মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দি

মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দি (১৯০৩ — ১৯৭৫) ( উর্দু : محمد میاں دیوبندی ) ছিলেন একজন ভারতীয় সুন্নি ইসলামী পণ্ডিত এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা। তিনি হুসেন আহমদ মাদানির শিষ্য এবং উর্দুতে ইতিহাসের বই লিখার জন্য বিখ্যাত।[1][2] তিনি ইদারা মাবাহিছে ফিকহিয়্যাহের প্রতিষ্ঠাতা।


মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দি
উপাধিসায়্যিদুল মিল্লাত
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
মুজাফফর মিয়া

(১৯০৩-১০-০৪)৪ অক্টোবর ১৯০৩
বুলন্দশহর, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২২ অক্টোবর ১৯৭৫(1975-10-22) (বয়স ৭২)
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাভারত
অঞ্চলভারত
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহইতিহাস, উর্দু সাহিত্য, হাদীস, রাজনীতি
উল্লেখযোগ্য কাজজমিয়তে উলামায়ে হিন্দ কিয়া হায়?, উলামায়ে হিন্দ কা শানদার মাজি, উলামায়ে হক আওর উনকি মুজাহিদানা করনাম, আসীরানে মাল্টা
যেখানের শিক্ষার্থীদারুল উলুম দেওবন্দ
মুসলিম নেতা
এর শিষ্যহুসাইন আহমদ মাদানি
যাদের প্রভাবিত করেন

জন্ম ও শিক্ষা

মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দের রিজভী সৈয়দ পরিবারে ১৯০৩ সালের ৪ অক্টোবর বুলন্দশহরে জন্মগ্রহণ করেন।[3] তিনি বাড়িতে পড়াশোনা শুরু করেন এবং মুজাফফর নগরের এক গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা করেন। তিনি ১৯১২/১৯১৩ -তে দারুল উলুম দেওবন্দের ফার্সি শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং ১৯২৫ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক সমাপ্ত করেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন: আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি এবং ইজাজ আলী আমরুহী[4][5]

তিনি হুসেন আহমদ মাদানির শিষ্য ছিলেন।[1]

পেশা

মুহাম্মদ মিয়া বিহারে শিক্ষাদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূূূূচনা করেন। তারপরে তিনি জামিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসা, শাহী মোরাদাবাদে দীর্ঘদিন মুুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ- এর সংগঠক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং এক বছরের জন্য এর প্রধান সংগঠক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। জীবনের শেষদিকে তিনি দিল্লির মাদ্রাসা আমিনিয়ায় শায়খুল হাদিস এবং ইদারা মাবিহিত-ই-ফিকহিয়াহ সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৫০ সালে দারুল উলূম দেওবন্দের মজলিসে শুরার সদস্য মনোনীত হন।[4]

তার ছাত্রদের মধ্যে রয়েছে মুফতি মাহমুদ, আছার মোবারকপুরী এবং আসির আদ্রাবি।[3][6][7]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার

মুহম্মদ মিয়া ৭২ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ২২ অক্টোবর দিল্লিতে মারা যান। ঐতিহাসিক রচনার জন্য তাঁকে মুআরিখ-ই-মিল্লাত হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তাঁর অনুসারীরা তাকে সাইয়্যেদুল মিল্লাত হিসাবে উল্লেখ করেন।[3][4][5]

সাহিত্য কর্ম

মুহাম্মদ মিয়ার রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে:

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Nur Alam Khalil AminiPase Marge Zindah (উর্দু ভাষায়)। Deoband: Idara Ilm-o-Adab। পৃষ্ঠা 106।
  2. "Musannifeen wa Muwarrikheen"dud.edu.in
  3. Syed Muhammad Miyan Deobandi। "Musannif ka Ta'aruf"। Tarikh-e-Islam (পিডিএফ) (উর্দু ভাষায়)। Maktaba Ludhyanwi, Binori Town, Karachi। পৃষ্ঠা 3–4। ৭ জুন ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৯
  4. Syed Mehboob RizwiHistory of The Dar al-Ulum Deoband (Volume 2) (ইংরেজি ভাষায়) (1981 সংস্করণ)। Idara-e-Ehtemam, Dar al-Ulum Deoband। পৃষ্ঠা 109–10।
  5. "مؤرخ ملت مولانا محمد میاں"lubpak.org.pk। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯
  6. Hassan, Mohd Amirul (২০১০)। Contribution Of Qazi Athar Mubarakpuri to Arabic Studies: A Critical Study. (PhD thesis).Aligarh Muslim University। পৃষ্ঠা 15। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  7. Nizamuddin Asir AdrawiDastan Na'tamam (November, 2009 সংস্করণ)। Kutub Khana Husainia, Deoband। পৃষ্ঠা 72–73।
  8. Syed Muhammad Miyan Deobandi। Ahd-e-Zarrin awr Misali Hukumatein (উর্দু ভাষায়)। Kitabistan, Qasim Jan Street, Delhi।
  9. Maulana Syed Muhammad Miyan Deobandi। Aseeran-e-Malta (উর্দু ভাষায়) (January 2002 সংস্করণ)। Naimia Book Depot, Deoband।
  10. Imam Shah Abdul Aziz Afkaar-o-Khidmaat (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৯
  11. Maulana Syed Muhammad Miyan Deobandi। SILK LETTER MOVEMENT (First Edition, 2013 সংস্করণ)। Shaikhul Hind Academy, Deoband and MANAK Publications, Laxmi Nagar, Delhi। আইএসবিএন 978-93-7831-322-6।
  12. Maulana Syed Muhammad Miyan Deobandi। Ulama-e-Hind Ka Shandaar Maazi (2016 সংস্করণ)। Naimia Islamic Book Store, Deoband।
  13. Waliullahi Tehreek (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.