মৌলিক পদার্থ

যে সব পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায়না তাদেরকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলা হয়। এদের একটি অণু একই রকম এক বা একাধিক পরমাণুর সমন্বয়ে তৈরি। যেমন, একটি মৌলিক পদার্থ, অক্সিজেনের অণু O2 দুটি একইরকম অক্সিজেন পরমাণু O এর সমন্বয়ে গঠিত।

এ পর্যন্ত মোট ১১৮টি মৌল চিহ্নিত হয়েছে যার মধ্যে ৯৮টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, বাকী ২০টি কৃত্রিম উপায়ে তৈরী করা হয়। সাধারণত, একটি মৌলের পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা নির্দিষ্ট বা একই মৌলের প্রতিটি পরমাণুতে সমান সংখ্যা প্রোটন থাকে (অর্থাৎ, তাদের প্রত্যেকের পারমাণবিক সংখ্যা একই এবং ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ভিন্ন)। তাই, সাধারণভাবে প্রোটন সংখ্যা দ্বারা কোন মৌল চেনা যায়। তবে, একই মৌলের ভিন্ন প্রোটন সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণুও রয়েছে, যাদেরকে আইসোটোপ বলে। পারমাণবিক সংখ্যার ঊর্ধ্বক্রমানুসারে সাজালে, ১১৮ টি মৌলের প্রথম ৮০টির অন্তত একটি করে আইসোটোপের স্থায়ী রূপ রয়েছে (কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া), বাকী ৩৮টি মৌলের আইসোটোপ তেজষ্ক্রিয়, যা সময়ের সাথে ক্ষীয়মাণ।

প্রকৃতিতে যে মৌলগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর ৩২টি মুক্তভাবে অর্থাৎ মৌলিক খনিজ রূপে থাকে (যেমন, তামা, সোনা, রূপা, কার্বন, গন্ধক ইত্যাদি)। বাকীগুলো বিভিন্ন যৌগ গঠন করে অর্থাৎ যৌগিক খনিজ রূপে বিদ্যমান। হাজার ১৮০৩ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী জন ডাল্টন পরীক্ষালব্ধ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার সম্পর্কে বলেন।

মৌলের তালিকা

পারমাণবিক সংখ্যা প্রতীক মৌলের নাম পারমাণবিক ভর পর্যায় শ্রেণী আপেক্ষিক গুরুত্ব বা ঘনত্ব
(gcm−1)
গলনাঙ্ক (c) স্ফুটনাঙ্ক (c) আপেক্ষিক তাপধারণ ক্ষমতা (Jg−1K−1) তড়িৎ ঋণাত্মকতা পৃথিবীর ক্রাস্টে প্রাপ্যতা (ppm)
H হাইড্রোজেন১.০০৭৯৪০.০০০৮৯৮৮−২৬৯.১৬−২৫২.৮৭৯১৪৩০৩.৫৭২.২১,৪০০ −১,৫০০
He হিলিয়াম৪.০০২৬০২১৮০.০০১৭৮৫−২৭২.২−২৬৮.৯২৮৫১৯৩.১২০.০০৮
Li লিথিয়াম৬.৯৪১০.৫৩৪১৮০.৫১৩৩০৩৫৮১.৬২০.৯৮১৭−২০
Be বেরিলিয়াম৯.১২১৮৯১.৮৪৮১২৮৭১৮০২.৫৯১৮০২.৫৮৬১.৫৭১.৯−২.৮
B বোরন১০.৮১১১৩২.৩৪২০৭৬৩৯২৭১০২৫.৫৩২.০৪৯৫০
C কার্বন১২.১০৭১৪২.২৬৭৩৬৪২ (উর্ধ্বপাতন)৭০৩.৪৮২.৫৫২০০ −১,৮০০
N নাইট্রোজেন১৪.৬৭১৫০.০১২৫০৬−২০৯.৮৬−১৯৫.৭৯৫৯৯২.৬৪৩.০৪১৯−৫০
O অক্সিজেন১৫.৯৯৯৪১৬০.০১৪২৯−২১৮.৭৯−১৮২.৯৬২৯১৮.০৭৩.৪৪৪.৬×১০−৪.৭৪×১০
F ফ্লোরিন১৮.৯৯৮৪০৩২১৭০.০১৬৯৬−২১৯.৬৭−১৮৮.১১৮২৩.৮৮৩.৯৮২৯০ −৯৫০
১০Ne নিয়ন২০.১৭৯৭১৮০.০০৯০০২−২৪৮.৫৯−২৪৬.৪৬১০৩০.০৫০.০০৫১
১১Na সোডিয়াম২২.৯৮৯৭৭০০.৯৬৮৯৭.৭৯৪৮৮২.৯৪১২২৭.৯৪০.৯৩২৩,০০০−২৮,০০০
১২Mg ম্যাগনেসিয়াম২৪.৩০৫০১.৭৩৮৬৫০১০৯১১০২৩.২১১.৩১২০,৯০০−২৯,০০০
১৩Al অ্যালুমিনিয়াম২৬.৯৮১৫৩৮১৩২.৬৯৮৯৬৬০.৩২২৪৭০৮৯৬.৯১১.৬১৮০,৭০০−৮২,০০০
১৪Si সিলিকন২৮.০৮৫৫১৪২.৩২৯৬১৪১৪৭০৪.৬৩২৬৫১.৯২.৭×১০−২.৭৭২×১০
১৫P ফসফরাস৩০.৯৭৩৭৬১১৫১.৮২৪৪.১৫৫৫৩.৭৭৬৯.১৭২.১৯১,০০০ −১,৩০০
১৬S সালফার৩২.০৬৫১৬২.০৬৭১১৫.২১৪৪৪.৬৭০৯.৫২.৫৮২৬০ −৫২০
১৭Cl ক্লোরিন৩৫.৪৫৩১৭০.০৩২১৪−১০১.৫−৩৪.০৪৪৭৮.৭৯৩.১৬১৩০ −৫০০
১৮Ar আর্গন৩৯.৯৪৮১৮০.০১৭৮৩৮−১৮৯.৩৪−১৮৫.৮৪৮৫২০.৩৩৩.৫
১৯K পটাশিয়াম৩৯.০৯৮৩০.৮৬২৬৩.৫৭৫৯৭৫৭.০৭০.৮২১৫,০০০−২৫,৯০০
২০Ca ক্যালসিয়াম৪০.০৭৮১.৫৫৮৪২১৪৮৪৬৪৬.৯৬৩৬,৩০০−৫০,০০০
২১Sc স্ক্যান্ডিয়াম৪৪.৯৫৫৯১২.৯৮৯১৫৪১২৮৩৬৫৬৭.৬৭১.৩৬১৬−২৬
২২Ti টাইটেনিয়াম৪৭.৮৬৭৪.৫৪১৬৬৮৩২৮৭৫২৩.৫৩১.৫৪৪,৪০০ − ৬,৬০০
২৩V ভ্যানাডিয়াম৫০.৯৪১৫৬.১১১৯১০৪৪৮.৬১.৬৩১০০ −১৯০
২৪Cr ক্রোমিয়াম৫১.৯৯৬১৭.১৯১৯০৭২৬৭১৪৪৯.০৭১.৬৬১০০ −৩৫০
২৫Mn ম্যাঙ্গানিজ৫৪.৯৩৮০৪৯৭.৪৩১২৪৬২০৬১৪৭৯.০৮১.৫৫৯০০ −১,১০০
২৬Fe আয়রন৫৫.৮৪৫৭.৮৭৪১৫৩৮২৮৬২৪৪৯.৪৬১.৮৩৪১,০০০−৬৩,০০০
২৭Co কোবাল্ট৫৮.৯৩২৮.৯১৪৯৫২৯২৭৪২০.৯৯১.৮৮২০−৩০
২৮Ni নিকেল৫৮.৬৯৩৪১০৮.৯০২১৪৫৫২৭৩০৪৪৪.১৭১.৯১৮০−১৯০
২৯Cu কপার৬৩.৫৪৬১১৮.৯৬১০৮৪.৬২২৫৬২৩৮৪.৬১.৯৫০ −১০০
৩০Zn জিংক৬৫.৪০৯১২৭.১৩৪৪১৯.৫৩৯০৭৩৮৮.১৭১.৬৫৭৫−৭৯
৩১Ga গ্যালিয়াম৬৯.৭২৩১৩৫.৯০৭২৯.৭৬৪৬২৪০০৩৭০.৮৯১.৮১১৮−১৯
৩২Ge জার্মেনিয়াম৭২.৬৪১৪৫.৩২৩৯৩৮.২৫২৮৩৩৩১৯.৬৯২.০১১.৪−১.৮
৩৩As আর্সেনিক৭৪.৯২১৬১৫৫.৭২৭৬১৫ (উর্ধ্বপাতন)৩২৮.৮৮২.১৮১.৫−২.১
৩৪Se সেলেনিয়াম৭৮.৯৬১৬৪.৮১৯২২১৬৮৫৩২১.২১২.৫৫০.০৫
৩৫Br ব্রোমিন৭৯.৯০৪১৭২.১০২৮−৭.২৫৮.৮৪৭৪.৬৩২.৯৬২.৪−৩
৩৬Kr ক্রিপ্টন৮৩.৭৯৮৭১৮০.০৩৭৩৩−১৫৭.৩৭−১৫৩.৪১৫২৪৮.০৫০.০০০১
৩৭Rb রুবিডিয়াম৮৫.৪৬৭৮১.৫৩২৩৯.৩৬৮৮৩৬৩.৪১০.৮২৬০ −৩০০
৩৮Sr স্ট্রনশিয়াম৮৭.৬২২.৬৪৭৭৭১৩৭৭৩০১.৩০.৯৭৩৬০ −৩৭০
৩৯Y ইট্রিয়াম৮৮.৯০৫৮৫৪.৪৬৯১৫২৬২৯৩০২৯৮.৪১১.২২২৯−৩৩
৪০Zr জিরকোনিয়াম৯১.২২৪৬.৫০৬১৮৫৫৪৩৭৭২৭৮১.৩৩১৩০ −২৫০
৪১Nb নাইওবিয়াম৯২.৯০৬৩৮৮.৫৭২৪৭৭৪৭৪৪২৬৪.৭৮১.৬১৭−২০
৪২Mo মলিবডেনাম৯৫.৯৪১০.২২২৬২৩৪৬৩৮২৫০.৭৮২.২৬১.১−১.৫
৪৩Tc টেকনিশিয়াম৯৭.৯০৭২১১.৫২১৫৭৪২৬৫২৪৭.৮৯১.৯১.৩৫×১০−১২
৪৪Ru রুথেনিয়াম১০১.০৭১২.৩৭২৩৩৪৪১৫০২৩৮.০৫২.২০.০০১
৪৫Rh রোডিয়াম১০২.৯০৫৫১২.৪১১৯৬৪৩৬৯৫২৪২.৭৫২.২৮০.০০০৭−০.০০১
৪৬Pd প্যালাডিয়াম১০৬.৪২১০১২.০২৩১৫৫৪.৯২৯৬৩২৪৪.১৩২.২০.০০৬৩−০.০১৫
৪৭Ag সিলভার১০৭.৮৬৮২১১১০.৫০১৯৬১.৭৮২১৬২২৩৫.০১১.৯৩০.০৭−০.০৮
৪৮Cd ক্যাডমিয়াম১১২.৪১১১২৮.৬৫৩২১.০৭৭৬৭২৩১.৪৭১.৬৯০.১১−০.১৫
৪৯In ইন্ডিয়াম১১৪.৮১৮১৩৭.৩১১৫৬.৫৯৮৫২০৭২২৩২.৮৯১.৭৮০.০৪৯−০.২৫
৫০Sn টিন১১৮.৭১১৪৭.২৬৫২৩১.৯৩২৬০২২২৮.৩৯১.৯৬২.২−২.৩
৫১Sb এন্টিমনি১২১.৭৬১৫৬.৬৮৪৬৩০.৬৫১৬৩৫২০৭.২১২.০৫০.২
৫২Te টেলুরিয়াম১২৭.৬১৬৬.২৪৪৪৯.৫৭৯৮৮২০১.৬৪২.১০.০০১−০.০০৫
৫৩I আয়োডিন১২৬.৯০৪১৭৪.৯৩১৩৩.৭১৮৪.৩২১৪.৪৯২.৬৬০.৫৯−০.১৪
৫৪Xe জেনন১৩১.২৯৩১৮০.০৫৮৭−১১১.৭৫−১০৮.০৯৯১৫৮.৩২২.৬০.০০০০৫
৫৫Cs সিজিয়াম১৩২.৯০৫৪৫১.৮৭৩২৮.৫৬৭১২৪২.৩৫০.৭৯১.৯−৩
৫৬Ba বেরিয়াম১৩৭.৩২৭৩.৫৯৪৭২৭১৮৪৫২০৪.৪০.৮৯৩৪০−৫০০
৫৭La ল্যান্থানাম১৩৮.৯০৫৫৬.১৪৫৯২০৩৪৬৪১৯৫.১৭১.১৩২−৩৯
৫৮Ce সিরিয়াম১৪০.১১৬৬.৭৭৭৯৫৩৪৪৩১৯২.২৭১.১২৬০−৬৮
৫৯Pr প্রাসিওডিমিয়াম১৪০.৯০৭৬৫৬.৭৭৩৯৩৫৩১৩০১৯৩.০৩১.১৩৮.৭−৯.৫
৬০Nd নিওডিমিয়াম১৪৪.২৪৭.০০৭১০২৪৩০৭৪১৯০.৩১১.১৪৩৩−৪১.৫
৬১Pm প্রমিথিয়াম১৪০.৯০৭৬৭.২৬১০৪২৩০০০১.১৩২×১০−১৭
৬২Sm স্যামারিয়াম১৫০.৩৬৭.৫২১০৭২১৯০০১৯৬.৪৬১.১৭৬−৭.৯
৬৩Eu ইউরোপিয়াম১৬৭.২৬৯৫.২৪৩৮২৬১৫২৯১৬৫.৩৬১.২১.৮−২.১
৬৪Gd গ্যাডোলিনিয়াম১৫৭.২৫৭.৮৯৫১৩১২৩০০০২৩৫.৪৮১.২৫.২−৭.৭
৬৫Tb টার্বিয়াম১৫৮.৯২৫৩৪৮.২২৯১৩৫৬৩১২৩১৮১.৯১১.২০.৯৪−১.২
৬৬Dy ডিস্প্রোসিয়াম১৫২.৫৮.৫৫১৪০৭২৫৬২১৮১.৬৪১.২২৫.২−৬.২
৬৭Ho হলমিয়াম১৬৪.৯৩০৩২৮.৭৯৫১৪৬১২৬০০১৬৪.৬১১.২৩১.২−১.৪
৬৮Er ইরবিয়াম১৬৭.২৫৯৯.০৬৬১৫২৯২৮৬৮১৬৮.১১১.২৪৩−৩.৮
৬৯Tm থুলিয়াম১৬৮.৯৩৪২১৯.৩২১১৫৪৫১৯৫০১৬০১.২৫০.৪৮−০.৫২
৭০Yb ইটারবিয়াম১৭৩.০৪৬.৯৬৫৮২৪১১৯৬১৫৪.৫৩১.১২.৮−৩.৩
৭১Lu লুটেশিয়াম১৭৪.৯৬৭৯.৮৪১১৬৫২৩৪০২১৫১.৫১২.২৭০.৮
৭২Hf হাফনিয়াম১৭৮.৪৯৩১.৭২২২৩৩৪৬০৩১৪৪.১৫১.৩৩−৫.৩
৭৩Ta ট্যানটালাম১৮০.৯৪৮৭১৬.৬৫৪৩০১৭৫৪১৮১৪০.১৫১.৫১.৭−২
৭৪W টাংস্টেন১৮৩.৮৪১৯.২৪৩৪২২৫৯৩০১৩২.০২২.২৬১.১−১.২৫
৭৫Re রেনিয়াম১৮৬.২০৭২১.০২৩১৮৬৫৬৩০১৩১.৪৭১.৯০.০০০৪−০.০০২৬
৭৬Os অসমিয়াম১৯০.২৩২২.৫৯৩০৩৩৫০১২১২৯.৮৪২.২০.০০১৫−০.০০১৮
৭৭Ir ইরিডিয়াম১৯২.২১৭২২.৫৬২২৪৪৬৪১৩০১৩০.৫৮২.২০.০০০৩−০.০০৩
৭৮Pt প্লাটিনাম১৯৫.৭৮১০২১.৪৫১৭৬৮.৩৩৮২৫১৩২.০৯২.২৮৩×১০−৩−৫×১০−৩
৭৯Au সোনা১৯৬.৯৬৬৫৫১১১৯.২৮২১০৬৪.১৮২৯৭০১২৯.০৫২.৫৪০.০০১১−০.০০৩
৮০Hg পারদ২০০.৬৯১২১৩.৫৩৩৬−৩৮.৮২৯৩৫৬.৭৩১৩৯.৪৩০.০৫−০.০৮৫
৮১Tl থ্যালিয়াম২০৪.৩৮৩৩১৩১১.৮৫৩০৪১৪৭৩১২৮.৭৮২.৭৪০.৫৩−০.৮৫
৮২Pb সীসা২০৭.২১৪১১.৩৪২৩২৭.৪৬১৭৪৯১৩১.৮১.৮৭১০−১৪
৮৩Bi বিসমাথ২০৮.৯৮০৩৮১৫৯.৮০৭২৭১.৫১৫৬৪১২২.১২২.০২০.০৮৫−০.০৪৮
৮৪Po পোলোনিয়াম২০৮.৯৮২৪১৬৯.৩৯৮২৫৪৯৬২১২৬.৩৩২×১০−১০
৮৫At এস্টাটিন২১০১৭৬.৩৫±০.১৫*২৩০±৩*২.২৩×১০−২০
৮৬Rn রেডন২২২.০১৭৬১৮০.০৯৭৩−৭১−৬১.৭৯৩.৬২৪×১০−১৩
৮৭Fr ফ্রান্সিয়াম২২৩২.৪৮*২৭৬৭৭১৪২.৬>০.৭৯১×১০−১৮
৮৮Ra রেডিয়াম২২৬.০২৫৪৫.৫৭০০১৭৩৭০.৯৯×১০−৭
৮৯Ac এক্টিনিয়াম২২৭.০২৭৭১০.০৭১২২৭*৩২০০±৩০০*১১৯.৮১১.১৬×১০−১৩
৯০Th থোরিয়াম২৩২.০৩৮১১১.৭২১৭৫০৩৭৮৮১১৩.৪১১.৩৬−১২
৯১Pa প্রোটেক্টিনিয়াম২৩১.৩৫৮৮১৫.৩৭১৫৬৮৪০২৭১.৫১.৪×১০−৬
৯২U ইউরেনিয়াম২৩৮.২৮৯১১৮.৯৫১১৩২.২৪১৩১১১৬.১১.৩৮১.৮−২.৭
৯৩Np নেপচুনিয়াম২৩৭.৪৮২২০.৪৫৬৪৯±৩৪১৭৪১২৩.৬৭১.৩৬৩×১০−১২
৯৪Pu প্লুটোনিয়াম২৪৪.৬৪২১৯.৮৫৬৩৯.৪৩২২৮১৪৫.১১১.২৮৩×১০−১১
৯৫Am আমেরিসিয়াম২৪৩.০৬১৪১৩.৯৫১১৭৬২৬০৭২৫৭.৩৭১.৩
৯৬Cm কুরিয়াম২৪৭.০৭০৪১৩.৫১১৩৪০৩১১০১.৩
৯৭Bk বার্কেলিয়াম২৪৭.৭০৩১৪.৭৮৯৮৬২৬২৭১.৩
৯৮Cf ক্যালিফোর্নিয়াম২৫১.৭৯৬১৫.১৯০০১৪৭০১.৩
৯৯Es আইনস্টাইনিয়াম২৫২৮.৮৪১১৩৩১২৬৯*১.৩*
১০০Fm ফার্মিয়াম২৫৭৯.৭*১১০০*১.৩*
১০১Md মেন্ডেলিভিয়াম২৫৮১০.৩*১১০০*১.৩*
১০২No নোবেলিয়াম২৫৯৯.৯*১৯০০*
১০৩Lw লরেন্সিয়াম২৬৬১৫.৬*২৪০০*৫৫০০*১.৩*
১০৪Rf রাদারফোর্ডিয়াম২৬৭২৩.২*
১০৫Db ডুবনিয়াম২৬৮২৯.৩*
১০৬Sg সিবোর্গিয়াম২৬৯৩৫*
১০৭Bh বোহরিয়াম২৭০৩৭.১*
১০৮Hs হ্যাসিয়াম২৭০৪০.৭*
১০৯Mt মাইটনেরিয়াম২৭৮৩৭.৪*
১১০Ds ডার্মস্টাটিয়াম২৮১১০৩৪.৮*
১১১Rg রন্টজেনিয়াম২৮২১১২৮.৭*
১১২Cn কোপার্নিসিয়াম২৮৫১২১৪*১০±১১*৬৭±১০*
১১৩Nh নিহোনিয়াম২৮৬১৩১৬১৬*৪২৭*১১২৭*
১১৪Fl ফ্লেরোভিয়াম২৮৯১৪৯.৯২৮*−৭৩*১০৭*
১১৫Mc মস্কোভিয়াম২৯০১৫১৩.৫*৪২৭*১১২৭*
১১৬Lv লিভারমোরিয়াম২৯৩১৬১২.৯*৪২৭*৮২৭*
১১৭Ts টেনেসিন২৯৪১৭৭.১-৭.৩*৭.২*৪২৭*৬১০*
১১৮Og অগানেসন২৯৪১৮৭*৫২*১৭৭*

প্রাচুর্য

সমগ্র মহাবিশ্বের মত আমাদের সৌরজগতেও হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, যেগুলো তৈরী হয়েছে মহাবিষ্ফোরণের সময়।

ভূত্বকে বিভিন্ন মৌলিক পদার্থের শতকরা পরিমাণ
মৌলের নাম পরিমাণ (পার্টস্ পার মিলিয়ন)
হাইড্রোজেন ৭,৩৯,০০০
হিলিয়াম ২,৪০,০০০
অক্সিজেন ১০,৪০০
কার্বন ৪,৬০০
নিয়ন ১,৩৪০
লোহা ১,০৯০
নাইট্রোজেন ৯৬০
সিলিকন ৬৫০
ম্যাগনেসিয়াম ৫৮০
গন্ধক ৪৪০
পটাশিয়াম ২১০
নিকেল ১০০

ভর হিসাবে ভূত্বকে সবচেয়ে বেশি পরিমানে পাওয়া যায় অক্সিজেন ও সিলিকন। অন্যদিকে, বায়ুমন্ডলে সবচেয়ে বেশি পরিমানে পাওয়া যায় নাইট্রোজেন (৭৮%)। এছাড়াও, বায়ুতে রয়েছে অক্সিজেন (২০%) এবং আর্গন (০.৯৭%)।

ইতিহাস

রাসায়নিক মৌলসমূহের পর্যায় সারণী

প্রাচীনকালে মনে করা হতো সমস্ত কিছু চারটি মৌলিক উপাদান থেকে এসেছে; মাটি, পানি, বায়ু ও আগুন। গ্রীক দার্শনিক প্লেটো এই মতামতকে সমর্থন করতেন। আরেক গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটল এগুলোর পাশাপাশি ইথার নামক আরও একটি মৌলিক উপাদানের ধারণা দেন এবং মনে করতেন স্বর্গ তা দ্বারা তৈরী।আধুনিক যুগে, রবার্ট বয়েল সর্বপ্রথম মৌলিক পদার্থ সম্পর্কে ধারণা দেন, যা আমাদের অনেকেরই অজানা। ১৭৮৯ সালে মৌলসমূহের প্রথম আধুনিক তালিকা দেন বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিঁয়ে। তার তালিকায় তেত্রিশটি মৌল স্থান পায়, যার মধ্যে আলো এবং ক্যালরিক নামক এক বিশেষ পদার্থেরও উল্লেখ ছিল।ক্যালরিক সম্পর্কে ধারণা করা হত, ইহা কোন কোন বস্তুতে তাপের সঞ্চার করে, অর্থাৎ কোন বস্তুতে ক্যালরিক প্রবেশ করলে বস্তুটি উত্তপ্ত হয়।

পরবর্তীতে, ১৮১৮ সালে বিজ্ঞানী বার্জেলিয়াস ঊনপঞ্চাশটি মৌলের একটি তালিকা প্রদান করেন, ১৮৬৪ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন নিউল্যান্ড মৌলগুলোকে তাদের ভর অনুসারে সাজিয়ে মৌলগুলোর প্রতি অষ্টম মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের মধ্যে মিল পান । তবে, এরূপ তালিকার মাইলফলক আসে ১৮৬৯ সালে, যখন রাশিয়ান বিজ্ঞানী দিমিত্রি মেন্দেলিভ মৌলসমূহকে তাদের পারমাণবিক ভরের ক্রমানুসারে সাজিয়ে তৈরী করেন প্রথম পর্যায় সারণী। সেখানে ষেষট্টিটি মৌলের নাম উল্লেখ ছিল। ১৮৭১ সালে তিনি আরও পরিমার্জিত একটি তালিকা দেন এবং বেশ কিছু মৌলের ব্যাপারে বিষদভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।

Mendeleev's 1869 periodic table: An experiment on a system of elements. Based on their atomic weights and chemical similarities.

১৯১৩ সালে প্রথমবারের মত পারমাণবিক সংখ্যার ক্রমানুসারে মৌলসমূহকে পর্যায় সারণীতে সজ্জিত করা হয়। এক বছরের মধ্যে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বাহাত্তরটি মৌলের সন্ধান মেলে এবং কৃত্রিমভাবেও বেশ কিছু মৌল তৈরী করা হয়। ১৯৫৫ সালে ১০১তম মৌলটি আবিষ্কৃত হয় এবং পর্যায় সারণী তৈরীতে দিমিত্রি মেন্দেলিভের অবদানের জন্য তার নামানুসারে মৌলটির নাম রাখা হয় মেন্দেলিভিয়াম।

কার্বন, তামা, সোনা, রূপা, লোহা, গন্ধক, সীসা, পারদ, টিনদস্তা, এই দশটি মৌলের ব্যবহার চলে আসছে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে। ১৫০০ সালের দিকে আরও তিনটি পদার্থ, আর্সেনিক, অ্যান্টিমনিবিসমাথকে মৌল হিসাবে সনাক্ত করা হয়। এরপর, ১৭৫০ সালের দিকে আবিষ্কৃত হয় ফসফরাস, কোবাল্টপ্লাটিনাম। ১৯০০ সালের মধ্যে আবিষ্কৃত হয় মৌলিক গ্যাসসমূহ (হাইড্রোজেন, আক্সিজেন, হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন), হ্যালোজেনসমূহ (ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিনআয়োডিন), কিছু তেজষ্ক্রিয় মৌল (ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়ামরেডন), কিছু বিরল মৃত্তিকা মৌল (সেরিয়াম, নিওডাইমিয়াম, ল্যান্থানাম ইত্যাদি), লিথিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, ক্রোমিয়াম, নিকেল, টাংস্টেন ইত্যাদি। ১৯০০ সালের পর আবিষ্কৃত হয় ফ্রান্সিয়াম, প্লুটোনিয়াম, নেপচুনিয়াম, হাফনিয়াম, অ্যাস্টেটিন ইত্যাদি। পরে, একবিংশ শতাব্দীতে কৃত্রিমভাবে অনেকগুলো মৌল তৈরী হয়েছে। যেমন, ২০০৬ সালের অক্টোবরে রাশিয়ায় তৈরী হয়েছে ১১৮তম মৌল, ২০০৯ সালে তৈরী হয়েছে ১১২তম মৌল যা ২০১০ সালে কোপারনিসিয়াম নামে স্বীকৃতি পায়, ২০১১ সালে ১১৪ ও ১১৬তম মৌলদ্বয় আবিষ্কৃত হয় এবং ২০১২ সালে তাদেরকে যথাক্রমে ফ্লেরোভিয়াম ও লিভারমোরিয়াম নামে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ১১৩, ১১৫, ১১৭ ও ১১৮তম মৌলগুলোকে চিহ্নিত করা হয়, যদিও এগুলো এখনও অনুমোদিত নয়।

আরও দেখুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.