যীশুর পুনরুত্থান

যীশুর পুনরুত্থান হলো যীশুকে পবিত্র ক্রুশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার নবজীবন লাভ সংক্রান্ত খ্রিস্টধর্মীয় বিশ্বাস। এটি খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের মৌলিক ধর্মতত্ত্ব এবং খ্রিস্টান হবার মূল বিশ্বাসের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। বলা হয়ে থাকেঃ ' তিনি (যিশু) তৃতীয় দিনে উত্থিত হন যেমনটি বলা আছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহে।'

যীশুর পুনরুত্থান;রাফায়েল

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ

নতুন নিয়মে (New Testament) বর্ণিত ঘটনাপ্রবাহ অনুযায়ী, রোমানরা যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার পরে, যিশুর দেহে মলম লাগানো হয় এবং জোসেফ নামে এক ব্যক্তি তাকে একটি নতুন সমাধিতে কবরস্থ করেন। কিন্তু ঈশ্বর (পিতা) তাকে সেখান থেকে মৃত অবস্থা থেকে পুনরুত্থিত করেন। পুনরুত্থান লাভের পর চল্লিশ দিনব্যাপী যিশু তার বহু শিষ্যের সাথে দেখা দেন। অতঃপর চল্লিশ দিন পর তিনি স্বর্গারোহন করেন এবং ঈশ্বরের দক্ষিণ হস্তের পাশে অধিষ্ঠান গ্রহণ করেন।

প্রেরিত পল ঘোষণা দেন যে, ' খ্রিস্ট আমাদের পাপের জন্য মারা গেছেন ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ভবিষদ্বাণি অনুসারে; তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে এবং তিনি তৃতীয় দিনে পুনরুত্থান লাভ করেছেন ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে।' (১ করিন্থীয়, ১৫ঃ ৩-৪)। অধ্যায়টি বলে যে, যিশুর মৃত্যু এবং তার পুনরুত্থান এই দুইটি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন খ্রিস্টানদের মৌলিক ধর্মবিশ্বাসের সাথে জড়িত, "যদি যিশুর পুনরুত্থান না হয়ে থাকে, তবে আমাদের ধর্মপ্রচার বৃথা, তোমাদের ধর্মবিশ্বাস নিরর্থক।'

খ্রিস্টানগণ ইস্টার সানডে (পুণ্য রবিবার) দিনটিকে যিশুর পুনরুত্থান দিবস হিসেবে পালন করেন। যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল পুণ্য শুক্রবারে। আর তার দুই দিন পর পুণ্য রবিবারে তিনি পুনরায় জীবিত হয়ে শিষ্যদের মাঝে ফিরে এসেছিলেন বলে খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন। ইস্টারের এই তারিখটি ইহুদিদের বিখ্যাত হিজরতের ঘটনার সময়কার পাসওভার উদ্‌যাপনের তারিখের সাথে মোটামুটি মিলে যায়, যা পূর্ণিমা রাতে উদ্‌যাপন করা হয়।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.