মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম উপাধি প্রদান করে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০২৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।[1]

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৪ জানুয়ারি ২০১৪  ৭ জানুয়ারি ২০১৯
পূর্বসূরীআবুল হাসান মাহমুদ আলী
উত্তরসূরীএনামুর রহমান
বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮  ১৫ জুলাই ২০০১
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭  ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮
পূর্বসূরীসৈয়দ আবুল হোসেন
উত্তরসূরীরহমত আলী
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯৬  ২০০১
পূর্বসূরীমোঃ নুরুল হুদা
উত্তরসূরীমোঃ নুরুল হুদা
কাজের মেয়াদ
২০১৪  ২০১৯
পূর্বসূরীমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
উত্তরসূরীনূরুল আমিন রুহুল
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৯ নভেম্বর ২০২১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1948-02-03) ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮
মতলব উত্তর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মাতামোসা: আক্তারুন্নেছা
পিতাআলী আহসান মিয়া
প্রাক্তন শিক্ষার্থীজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারবীর বিক্রম

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন

বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আলী আহসান মিয়া ও মাতার নাম মরহুমা মোসা: আক্তারুন্নেছা।[2]

শিক্ষা জীবন

মিউজিক কলেজ থেকে আই মিউজিক পাশ করেন। এছাড়া ও জগন্নাথ কলেজ থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে পরবর্তীতে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবন

জনাব চৌধুরী ১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৬, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে চাঁদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন, পরবর্তীতে ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার আগে তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

১৯৭১ সালে তিনি যুদ্ধকালীন ২ নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাব দেয়া হয়েছিল।

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.