ম্যাথু হেইডেন
ম্যাথু লরেন্স হেইডেন, এএম (ইংরেজি: Matthew Hayden; জন্ম: ২৯ অক্টোবর, ১৯৭১) কুইন্সল্যান্ডের কিঙ্গারয় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার হিসেবে সমগ্র ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তার শক্তিশালী ও আক্রমণধর্মী ব্যাটিং সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেইডেন টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে খুব দ্রুত রান সংগ্রহকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। টেস্টে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সাথে উদ্বোধনী জুটি এবং অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সাথে একদিনের আন্তর্জাতিকে বিশ্ব ক্রিকেটে খুবই জনপ্রিয় ও দলের জন্য ফলদায়ক ছিল।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ম্যাথু লরেন্স হেইডেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিঙ্গারয়, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | ২৯ অক্টোবর ১৯৭১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | হেইডস, ইউনিট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম, ডানহাতি লেগ-ব্রেক লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৫৯) | ৪ মার্চ ১৯৯৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১১) | ১৯ মে ১৯৯৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৪ মার্চ ২০০৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ২৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-২০০৯ | কুইন্সল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭ | হ্যাম্পশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯-২০০০ | নর্দাম্পটনশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | চেন্নাই সুপার কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১২ | ব্রিসবেন হিট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ |
সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে তিনি সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।[1]
টেস্ট ক্রিকেট
৪-৮ মার্চ, ১৯৯৪ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে হেইডেনের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডেরার্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ খেলার উভয় ইনিংসে ১৫ ও ৫ রান সংগ্রহ করেন।[2] ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে ৩ টেস্টের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন। অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত খেলায় তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি ১২৫ রানের অভিষেক সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু ঐ সিরিজে ২১.৭০ গড়ে রান সংগ্রহ করেন ও দুইবার শূন্য রান পান। ফলে তিনি দল থেকে বাদ পড়েন ও মার্ক টেলর এবং ম্যাথু এলিয়টকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরবর্তী কয়েক বছর খেলানো হয়। ঐ সময়ে প্রায়শঃই তাকে গ্রেইম হিকের সাথে তুলনা করা হতো যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য চমকপ্রদ কিন্তু ক্রিকেটের উচ্চস্তরের জন্য উপযুক্ত নন।
বিতর্ক
২০০৩ সালে সিডনিতে অনুষ্ঠিত নববর্ষের টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আম্পায়ার কর্তৃক আউটের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে রাগে প্যাভিলিয়নের জানালা ভেঙ্গে ফেলেন। পরবর্তীতে এ ঘটনার জন্য তাকে জরিমানা প্রদান করতে হয়।
২০০৭-০৮ মৌসুমে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির ২য় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতীয় দল বর্ণবাদের অভিযোগ আনে। এ ঘটনার পর ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক তাকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। ঘটনা পরম্পরায় ব্রিসবেন রেডিও স্টেশনে তিনি ভারতের ফাস্ট বোলার ইশান্ত শর্মাকে মুষ্টিযুদ্ধ খেলায় আমন্ত্রণ জানান।[3] ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিনি তার বক্তব্য পুনরায় উপস্থাপন করেন।[4] কিন্তু তিনি নিজের আবেগকে সংযত রাখেন।[5]
ভারতকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে উল্লেখ করায় বিসিসিআইসহ সাবেক পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম তার কড়া সমালোচনা করেন।[6] ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পরাজিত হয়ে নিজ দেশে ফিরে মাঠের দূর্বল অবকাঠামো, দেরীতে খেলা আরম্ভ করা যা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে নিজ অবস্থান তুলে ধরেন।[7] তারপরও তিনি তার বক্তব্যকে যথার্থ হিসেবে দাবী করেন।[8]
মার্চ, ২০১৩ সালে কুইন্সল্যান্ড সরকার[9] কর্তৃক অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করার প্রচারণার জন্য মনোনীত করা হয়।[10]
অবসর
১৩ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে গাব্বায় সংবাদ সম্মেলন করেন হেইডেন। সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।[1][11] নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় অস্ট্রেলিয়া সফরে তার দূর্বল ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করাই এর প্রধান কারণ। নয় ইনিংসের কোনটিতেই তিনি ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।[12] অবসরের ঘোষণার পর সতীর্থ রিকি পন্টিং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তার অবদানের কথা স্বীকার করেন।[13] পাশাপাশি তিনি সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সাথে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কথাও একবাক্যে স্বীকার করেন।[14] পরিসংখ্যানগতভাবে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে হেইডেনকে মনে করা হয়।[15]
অর্জনসমূহ
অবসরের পূর্বে জানুয়ারি, ২০০৯ সালে তার টেস্ট গড় ছিল ৫০.৭০। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে হেইডেন টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। টেস্ট সেঞ্চুরিতে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় জ্যাক ক্যালিসের সাথে যৌথভাবে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছেন।
যে-কোন কুইন্সল্যান্ডারের তুলনায় টেস্ট ও ওডিআইয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। ৮,৬২৫ রান নিয়ে তিনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে চতুর্থ শীর্ষ রান সংগ্রাহক হিসেবে রয়েছেন।[16][17]
তথ্যসূত্র
- "Matthew Hayden retires from all cricket"। Wisden India। ২০ জুলাই ২০১২। ২৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৪।
- Cricinfo – Players and Officials – Matthew Hayden
- Julian Linden (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Hayden charged for 'obnoxious weed' comments"। Independent.co.uk। London। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- Cricinfo Staff (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Hayden reprimanded for weed comment"। content-usa.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- Jon Pierik (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Harbhajan:Nobody likes Matthew Hayden"। content-new.com.au। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- http://www.rediff.com/cricket/2008/nov/15akram-attacks-hayden-for-comments-about-india.htm
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৪।
- "Hayden explains third world remarks"। blogs.cricinfo.com। ২০ নভেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০০৯।
- http://statements.qld.gov.au/Statement/2013/3/20/matt-hayden-goes-into-bat-for-queensland-tourism
- "Matt Hayden goes into bat for Queensland tourism"। ২০ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৩।
- "Matthew Hayden announces retirement"। ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৪।
- Cricket Australia
- "Ponting leads Hayden tributes"। ECB। ২২ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- "Langer hails 'best ever opener' Hayden"। ABC News। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- "'Hayden the best opener'"। The Citizen। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- "Records / Australia / Test matches / Most runs"। Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৮।
- "Records / Australia / One-Day Internationals / Most runs"। Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৮।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ম্যাথু হেইডেন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ম্যাথু হেইডেন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
রেকর্ড | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ব্রায়ান লারা |
বিশ্বরেকর্ড - টেস্ট ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ৩৮০* জিম্বাবুয়ে, পার্থ, ২০০৩-০৪ |
উত্তরসূরী ব্রায়ান লারা |