মুসা খান মসজিদ

মুসা খানের মসজিদ বা মুসা খাঁর মসজিদ বাংলাদেশের ঢাকা শহরে অবস্থিত মোগল স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত একটি মসজিদ। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শহীদুল্লাহ হল ছাত্রাবাসের নিকটে ও কার্জন হলের পিছনে অবস্থিত।[1] ধারণা করা হয় যে, এই মসজিদটি ঈসা খাঁর পুত্র মুসা খান নির্মাণ করেন। ঢাকা শহরে বিনত বিবির মসজিদের পাশাপাশি এটি প্রাক-মুঘল স্থাপত্যের একটি নিদর্শন।

মুসা খাঁর মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ইতিহাস

মসজিদের পিছনে লেখা এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে শহীদুল্লাহ হলের উত্তর-পশ্চিম কোণে মুসা খাঁর মসজিদ নির্মিত হয় আনুমানিক ১৬৭৯ সালে।[2] ভৌগোলিক স্থানাঙ্কে মুসা খান মসজিদের অবস্থান ২৩.৭২৬৬৪৭৪° উত্তর ৯০.৪০০৮০৫২° পূর্ব / 23.7266474; 90.4008052

নির্মাণ কৌশল

মসজিদের ভেতরের অংশ

দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ। মসজিদটি নির্মাণ করা হয় তিন মিটার উঁচু একটি ভল্ট প্লাটফর্মের ওপর। ভল্ট প্লাটফর্মটি ১৭ মিটার দীর্ঘ ও ১৪ মিটার চওড়া।[3] প্লাটফর্মের উপর নির্মিত মসজিদটির নিচতলায় কয়েকটি কক্ষ রয়েছে। এগুলোতে আগে মসজিদ সংশ্লিষ্টরা বাস করলেও এর সবগুলোই এখন পরিত্যক্ত। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির একটি গম্বুজে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঐ ফাটল দিয়ে গত বর্ষায় বৃষ্টির পানি মসজিদের ভিতরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন মুসল্লিরা। মসজিদের পশ্চিম ও পূর্ব প্রাচীর প্রায় ৬ ফুট পুরু। উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীর ৪ ফুট পুরু। চার দেয়াল, ছাদ এবং গম্বুজ— সবকিছুতেই দীর্ঘদিন ধরে শেওলা জমে কালচে হয়ে গেছে। মসজিদের দুই মূল স্তম্ভে বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাসবিদ আহমদ হাসান দানীর ‘ঢাকা:অ্যা রেকর্ড অব ইটস চেঞ্জিং ফরচুনস’ গ্রন্থে উল্লেখিত বর্ণনামতে, মসজিদটি মুসা খাঁর নামে হলেও স্থাপত্যশৈলী অনুযায়ী এটি শায়েস্তা খাঁর আমলে বা তারপরে নির্মিত হয়েছিল।[4]

হুমকি

মেট্রো-রেল প্রকল্পের কারণে দেশের অন্যতম অন্যতম বিরল এই মুঘল কাঠামো হুমকির মধ্যে রয়েছে। মসজিদ সহ প্রায় ৭৫ ঐতিহাসিক গুরুত্ব স্থাপত্য মেট্রো-রেল প্রকল্পের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে।[5][6]

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "বারোভূঁইয়াদের শেষ স্মৃতিচিহ্ন মুসা খান মসজিদ"যায়যায়দিন। ২০১৬-১০-১৬। ২০১৬-১০-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৭
  2. "মুসা খাঁর মসজিদ"এনটিভি। ২০১৭-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৭
  3. "ঢাবিতে বিরল স্থাপত্য মুসা খাঁ মসজিদ"দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৭
  4. দানি, আহমেদ হাসান। Dhaka : a record of its changing fortunes (৩য় সংস্করণ)। ঢাকা। আইএসবিএন 978-984-33-0444-5। ওসিএলসি 671240479
  5. "মুসা খান মসজিদ"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৪ জুলাই ২০১৫। ১৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৬
  6. Alamgir, Mohiuddin (৪ জুলাই ২০১৫)। "Disfiguring history in the name of renovation"নিউ এজ। ১৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.