ম্যাক্স স্টাইনার

ম্যাক্সিমিলিয়ান রাউল স্টাইনার[lower-alpha 1] (১০ মে ১৮৮৮ - ২৮ ডিসেম্বর ১৯৭১) ছিলেন অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। তিনি মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্রের সুর করতেন। তিনি শিশু মহাবিস্ময় ছিলেন, যিনি ১২ বছর বয়সে প্রথম একাঙ্ক গীতিনাটক রচনা করেন এবং ১৫ বছর বয়সে পুরোদমে সুর সৃষ্টি, সুরায়োজন ও সঙ্গীতায়োজন দিয়ে তার পেশাদার কর্মজীবন শুরু করেন।

ম্যাক্স স্টাইনার
Max Steiner
স্টাইনার সুর সৃষ্টি করছেন
জন্ম
ম্যাক্সিমিলিয়ান রাউল স্টাইনার

(১৮৮৮-০৫-১০)১০ মে ১৮৮৮
মৃত্যুডিসেম্বর ২৮, ১৯৭১(1971-12-28) (বয়স ৮৩)
জাতীয়তামার্কিন (naturalized citizen 1920)
দাম্পত্য সঙ্গীবিয়াট্রিচ স্টাইনার (বি. ১৯১২–?)
অব্রি স্টাইনার
(বি. ১৯২৭; বিচ্ছেদ. ১৯৩৩)

লুইস ক্লোস
(বি. ১৯৩৬; বিচ্ছেদ. ১৯৪৬)

লিওনেট "লি" স্টাইনার
(বি. ১৯৪৭–১৯৭১)
সঙ্গীত কর্মজীবন
পেশাসুরকার, সঙ্গীত আয়োজক, সঙ্গীত নির্দেশক
কার্যকাল১৯০৭-১৯৬৫
লেবেলওয়ার্নার ব্রস., আরকেও পিকচার্স

স্টাইনার প্রথমে ইংল্যান্ডে ও পরে ব্রডওয়ে মঞ্চে কাজ করেন এবং ১৯২৯ সালে তিনি হলিউডে আসেন। তিনি হলিউডে চলচ্চিত্রের জন্য সুর সৃষ্টিকারী প্রথম দিকে সুরকারদের একজন। তাকে "চলচ্চিত্রের সঙ্গীতের জনক" হিসেবে অভিহিত করা হয়, কারণ তিনি দিমিত্রি তিয়োমকিন, ফ্রানৎস ভাক্সমান, এরিখ ভোলফগাং কর্নগোল্ড, অ্যালফ্রেড নিউম্যান, বার্নার্ড হারমান, ও মিকলোশ রোজার মত সুরকারদের সাথে চলচ্চিত্রের সঙ্গীত সৃষ্টির ধারার সূত্রপাতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।

স্টাইনার আরকেও পিকচার্সওয়ার্নার ব্রসের প্রযোজিত তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সুরারোপ করেন, এবং ২৪টি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন থেকে দি ইনফর্মার (১৯৩৫), নাউ, ভয়েজার (১৯৪২) ও সিন্স ইউ ওয়েন্ট অ্যাওয়ে (১৯৪৪) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর বিভাগে তিনটি পুরস্কার অর্জন করেন। অস্কার বিজয়ী এই চলচ্চিত্রগুলো ছাড়াও তার অন্যান্য জনপ্রিয় কাজ হল লিটল উইমেন (১৯৩৩), জেজবেল (১৯৩৮) ও কাসাব্লাঙ্কা (১৯৪২)। তার সুরারোপিত গন উইথ দ্য উইন্ড (১৯৩৯) ও কিং কং (১৯৩৩) চলচ্চিত্রের সুর দুটি আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ২০০৫ সালের করা সেরা মার্কিন চলচ্চিত্রের সুর তালিকায় যথাক্রমে ২য় ও ১৩তম স্থান অধিকার করে।[1]

তিনি শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের প্রথম বিজেতা। তিনি লাইফ উইথ ফাদার (১৯৪৭) চলচ্চিত্রের জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেন। স্টাইনার মাইকেল কার্টিজ, জন ফোর্ড, উইলিয়াম ওয়াইলারসহ ইতিহাসের বেশ কয়েকজন প্রসিদ্ধ চলচ্চিত্রের পরিচালকের সাথে একাধিকবার কাজ করেছেন এবং এরল ফ্লিন, বেটি ডেভিস, হামফ্রি বোগার্টফ্রেড অ্যাস্টেয়ারদের একাধিক চলচ্চিত্রের সুরারোপ করেছেন। তার একাধিক চলচ্চিত্রের সুর আলাদা সাউন্ডট্র্যাক রেকর্ডিং হিসেবে পাওয়া যায়।

চলচ্চিত্রের তালিকা

আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের তার সুরারোপিত গন উইথ দ্য উইন্ড (১৯৩৯) ও কিং কং (১৯৩৩) চলচ্চিত্রের সুর দুটিকে তাদের ২০০৫ সালের সেরা ২৫ চলচ্চিত্রের সুর তালিকায় যথাক্রমে ২ ও ১৩ নং স্থান প্রদান করে। এই তালিকায় মনোনীত তার অন্যান্য চলচ্চিত্রের সুর হল:[2]

  • দি ইনফর্মার (১৯৩৫)
  • জেজবেল (১৯৩৮)
  • ডার্ক ভিক্টরি (১৯৩৯)
  • কাসাব্লাঙ্কা (১৯৪২)
  • নাউ, ভয়েজার (১৯৪২)
  • অ্যাডভেঞ্চার অব ডন জুয়ান (১৯৪৮)
  • জনি বেলিন্ডা (১৯৪৮)
  • দ্য ট্রেজার অব দ্য সিয়েরা মাদ্রি (১৯৪৮)
  • আ সামার প্লেস (১৯৫৯)

টীকা

  1. স্টাইনার তার আত্মজীবনীতে তার পূর্ণ নাম "ম্যাক্সিমিলিয়ান রাউল ওয়াল্টার স্টাইনার" বলে উল্লেখ করেন। তবে ভিয়েনার আইকেজিতে তার জন্ম নিবন্ধনে কিংবা তার জীবন সম্পর্কিত অন্য কোন দাপ্তরিক নথিপত্রে "ওয়াল্টার" ছিল না। এছাড়াও, তিনি কেন এই নামের উল্লেখ করেছেন তাও অজানা। তাই এই নিবন্ধে তার নামের এই অংশটি যুক্ত করা হয়নি।

তথ্যসূত্র

  1. "AFI's 100 YEARS OF FILM SCORES"এএফআইআমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  2. "AFI's 100 YEARS OF FILM SCORES" (পিডিএফ)এএফআইআমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। ১৩ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.