা বিভাগ
- মুত্রা জেলা (মথুরা)
- আগ্রা জেলা
- ফারুকাবাদ জেলা
- মাইনপুরী জেলা
- ইটাওয়াহ জেলা
- এটা জেলা
- রোহিলখণ্ড বিভাগ
- বিজনর জেলা (বিজনোর)
- মোরাদাবাদ জেলা
- বুদুন জেলা
- বরেলি জেলা
- শাহজাহানপুর জেলা
- পিলিভিট জেলা
- এলাহাবাদ বিভাগ
- কাওনপুর জেলা (কানপুর)
- ফতেহপুর জেলা
- বান্দা জেলা
- এলাহাবাদ জেলা
- হামিরপুর জেলা
- ঝাঁসি জেলা
- জালাউন জেলা
- বেনারস বিভাগ
- মির্জাপুর জেলা
- বেনারস জেলা
- জৌনপুর জেলা
- গাজীপুর জেলা
- বালিয়া জেলা
- গোরক্ষপুর বিভাগ
- আজমগড় জেলা
- গোরক্ষপুর জেলা
- বাস্টি জেলা
- কুমুনা বিভাগ
- আলমোড়া জেলা
- নাইনী তাল জেলা
- গড়ওয়াল জেলা
- লখনউ বিভাগ
- লখনৌ জেলা
- উনাও জেলা (উন্নাও)
- রায়ে বরেলি জেলা
- হারডোই জেলা
- সীতাপুর জেলা
- খেরি জেলা
- ফৈজাবাদ বিভাগ
- ফৈজাবাদ জেলা
- বহরাঞ্চ জেলা
- গন্ডা জেলা
- সুলতানপুর জেলা
- বড় বঙ্কি জেলা
- পারতাবগড় জেলা
দেশীয় রাজ্য
- রামপুর রাজ্য
- তেহরি-গড়ওয়াল রাজ্য
দ্বৈত-শাসন (১৯২০-৩৭)
ভারত সরকার আইন ১৯১৯ যুক্ত প্রদেশের প্রাদেশিক আইন পরিষদকে আরও সম্প্রসারিত করে ১২৩টি আসনে বর্ধিত করে, যাতে আরও নির্বাচিত ভারতীয় সদস্য আইন পরিষদে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এই সংস্কারের মাধ্যমে দ্বৈত-শাসন নীতি প্রবর্তন হয়, এতে কৃষিক্ষেত্র, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং স্থানীয় সরকারএর কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব, নির্বাচিত মন্ত্রীদের কাছে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে অর্থ, পুলিশ এবং সেচের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলি গভর্নরের নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের কাছে সংরক্ষিত ছিল। যুক্ত প্রদেশের বিশিষ্ট সদস্য ও মন্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন: মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদ খান (স্বরাষ্ট্র সদস্য), সিওয়াই চিন্তামণি (শিক্ষা ও শিল্পমন্ত্রী) এবং জগৎ নারায়ণ মুল্লা (স্থানীয় স্বরাষ্ট্র সরকার)।[2]
আরো দেখুন
- ব্রিটিশ ভারতের যুক্ত প্রদেশের গভর্নরদের তালিকা
তথ্যসূত্র
- "Provinces of British India"। www.worldstatesmen.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৩।
- Jafri, Saiyid Zaheer Husain। Transformations in Indian History। Anamika Publishers and Distributors। পৃষ্ঠা 447।