মোস্তফা কামাল (বিচারপতি)
বিচারপতি মোস্তফা কামাল (৯ মে ১৯৩৩ - ৫ জানুয়ারি ২০১৫)[2] ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ এবং ৯ম প্রধান বিচারপতি।
মাননীয় প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল Mustafa Kamal | |
---|---|
৯ম বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি | |
কাজের মেয়াদ ১ জুন ১৯৯৯ – ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ | |
পূর্বসূরী | এ. টি. এম. আফজাল |
উত্তরসূরী | লতিফুর রহমান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৯ মে ১৯৩৩[1] নীলফামারী, পূর্ব বাংলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান নীলফামারী জেলা, বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ৫ জানুয়ারি ২০১৫ ঢাকা, বাংলাদেশ |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
বাসস্থান | ঢাকা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল জগন্নাথ কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স লিনকনস্-ইন |
পেশা | আইন |
জীবিকা | আইনবিদ |
ধর্ম | ইসলাম |
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
বিচারপতি মোস্তফা ১৯৩৩ সালের ৯ মে[2] নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন৷ তিনি প্রখ্যাত পল্লিগীতি গায়ক আব্বাস উদ্দীনের ছেলে৷ সংগীতশিল্পী নাশিদ কামাল তার মেয়ে। কণ্ঠশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী ও ফেরদৌসী রহমান তার মেজ ভাই ও একমাত্র বোন।[3]
শিক্ষাজীবন
তিনি ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন৷ তিনি ১৯৪৮ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭ম স্থান অধিকার করেন এবং জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫ম স্থান অধিকার করেন৷ পরবর্তীকালে ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে বি. এ. (অনার্স) ও এম. এ. ডিগ্রী অর্জন করেন৷ এছাড়া তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস্ এন্ড পলিটিকাল সাইন্স থেকে পলিটিকাল ইকোনোমিকস্ বিষয়ে এম. এস. সি. ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ১৯৫৯ সালে লিংকনস্-ইন থেকে বার আ্যট ল' ডিগ্রী লাভ করেন৷
কর্মজীবন
বিচারপতি মোস্তফা কামাল বার এ্যাট ল' ডিগ্রি লাভ করে আইনজীবী হিসাবে বাংলাদেশ হাইকোর্টে যোগদান করেন। তিনি হাইকোর্টে বিচারপতি নিযুক্ত হন। সর্বশেষ প্রধান বিচারপতির দায়িত্বপালন শেষে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে হাইকোর্টের এবং ১৯৮৯ আপীল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। দশবছর পর ১৯৯৯ সালের জুন মাসে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০০০ সালের পয়লা জানুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
রচনাবলী
বিচারপতি মোস্তফা কামালের একটি বই প্রকাশিত হয়। 'আমার কিছু বলা' শীর্ষক বইটি তার স্মৃতিগদ্য।
মৃত্যু
তিনি ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার গুলশানে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। [1]