মৎস্যপুরাণ

মৎস্য পুরাণ প্রাচীনতম পুরাণগ্রন্থ এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু ধর্মশাস্ত্র। এটিতে মূলত বিষ্ণুর মৎস্য অবতারের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। এই যুগের পর থেকেই আর্য অর্থাৎ বর্তমান হিন্দু সমাজব্যবস্থার সূত্রপাত।

এই পুরাণের উপাখ্যান প্রাগৈতিহাসিক দ্রাবিড় পটভূমিকায় স্থাপিত। কেন্দ্রীয় চরিত্র মৎস্যদেব ও দ্রাবিড় সম্রাট সত্যব্রত, যিনি পরবর্তীকালে "আর্যপিতা" মনু নামে পরিচিত হন। ঠিক কোন সময়কালে এই কাহিনিটি সংঘঠিত হয়েছে তা বোঝা সম্ভব নয়; কারণ গ্রন্থে আশ্চর্যজনকভাবে ২ লক্ষ কোটি বছরের কথা বলা হয়েছে। কাহিনির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশের সূত্রপাত তখনই হয় যখন বিষ্ণু প্রলয়ের আগে রাজা সত্যব্রতের সম্মুখে মৎস্য অবতার রূপে আবির্ভূত হন; এই সময় সত্যব্রত তার দ্রাবিড় রাজ্যের মলয় পর্বতের পাদদেশে তপস্যারত ছিলেন; প্রলয়ের পরে এই মলয় পর্বতের চূড়াতেই তিনি তার জাহাজ বাঁধেন।[1]

এই পুরাণে সূর্যপুত্র সত্যব্রত বা মনুর জীবনবৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে। যদিও এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য প্রলয়ের বিবরণ এবং মৎস্যদেব কীভাবে মনুকে নির্দেশদান করে তার পরিবার ও অল্পসংখ্যক মানুষের প্রাণরক্ষা করেন; এবং তার সম্মুখে বেদ প্রকাশ করে নতুন এক আর্য বা বৈদিক সমাজব্যবস্থা প্রচলনে সহায়তা করেন – তার বৃত্তান্ত রয়েছে।

বর্ণিত বিষয়ের বিবরণ

মনুমৎস্যসংবাদ, ব্রহ্মাণ্ডোৎপত্তি, দেবাদির উদ্ভব, মন্বন্তর নিরূপণ, পিতৃবংশবিবরণ, শ্রাদ্ধকাল, চন্দ্রোৎপত্তি, চন্দ্রবংশ কীর্তন, কার্তবীর্য উপাখ্যান, ভৃগুশাপে বিষ্ণুর পৃথিবীতে জন্ম, পুরুবংশকীর্তন, ক্রিয়াযোগ, বহুবিধ ব্রত, দানাদি পূণ্যকর্ম, তারকোৎপত্তি, পার্বতীর জন্ম, তপস্যা ও বিবাহ, কার্তিকের জন্ম, তারক বধ, পিতৃগাথা, সাবিত্রী উপাখ্যান, বিবিধ উৎপাত ও গ্রহশান্তিবিধি, বামন-মাহাত্ম্য, প্রতিমালক্ষণ, প্রতিমা ও দেবালয় প্রতিষ্ঠা, ভাবী রাজবংশ, মহাদান প্রভৃতি।

তথ্যসূত্র

  1. http://www.indiadivine.org/articles/442/1/The-Matsya-Purana/Page1.html%5B%5D

আরও পড়ুন

  • Mani, Vettam. Puranic Encyclopedia. 1st English ed. New Delhi: Motilal Banarsidass, 1975

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.