ম্যাসিডনের প্রথম ইউরিদিকে
প্রথম ইউরিদিকে (গ্রিক: Εὐρυδίκη) ম্যাসিডন শাসনকারী আর্গিয়াদ রাজবংশের রাজা তৃতীয় আমুনতাসের রাণী ছিলেন।[1][2][3][4]
প্রথম ইউরিদিকে | |
---|---|
ম্যাসিডনের রাণী | |
জন্ম | ৪০৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ |
সমাধি | ভের্গিনা |
দাম্পত্য সঙ্গী | তৃতীয় আমুনতাস |
বংশধর | দ্বিতীয় আলেকজান্ডার তৃতীয় পেরদিক্কাস দ্বিতীয় ফিলিপ ইউরিনোয়ে |
প্রাসাদ | আর্গিয়াদ |
পিতা | সিরাস |
প্রথম জীবন
ইউরিদিকে ৪১০ থেকে ৪০৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে, খুব সম্ভবতঃ ৪০৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।[5] তাঁর পিতা ইলিরিয় জনজাতির[6][7][8][9] সিরাস[5]:৯[10][11] লুঙ্কেস্তিসের রাজা আররাবাইওসের জামাতা ছিলেন। ৩৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্ভবতঃ ইলিরিয়দের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে আগ্রহী হয়ে, ম্যাসিডনের রাজা তৃতীয় আমুনতাস ইউরিদিকেকে বিবাহ করেন।[12][13] যদিও তৃতীয় আমুনতাসের গিগিয়া নামক অপর একজন পত্নী ও তাঁদের তিন সন্তান ছিল, ইউরিদিকে ধীরে ধীরে তাঁর প্রধানা পত্নী হয়ে ওঠেন।[6] তৃতীয় আমুনতাসের ঔরসে ইউরিদিকের গর্ভে দ্বিতীয় আলেকজান্ডার, তৃতীয় পেরদিক্কাস ও দ্বিতীয় ফিলিপ নামক দুই পুত্র ও ইউরিনোয়ে নামক এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাঁর পুত্রই পরবর্তীকালে ম্যাসিডনের সিংহাসনে আরোহণ করেন।[4][14]
ষড়যন্ত্র
প্রাচীন রোমান ঐতিহাসিক জাস্টিনের মতে, ইউরিদিকে তাঁর জামাতা টলেমির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তৃতীয় আমুনতাসকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন এবং এরপর টলেমিকে বিবাহ করে রাজ্যের শাসনভার তাঁর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কন্যা ইউরিনোয়ে এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরে তাঁর পিতাকে সব জানিয়ে দেন কিন্তু তৃতীয় আমুনতাস কোন শাস্তি না দিয়ে ইউরিদিকেকে ক্ষমা করে দেন।[3][6] ৩৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৃতীয় আমুনতাসের মৃত্যু হলে, তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিতীয় আলেকজান্ডার সিংহাসনে আরোহণ করলে দুই বছরের মধ্যে টলেমি তাঁকে হত্যা করেন, কিন্তু থিবসের সেনাপতি পেলোপিদাসের চাপে নিজে ম্যাসিডনের শাসক না হয়ে পরবর্তী রাজা নাবালক তৃতীয় পেরদিক্কাসের রাজপ্রতিনিধি হয়ে থাকতে বাধ্য হন।[15]
সমাধি
১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে গ্রিক পুরাতত্ত্ববিদ মানোলিস আন্দ্রোনিকোস ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ভের্গিনায় ইউরিদিকে ও ম্যাসিডনিয় রাজপুরুষদের সমাধিস্থল আবিষ্কার করেন।[16] ইউরিদিকের মৃত্যুর পর থেকেই এই সমাধিস্থলে বার বার চুরি ও ডাকাতি হয়ে এসেছে। সম্প্রতি ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই আগস্ট ও ৯ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইউরিদিকের সমাধি লুঠ করে ডাকাতরা সাতটি মার্বেলের মূর্তি নিয়ে চলে যায়।[16] এই সমাধিস্থল থেকে প্রাপ্ত ৩৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি ভাঙ্গা পাত্রের টুকরোয় খোদিত একটি লিপিতে ইউরিদিকেকে সিরাসের কন্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[17][18]
তথ্যসূত্র
- Sarah B. Pomeroy, Stanley M. Burstein, Walter Donlan, Jennifer Tolbert Roberts (২০০৭)। ANCIENT GREECE: A Political, Social, and Cultural History। Oxford University Press, USA। পৃষ্ঠা 410। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৯, ২০১১।
- "Suda On Line: Byzantine Lexicography – "Karanos""। www.stoa.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১৭।
- Smith, William। "A Dictionary of Greek and Roman biography and mythology. By various writers. Ed. by William Smith. Illustrated by numerous engravings on wood."। Digital Collections। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১৭।
- Encyclopedia of World Biography (২০০৪)। "Alexander the Great"। encyclopedia.com। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৩, ২০১১।
- Elias Kapetanopoulos - Sirras
- Carney, Elizabeth Donnelly (২০০০)। Women and Monarchy in Macedonia। University of Oklahoma Press। পৃষ্ঠা 369। আইএসবিএন 9780806132129।
- Obbink, Dirk; Parsons, P. J. (২০১১)। Culture In Pieces: Essays on Ancient Texts in Honour of Peter Parsons। OUP Oxford। পৃষ্ঠা 342। আইএসবিএন 9780199292011।
- Plant, Ian Michael (২০০৪)। Women Writers of Ancient Greece and Rome: An Anthology। University of Oklahoma Press। পৃষ্ঠা 268। আইএসবিএন 9780806136219।
- Adams, W. Lindsay; Borza, Eugene (১৯৮২)। Philip II, Alexander the Great, and the Macedonian heritage। University Press of America। পৃষ্ঠা 302।
- Roisman, Joseph; Worthington, Ian (২০১০)। A Companion to Ancient Macedonia। John Wiley and Sons। পৃষ্ঠা 161। আইএসবিএন 978-1-4051-7936-2। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৯।
- Schuett, Curt (১৯১০)। Untersuchungen zur Geschichte der alten Illyrier (German ভাষায়)। Theiner & Meinicke। পৃষ্ঠা X। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৯।
- Worthington, Ian (২০০৮)। PHILLIP II of Macedonia। New Haven and London: Yale। পৃষ্ঠা 15। আইএসবিএন 978-0-300-12079-0।
- "Philip II of Macedonia"। The Ancient World, Volume I। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২১, ২০১১।
- Justin (Marcus Junianus Justinus) (২০০৪)। "Epitome of the Philippic History of Pompeius Trogus - Book 7, Chapter IV: Family of Amyntas"। www.forumromanum.org। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৭, ২০১১।
- Diodorus Siculus (২০০৪)। "Diodorus Siculus, Library"। www.perseus.tufts.edu। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৭, ২০১১।
- Mark, Rose (নভেম্বর–ডিসেম্বর ২০০১)। "Royal Tomb Robbery"। Archaeological Institute of America। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২০, ২০১১।
- Sourvinou-Inwood, Christiane (২০০৩)। Tragedy and Athenian religion। Lexington Books। পৃষ্ঠা 44। আইএসবিএন 978-0-7391-0400-2।
- SEG 33:556