মেক ইন ইন্ডিয়া

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মেক ইন ইন্ডিয়ার সূচনা করেন।[1] ২৯শে ডিসেম্বর ২০১৪ সালে শিল্পনীতি ও উন্নয়ন দপ্তর আয়োজিত একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তার সভাসদবর্গ(cabinet ministers), সকল রাজ্যের মুখ্যসচিব, বিভিন্ন শিল্পপতি উপস্থিত ছিলেন।[5]

এটির সূচনার মুখ্য উদ্দেশ্য হল ভারতের অর্থনীতির ভিত্তি ২৫ টি বিভাগে কর্মসংস্থান ও গুণগত নৈপুন্যতা-দক্ষতা বৃদ্ধি করা।.[6] শুধু গুণগত নিপুণতাই নয় একি সঙ্গে পরিবেশ বান্ধবতার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।[6] এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতে আর্থিক বিনিয়োগের সাথে প্রযুক্তিক বিনিয়োগও আশা করা হচ্ছে।[6]

মেক ইন ইন্ডিয়ার এই অভিযানকে পরিকল্পনাকে রূপ দিয়েছে মার্কিন বিজ্ঞাপন সংস্থা Wieden+Kennedy।[7]

এই উদ্যোগের আওতায় থাকা ২৫টি বিভাগের পুস্তিকা এবং ওয়েব পোর্টাল উন্মোচিত হয়েছে। এই উদ্যোগ চালু করার আগে বিভিন্ন খাতে বিদেশী বিনিয়োগের পথ শিথিল করা হয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন অনলাইন উপলব্ধ করা হয়েছে এবং লাইসেন্স বৈধতা তিন বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আরও কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি শিথিল করা হয়েছে।.[8]

২০১৪এর আগস্ট মাসে ভারতের মন্ত্রিপরিষদ(Cabinet of India) প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৪৯% এবং ভারতীয় রেলের পরিকাঠামো গঠনে ১০০% সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের(FDI) অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ২৬% এবং রেলে কোন বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন ছিল না। ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি আমদানি কমানোর আশা করা হচ্ছে। আগে একটি মাত্র ভারতীয় কোম্পানি ৫১% বাজার দখল করে রাখতে পারত, বর্তমানে একাধিক কোম্পানির ক্ষেত্রে সেই সুবিধা আছে।[9]

সেপ্টেম্বর ২০১৪ থেকে নভেম্বর ২০১৫ এর মধ্যে ভারত সরকার বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য ₹১.২০ লক্ষ কোটি বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে।[10]

এপ্রিল-জুন'১৫ এই তিন মাসের মধ্যে ভারতে বিক্রিত স্মার্টফোনের ২৪.৮%ই হল ভারতে উৎপাদিত, যা এর আগের তিন মাসের তুলনায় ১৯.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।[11][12][13]