মেদিতেররানেও
মেদিতেররানেও ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ইতালীয় যুদ্ধভিত্তিক হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র। গ্যাব্রিয়েল সালভাতোরেস ছবিটির পরিচালক ও এনজিও মোরিকোনে চিত্রনাট্যকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এজিয়ান সাগরের তীরে একটি গ্রিক দ্বীপে ইতালীয় সৈন্যরা আটকা পড়ে যায়। তাদের কাহিনীই চলচ্চিত্রটির মূল উপজীব্য। সেরা বিদেশি চলচ্চিত্র বিভাগে ১৯৯২ সালে এটি অস্কার লাভ করে।[2]
মেদিতেররানেও | |
---|---|
পরিচালক | গ্যাব্রিয়েল সালভাতোরেস |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | এনজো মন্তেলিওনে |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার |
|
চিত্রগ্রাহক | ইতালো পেত্রিচ্চিওনে |
সম্পাদক | নিনো বারাগলি |
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ৯৬ মিনিট |
দেশ | ইতালি |
ভাষা |
|
আয় | $৪.৫ মিলিয়ন[1] |
কাহিনীসংক্ষেপ
১৯৪১ সাল। ইতালি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে জার্মানির সঙ্গে যোগ দেয়। এজিয়ান সাগরের তীরবর্তী ক্ষুদ্র গ্রিক দ্বীপে কয়েকজন অনুপযুক্ত ইতালীয় সৈন্যকে পাঠানো হয়। সৈন্যদের মধ্যে রয়েছে একজন লেফটেন্যান্ট, যে শিল্পকলার অনুরাগী; রয়েছে একজন সার্জেন্ট ; রয়েছে একজন স্কি প্রশিক্ষক -যার সাথে তার প্রিয় গাধা "সিভানা" আছে ; এরকম অদ্ভুত ব্যক্তিদের সমন্বয়েই সৈন্যদের বহর গঠিত। তারা সেনা হিসেবে তেমন ভালো না হলেও তাদের মধ্যে স্বাতন্ত্র্যবোধ পরিলক্ষিত হয়।
সৈন্যদের মনে ধারণা জন্মে, দ্বীপের ভেতর ও বাইরে থেকে হামলা হতে পারে। তাই তারা সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে। তারা একটি ছোট শহর আবিষ্কার করে, যেটি সম্পূর্ণ জনমানবশূন্য। ঐ রাতে দিগন্তে বোমা বিস্ফোরিত হয়। রেডিও সংকেতের সাহায্যে তারা বুঝতে পারে, যে জাহাজটি তাদের দ্বীপ থেকে নেওয়ার কথা ছিল, সেটি ধ্বংস হয়ে গেছে। রহস্যজনকভাবে গ্রামে মানুষের পুনরাবির্ভাব হয়। তারা বলে, জার্মানরা পূর্ণবয়স্ক সব পুরুষকে ধরে নিয়ে যায়, তাই তারা লুকিয়ে ছিল। কিন্তু তারা বুঝতে পেরেছে ইতালীয়রা তাদের কোনো ক্ষতি করবে না। এজন্য তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যুদ্ধের আঁচ এই সৈন্যদের গায়ে তেমনভাবে লাগেনি। তাই তারা এ দ্বীপের মানুষের সাথে দুশ্চিন্তামুক্তভাবে সহাবস্থান করতে শুরু করে।
স্থানীয় অর্থোডক্স পুরোহিত লেফটেন্যান্ট (যে একজন শৌখিন শিল্পী) চার্চের ম্যুরাল পুনঃসংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। দুইজন সৈন্য পরস্পরের ভাই। তারা একই নারীকে ভালোবাসে এবং নারীটিও দুই ভাইকে সমান পরিমাণে ভালোবেসে উভয়ের সাথেই মিলিত হয়। সার্জেন্ট লো রাসোর অন্তরে যুদ্ধের জন্য এখনো উন্মাদনা রয়েছে। তবে একসময় সে লোকনৃত্য শুরু করে এবং মহাবিশ্বে তার অবস্থান সম্পর্কে নতুন করে চিন্তা করতে শুরু করে। সবচেয়ে ধূর্ত সৈনিক ফারিনা গ্রামের বারবণিতা ভাসিলিসার প্রেমে পড়ে।
বুড়ো বয়সে তিন জন সৈন্য দ্বীপে পুনর্মিলিত হয়।[3]
প্রযোজনা
গ্রিক কাস্তেলেরোজিও দ্বীপে ছবিটির দৃশ্য ধারণ সম্পন্ন হয়। পেন্টা ফিল্ম, সিলভিও বেরলুসকোনি কমিউনিকেশনস ও সেচ্চি গোরি গ্রুপ টাইগার কমিউনিকেশনস ছবিটির প্রযোজনা করে।
তথ্যসূত্র
- "The 64th Academy Awards | 1992"। Oscars.org | Academy of Motion Picture Arts and Sciences।
- Canby, Vincent (22 মার্চ, 1992)। "Review/Film Festival; Roundelay Of Love On an Isle In Wartime (Published 1992)" – NYTimes.com-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)