ম্যাডান থিয়েটার
ম্যাডান থিয়েটার কোম্পানী [সংক্ষেপে ম্যাডান থিয়েটার] একটি লুপ্ত চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা যা ভারতীয় সিনেমার অন্যতম পথিকৃৎ জামশেদজি ফ্রেমজি ম্যাডান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
ইতিহাস
ছোটবেলা থেকেই থিয়েটার শোতে অভিজ্ঞ পার্সিয়ান ব্যবসায়ী ম্যাডান ১৯০২ সালে কলকাতার ময়দানে আমদানি করা সিনেমাগুলির একটি বায়োস্কোপ শো দেখানোর মাধ্যমে বিনোদন ব্যবসায় শুরু করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে, ম্যাডান থিয়েটার ব্যবসা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। ১৯১৯ সালে, তার ব্যবসা ম্যাডান থিয়েটারস লিমিটেড নামে একটি যৌথ স্টক সংস্থায় পরিণত হয়। ম্যাডান থিয়েটারস এবং এর সহযোগীদের সেই দিনগুলিতে ভারতে থিয়েটার হাউস বা প্রেক্ষাগৃহগুলির উপর দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ ছিল। জামশেদজি ফ্রেমজি ম্যাডান এর তৃতীয় পুত্র জেজে মদন ১৯২৩ সালে পিতার মৃত্যুর পরে মদন থিয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। ১৯২০-এর দশকের শেষদিকে মদন থিয়েটারসের ১২৭টি থিয়েটার বা প্রেক্ষাগৃহ ছিল, ভারতবর্ষের অর্ধেক বক্স অফিস তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, যা থিয়েটার ব্যবসায় ম্যাডান থিয়েটারসকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেয়[1] মদন থিয়েটারস ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছিল।
চলচ্চিত্রের তালিকা
- বিল্বমঙ্গল (১৯১৯), কর্নওয়ালিস থিয়েটারে প্রদর্শিত (বর্তমানে শ্রী সিনেমা নামে পরিচিত) বাংলা ফিচার ফিল্ম।
- ইউলাওনিও ডি লিগুরো পরিচালিত নালা দামায়ন্তি (১৯২০)।
- ধ্রুব চরিত্র (১৯২১), ইউজিনিও ডি লিগুরো পরিচালিত।
- রতনাওয়ালি (১৯২২), ক্যামিল লে গ্র্যান্ড পরিচালিত।
- সাবিত্রী সত্যবান (১৯২৩), জর্জিও মান্নিনি পরিচালিত।
- বিষবৃক্ষ (১৯২২ এবং ১৯২৮)।
- দুর্গেশনন্দিনী (১৯২৭) এবং রাধারানী (১৯৩০), বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর রচনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
- গিরিবালা (১৯৯৯), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাজের উপর ভিত্তি করে।
- বাংলা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জামাই ষষ্ঠী( ১৯১৩ ) ১৯ এপ্রিল ১৯৩১ সালে মুক্তি পেয়েছিল। [2]
- ইন্দ্রসভা (১৯৩২), ৭২ গানের একটি সংগীতচিত্র।
তথ্যসূত্র
- p 520, The SAGE Handbook of Media Studies, John H Downing et al., SAGE, 2004, আইএসবিএন ০-৭৬১৯-২১৬৯-৯
- IMDB page on Jamai Sasthi