মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী
মুহাম্মদ তাহির-উল-কাদরী ( উর্দু: محمد طاہر القادری; জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১) বিশ্বের একজন প্রসিদ্ধ ইসলামিক স্কলার এবং প্রাক্তন পাকিস্তানি-কানাডিয়ান রাজনীতিবিদ, যিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা মিনহাজুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল এবং দেশীয় রাজনৈতিক সংগঠন পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক প্রতিষ্ঠা করেন।
মুহম্মদ তাহিরুল কাদরী | |
---|---|
محمد طاہر القادری | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
আদি নিবাস | ঝং, পাঞ্জাব, পাকিস্তান |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তানি কানাডীয়[1] |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
আন্দোলন | বেরলভী |
প্রধান আগ্রহ | তাফসীর, শরীয়ত, ফিকহ, হাদিস, কোরআন, উসুল আল ফিকহ, ইতিহাস, আকীদা, ইসলামি দর্শন, রাজনীতি[2] |
যেখানের শিক্ষার্থী | পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় |
তরিকা | কাদেরিয়া |
যে জন্য পরিচিত | ফতওয়া অন টেরোরিজম |
পেশা | ইসলামি পণ্ডিত ও বক্তা |
এর প্রতিষ্ঠাতা | মিনহাজুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তান আওয়ামী তেহরীক |
দর্শন | সুফিবাদ |
মুসলিম নেতা | |
কাজের মেয়াদ | অক্টোবর ১৯৮১ – বর্তমান |
যার দ্বারা প্রভাবিত
| |
যাদের প্রভাবিত করেন
| |
পেশা | ইসলামি পণ্ডিত ও বক্তা |
ওয়েবসাইট | www |
এছাড়াও তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সাংবিধানিক আইন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। [3] ড. কাদেরী মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন উপ-সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও।
সুফিবাদ এবং তরিকা |
---|
প্রবেশদ্বার |
ব্যক্তিগত জীবন
ড. মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী ১৯৫১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরের জং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[4][5][6][7] তার পিতার নাম ফরিদুদ্দিন আল-কাদেরি, যিনি একজন প্রসিদ্ধ চিকিৎসক এবং শীর্ষস্থানীয় মুহাদ্দিস হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি তার পিতার দুই পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠ্য।
শিক্ষা
ধর্মীয় শিক্ষা
তিনি ৬ বছর বয়সে তার পিতার নিকট থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষার সবক শুরু করেন। ১২ বছর বয়সে তিনি মদিনায় আহমদ রেজা খান বেরলভীর প্রধান শিষ্য জিয়াউদ্দিন মাদানির নিকট হতে শাস্ত্রীয় শিক্ষার সূচনা শুরু করেন। একই বছর তিনি মক্কার তৎকালীন আহলে বাইতের ইমাম আলাওয়ী বিন আব্বাসের কাছ থেকে হাদিসশাস্ত্রের (উলুমুল হাদিস) দরস ও সনদ অর্জন করেন। তাছাড়া তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আরব বিশ্বের উলামা এবং পাকিস্তান ও ভারতের প্রসিদ্ধ শাইখদের সান্নিধ্যে থেকে তাদের শিষ্যত্ব অর্জন করেন। সুফিশাস্ত্রে তার শিক্ষক হলেন বাগদাদ শরিফের তৎকালীন সাজ্জাদানশীন পীর তাহির আলাউদ্দিন আল-জিলানী। [8]
জাগতিক শিক্ষা
ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ড. কাদেরি লাহোরের ইসলামিয়া হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেন। তিনি পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিজে প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রি, ইসলামিক স্টাডিজে এম.এ ডিগ্রি এবং ইসলামিক আইনে এলএলবি ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি লেকচারার এবং পরবর্তীতে আইনের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেন। [8]
কর্মজীবন
১৯৭২ সালে এলএলবি পাশ করার পর তিনি জং জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৮ সালে পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে গোল্ড মেডেল পাওয়ার পর তিনি সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে প্রথমে লেকচারার ও পরে প্রফেসর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
শীঘ্রই তিনি পাকিস্তানের পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের জুরিস্ট কনসাল্ট ও পাকিস্তান ফেডারেল শরীয়া কোর্টের বিশেষ উপদেষ্টা পদে নিয়োজিত হন। ১৯৮০ সালে, তার কিছু রীটের কারণে পাকিস্তানের ফেডারেল শরীয়া আদালত ও সুপ্রীম কোর্টের আপীল বেঞ্চ কর্তৃক বেশ কিছু রায় পাস করা হয়।
রাজনৈতিক জীবন
তিনি ১৯৮৯ সালের মে মাসে পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক (পিএটি) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। [9] ২৯ নভেম্বর ২০০৪-এ, কাদরি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফের স্বৈরাচারী সন্ত্রাসবিরোধী নীতির প্রতিবাদে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ইতিহাসে প্রথম সদস্য হিসাবে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। [10] ২০০৫ সালে তিনি কানাডায় নির্বাসিত হন। [11]
লং মার্চ 2012
ডিসেম্বর ২০১২ সালে, কানাডার টরন্টোতে সাত বছর বসবাস করার পর, ড কাদেরী পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং তার রাজনৈতিক প্রচারণা শুরু করেন। সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ড কাদেরী ইসলামাবাদে "মিলিয়ন-ম্যান" মার্চের ডাক দেন।[12] তিনি নির্বাচনী সংস্কারের জন্য একটি স্বাধীন সংস্থা গঠনের দাবি জানান, যা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। এবং তিনি আরও বলেন যে, সাংবিধানিক শর্ত পূরণ না হলে তিনি আসন্ন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবেন। [13] ১৪ জানুয়ারি ২০১৩ সালে, একটি বিক্ষোভকারী জনতা শহরের প্রধান সড়কে মিছিলে নেমে পড়ে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ অনশনে থাকার অঙ্গীকার করেন।[14] তিনি যখন লাহোর থেকে লংমার্চ শুরু করেন তখন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ তার সঙ্গে ছিলেন।[15] সংসদের সামনে সমাবেশে তিনি বলেন, ‘কোনো সংসদ নেই, আছে একদল লুটেরা, চোর-ডাকাত। . . আমাদের আইন প্রণেতারা আইন ভঙ্গকারী।"[16] চারদিন অবস্থানের পর, সরকার এবং ড তাহিরুল কাদেরীর মাঝে "ইসলামাবাদ লং মার্চ প্রজ্ঞাপন" নামে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরিত হয়, যাতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনী সংস্কার এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।[17] যদিও তিনি "মিলিয়ন-ম্যান" মার্চের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ইসলামাবাদে অবস্থানের সময় আনুমানিক মোট উপস্থিতি ছিল ৫ লাখেরও বেশি।[15]
সমালোচকরা অভিযোগ করেন যে, বিক্ষোভগুলি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক নির্বাচন বিলম্ব ও বেসামরিক সরকারের প্রভাবকে দুর্বল করার একটি চক্রান্ত ছিল। সামরিক বাহিনীর সাথে ড তাহিরুল কাদেরীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং বিদেশী ও পাকিস্তানি তহবিলের উৎস সন্দেহজনক মনে করা হয়।[18][19] পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা দাবি করেন যে, ড তাহিরুল কাদেরীর দাবিগুলি অকার্যকর কারণ এগুলো পাকিস্তানের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। [20] দ্য ট্রিবিউন ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সংখ্যায় রিপোর্ট করে যে, ড কাদেরী ইসলামাবাদ লং মার্চ ঘোষণায় তার বেশিরভাগ দাবির প্রতি আত্মসমর্পণ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। [21]
লং মার্চ 2014
১৭ জুন ২০১৪ সালে, পাঞ্জাব পুলিশ এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক কর্মীদের মধ্যে একটি সহিংস সংঘর্ষ হয়; যার ফলে পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। [22][23] ড তাহিরুল কাদেরী বলেন, পুলিশ এক্ষেত্রে এজাহার নিতে অস্বীকৃতি জানায়।[24] বাকির নাজফির তদন্তে দেখা গেছে যে, হাইকোর্টের নির্দেশে স্থাপন করা বাধা অপসারণের জন্য পুলিশ গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। [25]
তাহিরুল কাদেরীর ফ্লাইট ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অবতরণের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে দেয়। এবং বিমানটিকে লাহোর বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। [26] তাহিরুল কাদেরী মনে করেছিলেন যে, হয়তো পাঞ্জাব সরকার তার কোনো ক্ষতিসাধন করবে। কিন্তু পাঞ্জাব গভর্নর ব্যক্তিগতভাবেই তার প্রতিনিধিদলকে দিয়ে লাহোরের মডেল টাউনে তার বাসভবনে পৌঁছে দেন। [27]
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে তার রাজনৈতিক মিত্র ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর সাথে ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে তার ইনকিলাব মার্চ শুরু করেন।[28]
ইমরান খান এবং ড. তাহিরুল কাদেরী তাদের বিক্ষোভ মিছিলে পুরোপুরি যোগ দেননি, আবার একে অপরকে সমর্থন করতে অস্বীকারও করেননি।[29] ১০ আগস্ট ২০১৪ সালে, ড. তাহিরুল কাদেরী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে তার দলের ইনকিলাব মার্চ, পিটিআই-এর আজাদি মার্চের সমান্তরালে এগিয়ে যাবে। উভয় মার্চ একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্য হওয়া সত্ত্বেও, উভয়ই ভিন্ন ভিন্ন দাবি নেওয়ার জন্য সংগঠিত হয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে দুটি দলেরই একই উদ্দেশ্য রয়েছে, তবে লক্ষ্য ও কৌশল ভিন্ন ছিল। বিরোধী দলগুলির দ্বারা দুটি সমান্তরাল ধর্মঘটের ঘোষণা, পিটিআই এবং পিএটি-র মধ্যে একটি সম্ভাব্য জোটের জল্পনার জন্ম দেয়। অবশ্য দুই দলের প্রধানরা স্পষ্টভাবে কোন আনুষ্ঠানিক জোট করেননি; কিন্তু একে অপরকে সমর্থন করার জন্য একটি অনানুষ্ঠানিক চুক্তি করেন। [30][31]
২১ আগস্ট ২০১৪ সালে, ড. কাদেরী বলে বসেন যে, সরকার তার কর্মীদের ধর্মঘটের অংশগ্রহণকারীদেরকে খাদ্য সামগ্রী এবং পানীয় জল সরবরাহ করার অনুমতি দিচ্ছে না। [32]
৩১ আগস্ট ২০১৪ সংখ্যায় দি ডেইলি ডন পত্রিকা লিখে যে, ইসলামাবাদে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক এর নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশ লড়াইয়ের সময় শত শত লোক আহত হয়েছে। [33]
এরপর প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ দেন। [34] জেনারেল রাহিল শরিফ তাহিরুল কাদেরী ও ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। [35] জেনারেল রাহিল শরীফের হস্তক্ষেপে পুলিশ রিপোর্টটি উঠিয়ে নেওয়া হয়। ড. কাদেরী ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রামে করায় তার সমর্থকদের অভিনন্দন জানান। [24]
সে বছর, তাহিরুল কাদেরী ইসলামাবাদের ডি-চকে ইদের নামাজের ইমামতি করেন। জামাতে ইমরান খান এবং MWM এর রাজা নাসির আব্বাস জাফরি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন। হযরত ইব্রাহিম ও তাঁর পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) এর সুন্নাহ অনুসরণ করে আল্লাহর নামে পশু কোরবানিও করা হয়। [36][37][38]
মিনহাজ-উল-কুরআন
সংগঠনটি ধর্মীয় মধ্যপন্থা, কার্যকর ও সঠিক শিক্ষা, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও সম্প্রীতি এবং সুফিবাদের পদ্ধতি ব্যবহার করে ইসলামের একটি মধ্যপন্থী ব্যাখ্যা প্রচার করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। মার্চ ২০১১ অধিবেশনে, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনালকে বিশেষ পরামর্শমূলক মর্যাদা প্রদান করে। [39]
ঘটনা
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম
২০১১ সালে, তিনি সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত WEF- এ ইমরান খানের সহিত বক্তৃতা উপস্থাপন করেন।[40]
ওআইসিতে আমন্ত্রণ
৭ এপ্রিল ২০১৯ সালে, ড. তাহিরুল কাদেরী রিয়াদে ওআইসি সম্মেলনে স্কলারদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং মিনহাজ-উল-কুরআনের কাউন্টার টেররিজম কার্যক্রমগুলি উপস্থাপন করেন। [41]
সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্প
২০১০ সালের আগস্টে, তিনি যুক্তরাজ্যে চরমপন্থা মোকাবেলার লক্ষ্যে ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম যুবকদের জন্য একটি সন্ত্রাসবিরোধী শিবির স্থাপন করেন। [42] মিনহাজ-উল-কুরআন ইউকে এর পৃষ্ঠপোষকতা করে। [43]
লাহোর জনসভা ২০১৪
ফয়সালাবাদ সমাবেশের সাত দিন পর, তিনি ১৯ অক্টোবর ২০১৪ সালে লাহোরে আরেকটি জনসমাবেশ করেন। [44]
লাহোর সংঘর্ষ ২০১৪
লাহোর সংঘর্ষ ২০১৪,[45][46] মূলত মডেল টাউন ট্র্যাজেডি নামে পরিচিত ( উর্দু: سانحہ ماڈل ٹاؤن)। কেউ কেউ একে লাহোর গণহত্যা দিবস নামে অভিহিত করেন। [47] এটি ছিল পাঞ্জাব পুলিশ এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক কর্মীদের মধ্যে একটি হিংসাত্মক সংঘর্ষ যা, ১৭ জুন ২০১৪-এ সংঘটিত হয়েছিল, যার ফলে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। সে হামলার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। [48] মিনহাজ-উল-কুরআনের অফিস এবং মডেল টাউনে পিএটি প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ তাহিরুল কাদরির বাসভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তা থেকে প্রতিবন্ধকতা অপসারণের জন্য পুলিশের অ্যান্টি-অ্যাক্রোচমেন্ট স্কোয়াড অভিযান শুরু করলে প্রায় 11 ঘন্টা ধরে এই অচলাবস্থা চলে।
ঘটনাটি বিভিন্ন স্থানীয় নিউজ চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। [49] এবং কীভাবে অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল তার পরস্পরবিরোধী বিবরণও দেখানো হয়। [50] পুলিশ দাবি করেছে যে, পিএটি সচিবালয়ের ভিতরে লোকেরা তাদের আক্রমণ করেছিল। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত লাইভ ফুটেজে, পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভকারী জনতাকে অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে গুলি ছুড়তে এবং টিয়ার গ্যাসের ক্যানিস্টারে লাবিং করতে দেখা যায়। বিপরীতে বিক্ষোভকারীদের আত্মরক্ষার জন্য পুলিশকে পাথর ছুঁড়তেও দেখা যায়।[50] তাহিরুল কাদেরী এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সবচেয়ে জঘন্যতম রূপ তকমা দেন। তাহিরুল কাদেরী, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং তার ভাই শাহবাজ শরিফের শাসনের অবসান ত্বরান্বিত করবে এমন একটি বিপ্লব এনে তার রাজনৈতিক কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। [51][52]
শহীদ দিবস
তাহিরুল কাদেরী এবং তার দল ৯ আগস্ট ২০১৪ এর মডেল টাউনের তেহরিক-ই-মিনহাজ উল কুরআন সচিবালয়ে হামলার দিনকে ইয়াউম-ই-শুহাদা (শহীদ দিবস) হিসেবে পালন করে। [53] জনগণ জমায়েতে হবার পর, তিনি তার সমর্থকদেরকে এবং সরকারকে আশ্বস্ত করেন যে ১০ আগস্টের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে এবং তার অনুসারীদেরকে কুরআন তেলাওয়াতের জন্য তাদের জায়নামাজ নিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়। [54]
অন্যান্য ঘটনা
বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তিনি আমন্ত্রিত হন। [55][56]
NSW আইন পরিষদের সদস্য শাওকেট মোসেলমান এমএলসি কর্তৃক আমন্ত্রিত হলে, জুলাই ২০১১ সালে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের পার্লামেন্টে সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে একটি বক্তৃতা দেন। [57] ড কাদেরী অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার সম্মুখেও আসেন, যেখানে তিনি ইসলাম, সন্ত্রাসবাদ এবং আফগানিস্তান থেকে সম্ভাব্য সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে, মিনহাজ-উল-কুরআন লন্ডনের ওয়েম্বলি এরিনায় "পিস ফর হিউম্যানিটি কনফারেন্স"এর আয়োজন করেন, যেখানে বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় প্রতিনিধি, পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ ও সমবেত বক্তাগণ শান্তির ঘোষণা জারি করেন। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে ১২০০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনটি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল আযহার ইমাম আহমদ তাইয়েব, বান কি-মুন (জাতিসংঘের মহাসচিব), একমেলেদ্দিন ইহসানগ্লু ( ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার মহাসচিব), ডেভিড ক্যামেরন (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী), নিক ক্লেগ (ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী) এবং রোয়ান উইলিয়ামস (ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ) কর্তৃক সমর্থন বার্তা পায়। ৩০ নভেম্বর ২০১১ সালে, তাহিরুল কাদেরী তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বৈশ্বিক ধর্ম, কূটনীতি এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের জন্য "আফগানিস্তানের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত" সম্মেলনে একটি বক্তৃতা দেন যা মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানটিতে ১২০ জন আফগান নেতা উপস্থিত ছিলেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে, তাহিরুল কাদেরি ভারতে চার সপ্তাহের জন্য দিল্লি সফরে যান। [58][59][60] দিল্লিতে ফতোয়া কিতাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তাহিরুল কাদেরী শান্তির বার্তা প্রদান করে বলেন: "ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই"। [61] গুজরাটে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে তাহিরুল কাদেরীর কথা শুনতে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়েছিল। [60][62] তিনি পাকিস্তান ও ভারত সরকারকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানো এবং পরিবর্তে দরিদ্র মানুষের কল্যাণে অর্থ ব্যয় করার আহ্বান জানান। [63] তিনি আজমীর শরিফ পরিদর্শন করেন, সেখানে দরবার কর্তৃক তাকে ঈর্ষণীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তিনি সেখানে সুফিবাদের উপর একটি বক্তৃতা দেন। [64] ৪ জানুয়ারি ২০১৫ সালে, তিনি সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বের সর্ব বৃহত্তম সমস্যা হিসাবে ঘোষণা করেন। [65]
সন্ত্রাসবাদের উপর ফতোয়াপ্রদান
সন্ত্রাসবাদ এবং আত্মঘাতী বোমা হামলার উপর ফতোয়া একটি ৬০০ পৃষ্ঠার (উর্দু সংস্করণ) (৫১২ পৃষ্ঠা- ইংরেজি সংস্করণ), হল তাহিরুল কাদেরীর রচিত একটি ইসলামিক ডিক্রি, যেখানে কুরআন ও সুন্নাহ থেকে প্রমাণ করা হয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদ এবং আত্মঘাতী বোমা হামলা সম্পুর্ণ হারাম ও অনৈসলামিক। এটি একটি বই আকারে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। [66] এই ফতোয়া আল-কায়েদা এবং তালেবানের মতাদর্শের সরাসরি খণ্ডন করে। এটি সবচেয়ে বিস্তৃত ইসলামি সন্ত্রাসবিরোধী ফতওয়াগুলির মধ্যে একটি। এখানে বলা হয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদ ইসলামী আইনের দৃষ্টিতে কুফরি। [67] কিতাবের মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করে মিনহাজ-উল-কুরআন ইউকে। ফতওয়া প্রদানের সময় তাহিরুল কাদেরী উল্লেক করেন যে, "সন্ত্রাসবাদ সন্ত্রাসবাদই, সহিংসতা সহিংসতাই এবং ইসলামিক শিক্ষায় এর কোন স্থান নেই। এবং এর জন্য কোন ন্যায্য কারণ প্রদান করা যায় না, কোন প্রকার অজুহাতও দেওয়া যায় না।"
ফতোয়াটি মিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পায় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইতিবাচকভাবে কাভার করা হয়। [68]
সিএনএনের মতে, বিশেষজ্ঞরা এই ফতোয়াকে সন্ত্রাসবাদী আগ্রাসনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা হিসেবে দেখেছেন। [69] CNN এর Amanpour শো তার ওয়েবসাইটে ফতোয়ার সারসংক্ষেপ যোগ করে এটিকে শান্তির জন্য ফতোয়া বলে ঘোষণা করে। [70] মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ফতোয়াটিকে ইসলামকে সন্ত্রাসীদের থেকে পৃথক করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করে। [71]
ডগলাস মারে ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড এর একটি নিবন্ধে ফতোয়াটিকে "সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, যদিও তিনি বলেছিলেন "একটি ফতোয়া সন্ত্রাসবাদের মাত্রাকে এতটা পরিবর্তন করতে পারবে না"। [72]
আইটিভি নিউজ চ্যানেল ফতোয়াটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং জিজ্ঞাসা করে যে এটি কি আদৌ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রণোদিত কি না। কারণ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এবং এমআই 5 এর সিনিয়র কাউন্টার টেররিজম কর্মকর্তাগণ ফতওয়া ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। [73]
৫১২ পৃষ্ঠার ইংরেজি বইয়ের সংস্করণে মোড়ানো, Fatwa on Terrorism and Suicide Bombings, (লন্ডন: মিনহাজ-উল-কুরান, ২০১১।আইএসবিএন ৯৭৮-০-৯৫৫১৮৮৮-৯-৩) কিতাবটির শুরুতে জন এস্পোসিটোর একটি মুখবন্ধ রয়েছে এবং জোয়েল হেওয়ার্ডের একটি ভূমিকা রয়েছে। এবং এতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, মিশরের ইসলামিক রিসার্চ কাউন্সিল থেকে একটি প্রশংসাপত্রও সংযোজন করা রয়েছে।
মিশরের কায়রোতে অবস্থিত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে Fatwa on Terrorism and Suicide Bombings কিতাবটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করে। জানুয়ারি ২০১১ সালে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় ফতোয়াটি আলোচনা করা হয়েছিল। [74] জুন ২০১১ সালে, পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট মিনহাজ ইন্টারফেইথ রিলেশনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ফতোয়াটির একটি অনুলিপি পান। পোপ উল্লেখজনকভাবে এর প্রশংসা করে বলেন যে, এটি শান্তি, সম্প্রীতি এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপের প্রচারণায় কাজ করবে। [75]
কামাল আর্গন, Fatwa on Terrorism and Suicide Bombings কে ইতিবাচকভাবে পর্যালোচনা করেছেন। এবং রটারডাম ইসলামিক অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের জার্নালে এর একটি পর্যালোচনা প্রকাশ করেছেন, ভলিউম। 2, নং 1, 2011, পিপি। 149-160। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ রটারডাম, নেদারল্যান্ডস।
মতামত
একজন সংবাদপত্র বিশেষজ্ঞের মতে, তাহিরুল কাদেরীর সন্ত্রাসবাদের উপর ফতোয়াটিতে আইনগত-ধর্মতাত্ত্বিক একটি ধারণা তৈরি করে যে, খাওয়ারিজ সম্পর্কে ইসলামে ঐকমত্য রয়েছে। [76][77] থিঙ্ক ম্যাগাজিন (বিশ্ব ধর্ম) ডক্টর তাহিরুল কাদরিকে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উল্লেখ করে। [78]
কর্মসমূহ
তাহিরুল কাদেরী ১০০০টি কিতাব রচনা করেছেন [79] যার মধ্যে ৫৫০টি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত কিতাবগুলোর মধ্যে আট খণ্ডে বিস্তৃত ৭০০০ পৃষ্ঠার একটি কুরআনিক এনসাইক্লোপিডিয়া (ইংরেজিতে) রয়েছে। [80] তিনি ৬০০০টিরও বেশি বিষয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন এবং ইসলামী আইনশাস্ত্র, ধর্মতত্ত্ব, সুফিবাদ, ইসলামী দর্শন, আইন, ইসলামী রাজনীতি, হাদিস, সীরাহ এবং অন্যান্য অনেক ঐতিহ্যবাহী বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলির দারস দিয়ে যাচ্ছেন। [79]
আরো দেখুন
- মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনাল
- আম্মান বার্তা
- সমসাময়িক ইসলামিক দর্শন
- গ্লোবাল পিস অ্যান্ড রেজিস্ট্যান্স ফর এক্সট্রিমিজমের বিরুদ্ধে লন্ডন ঘোষণা 2011
- মিনহাজ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন
- মিনহাজ বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্যসূত্র
- "Tahir-ul-Qadri's biography"। ১ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৩।
- "PUNISHMENTS IN ISLAM THEIR CLASSIFICATION & PHILOSOPHY – Pakistan Research Repository"। Eprints.hec.gov.pk। ১৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৩।
- Nielsen, Jørgen S. (২০১২)। Islam in Denmark: The Challenge of Diversity (ইংরেজি ভাষায়)। Lexington Books। পৃষ্ঠা 23। আইএসবিএন 9780739150924।
- "Minhaj.org"। www.minhaj.org। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- Clarke, Matthew; Halafoff, Anna (২৫ আগস্ট ২০১৬)। Religion and Development in the Asia-Pacific: Sacred Places as Development Spaces (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 50। আইএসবিএন 9781317647454।
- Bhattacharji, Shantanu (২১ মে ২০১৩)। "Who is Tahir-ul-Qadri?"। Business Standard। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- Clarke, Matthew; Halafoff, Anna (২৫ আগস্ট ২০১৬)। Religion and Development in the Asia-Pacific: Sacred Places as Development Spaces (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 50। আইএসবিএন 9781317647454।Clarke, Matthew; Halafoff, Anna (25 August 2016). Religion and Development in the Asia-Pacific: Sacred Places as Development Spaces. Taylor & Francis. p. 50. ISBN 9781317647454.
- "A look at Tahir-ul-Qadri's political career"। Dunya News। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- Qadri sends 41-page resignation to speaker ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে
- Tahir ul-Qadri: A political 'enigma' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জুন ২০১৬ তারিখে aljazeera.com
- "Pakistani city prepares for cleric's march"। 3 News NZ। ১৪ জানুয়ারি ২০১৩। ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৩।
- Tanveer, Rana (২০১২-১২-২৩)। "'Save the state, not politics': Qadri returns, in style"। The Express Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৪।
- "Long march: Walking in the name of 'revolution'"। ১৫ জানুয়ারি ২০১৩। ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৩।
- "Pakistanis protest 'corrupt' government"। 3 News NZ। ১৫ জানুয়ারি ২০১৩। ২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৩।
- Declan Walsh (১৫ জানুয়ারি ২০১৩)। "Internal Forces Besiege Pakistan Ahead of Voting"। The New York Times। ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৩।
- Anita Joshua। "Qadri's picketing ends with 'Long March Declaration'"। The Hindu। ২০ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৩।
- Arab News, "Pak crisis deepends: PM arrest ordered as rally shakes capital," front page, Vol. XXXVIII, #45. Wednesday, 16 January 2013
- Rodriguez, Alex (১৪ জানুয়ারি ২০১৩)। "Pakistan 'Long March' protest draws tens of thousands to capital"। Los Angeles Times। ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৩।
- "'Long march' show not in millions, but not a flop"। The News International। ৮ জানুয়ারি ২০১৩। ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৩।
- Abdul Manan। "Two steps back: Qadri capitulates on earlier demands"। Express Tribune। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "Pakistan: Eight die as Lahore police clash with Qadri supporters"। BBC News। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৮।
- "7 Killed as Pakistan Police Clash With Preacher's Followers"। The New York Times। ১৮ জুন ২০১৪। ২১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- Sheikh, Idrees (৫ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Punjab govt makes Model Town report public after court's orders"। Dawn News। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১।
- Haider, Arsalan (৬ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Model Town inquiry report implicates Shehbaz and Rana Sanaullah"। Daily Times। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- "Dr. Tahirul Qadri reaches Lahore airport"। Dunya News। ২৩ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১।
- Ghumman, Khawar (২২ আগস্ট ২০১৪)। "Parliament watch: Sharif's new secret weapon?"। Dawn News। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১।
- "'Revolution March' to Begin on August 14: Tahirul Qadri" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে, The News International, 10 August 2014.
- "Inqilab, Azadi march will go together on Aug 14: Qadri"। dunyanews.tv।
- "I meant people should kill me, Imran Khan if retracted from mission: Qadri"। dunyanews.tv।
- Amjad Mahmood। "Qadri to march side by side with Imran"। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪।
- "The News International: Latest News Breaking, Pakistan News"। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪।
- "Battleground Islamabad: Imran vows to advance as clashes continue"। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪।
- "COAS Raheel Sharif made 'mediator' to end political crisis"। Dawn News। ২৮ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১।
- Abbasi, Ansar। "What happened between Nawaz & two top generals in 2014?"। The News। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১।
- "Tahir Blasts Tahir"। The Nation's Staff reporter। ৯ অক্টোবর ২০১৪। ১০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৪।
- "Khan, Qadri offer Eid prayer at D-Chowk"। Samaa.tv। ৬ অক্টোবর ২০১৪। ১০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৪।
- "retrieved: 12 October 2014"। ১৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪।
- "Report of the Committee on Non-Governmental Organizations on its 2011 regular session" (পিডিএফ)। ২০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- "Islam is a religion of peace as exemplified by its founder, Islamic scholar says"। The Salt Lake Tribube। ২০১২-০৬-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৪।
- The News https://www.thenews.com.pk/amp/454414-qadri-to-address-oic-moot-in-riyadh - Qadri invited to Riadh for attending OIC Conference
- Casciani, Dominic (৮ আগস্ট ২০১০)। "Muslim summer camp preaches 'anti-terror' message"। Bbc.co.uk। ৪ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- Casciani, Dominic (৭ আগস্ট ২০১০)। "Muslim group Minhaj ul-Quran runs 'anti-terrorism' camp"। Bbc.co.uk। ১৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- "Dunya News Videos"। ২১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- Tanveer, Rana (২০ জুন ২০১৪)। "Lahore clashes: Will accept only JIT with ISI, IB, MI reps, says Qadri"। The Express Tribune। ২১ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪।
- "Pakistan: Eight die as Seikh amir saleem and others clash with Qadri supporters"। BBC News। ১৭ জুন ২০১৪। ২২ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- Tanveer, Rana; Manan, Abdul (২১ জুন ২০১৪)। "The axe falls: Heads finally roll over Model Town tragedy"। The Express Tribune। ২১ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- Gillani, Waqar (১৭ জুন ২০১৪)। "7 Killed as Pakistan Police Clash With Preacher's Followers"। New York Times। ১৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- "PPP, MQM resolutions condemn Lahore killings"। The News International। ২০ জুন ২০১৪। ২০ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- Nauman, Qasim (১৭ জুন ২০১৪)। "Pakistan Police Clash With Supporters of Canada-Based Cleric"। Wall Street Journal। ২০ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- "State Terrorism will not be tolerated: Qadri"। The News International। ১৭ জুন ২০১৪। ২০ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৪।
- "Qadri vows to take revenge by revolution"। The Nation। ২৩ জুন ২০১৪। ১ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৪।
- "PAT set to observe Youm-e-Shuhada today"।
- "Youme Shuhada, Pakistan Today"। ২১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৫।
- "Associated Press of Pakistan ( Pakistan's Premier NEWS Agency ) – Muslims urged to stand up against terrorism"। App.com.pk। ১৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৩।
- "Tahir-ul-Qadri's Struggle Against Radicalism in Islam"। Usip.org। ১০ নভেম্বর ২০১০। ২৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- "Full Day Hansard Transcript (Legislative Council, 5 August 2011, Corrected Copy)"। Parliament.nsw.gov.au। ১৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- "Coming: Pak Islamic scholar who pulls no punches against terror"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১২।
- "Qadri given honour in India"। Nation.com.pk। ২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- "Pakistani scholar thanks Modi for security"। The Times of India। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১১ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- "Terrorism has no place in Islam: Sufi scholar"। Indianexpress.com। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১৩ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- Pak scholar debunks Islamic stereotypes ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ মে ২০১৩ তারিখে
- "Stay away from communal clashes in future: Pak Islamic scholar"। Ibnlive.in.com। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- "Pak scholar to speak on Sufism in dargah"। The Times of India। ১৩ মার্চ ২০১২। ১৪ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- Samaa TV (৪ জানুয়ারি ২০১৫)। "Tahirul Qadri terms terrorism as biggest problem"। Samaa TV। ৫ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- "Influential Pakistani cleric based in GTA"। ২ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Sheikh issues fatwa against all terrorists"। The Independent। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Tahir ul-Qadri and the difficulty of reporting on fatwas"। Reuters। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Some experts see fatwa as significant blow to terrorist recruiting"। ৮ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Fatwa for Peace"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Muslim leader's edict decries terrorism – Washington Times"। The Washington Times। ৬ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Is this a triumph for the Islamic peacemakers?"। The Evening Standard। ২২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Fatwa condemns terror"। ৬ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "The Reality of Terrorism"। The Reality of Terrorism – World Economic Forum। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- Minhaj man meets Pope
- "a-closer-look-at-tahirul-qadris-thesis"। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Tahir-ul-Qadri's Vision for a Democratic Pakistan, CNN News"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৫।
- Robson, Roy R (২০১১)। "Conclusion"।
- "Sheikh Dr. Muhammad Tahir-ul-Qadri's Struggle Against Radicalism in Islam"। United States Institute of Peace। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৪।
- Bryan Appleyard, "The Koran is a work of peace, not violence", The Times. Retrieved 3 October 2019.
বহিঃসংযোগ
উইকিমিডিয়া কমন্সে মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।