মুর্তাজা হাসান চাঁদপুরী
মুর্তাজা হাসান চাঁদপুরী (১৮৬৮–১৯৫১) (উর্দু: مولانا مرتضی حسن چاندپوری) ছিলেন একজন ভারতীয় সুন্নি ইসলামি পণ্ডিত।[2] তিনি সুফিবাদের চিশতিয়া তরিকায় আশরাফ আলী থানভীর শিষ্য ছিলেন।[3]
ইবনে শেরে খোদা[1] মুর্তাজা হাসান চাঁদপুরী | |
---|---|
![]() ক্যালিগ্রাফিতে মুর্তাজা হাসান চাঁদপুরীর নাম | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৮৬৮ |
মৃত্যু | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫১ ৮৩) | (বয়স
ধর্ম | ইসলাম |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
মুসলিম নেতা | |
এর শিষ্য | আশরাফ আলী থানভী |
শিক্ষা
মুর্তাজা হাসান চাঁদপুরী মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতভির ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৩০৪ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক হন। তিনি তার সুফিবাদে শাহ রফিউদ্দীনের শিষ্য ছিলেন এবং পরবর্তিতে আশরাফ আলী থানভীর শিষ্য হন।[2][4]
কর্মজীবন
মুর্তাজা হাসান চাঁদপুরী দ্বারভাঙা ও মোরাদাবাদের ইসলামি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করন। পরে দারুল উলুম দেওবন্দে যোগ দেন। তিনি প্রথমে শিক্ষা বিভাগের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে তাকে প্রচার বিভাগের প্রশাসনের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।[2] তিনি ১৩৫০ হিজরীতে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং বিজনোরের নিজ নিজ জন্মস্থান চাঁদপুরে চলে যান।
তিনি আহমদিয়া ও বেরলভিদের সাথে বিতর্ক করতেন।[5] তার ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন, সুলাইমান নদভী, যিনি সিরাতুন নবী বইয়ের অন্যতম লেখক এবং শিবলি একাডেমী প্রতিষ্ঠাতা।[6]
রচনাবলি
মুর্তাজা হাসান চাঁদপুরী প্রধানত মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি, রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি, খলিল আহমদ সাহারানপুরী এবং আশরাফ আলী থানভী প্রমূখ দেওবন্দি পণ্ডিতদের বিরুদ্ধে আহমদ রেজা খান বেরেলভীর করা অভিযোগ গুলো খন্ডন করে প্রবন্ধ ও প্রচারপত্র রচনা করতেন।[7]
তার অধিকাংশ প্রবন্ধ সংকলিত ও প্রকাশিত হয়েছে মাজমুয়া' রাসাইল-ই-চাঁদপুরী নামে। নিজামুদ্দিন আসির আদ্রাভি তার নিম্নলিখিত রচনাবলির কথা উল্লেখ করেছেন:[8]
- মির্জা'ইয়াত কা খাতমা
- কাদিয়ানিয়াত মে কিয়ামত খেজ ভোঁচাল
- মির্জা আওর মিরজাওঁ কো দরবার-ই-নাবুওয়াত সে চ্যালেঞ্জ
- মির্জাওঁ কি তামাম জামাতোঁ কো চ্যালেঞ্জ
- তেহকীক-উল-কুফর
- তালিম আল-খাবির ফি হাদিস ইবনে কাছির
- কাদিয়ানীয়োঁ সে ৭০ সাওয়ালাত
- সা'ইকা আসমানি বার ফিরকা কাদিয়ানী
মৃত্যু
তিনি নিজ গ্রামেই ১৯৫১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি এক ছেলে রেখে যান, যার নাম মুহাম্মদ আনোয়ার।[2][4]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Abu Muhammad Maulana Sana'ullah Sa'd Shuja Abadi। Ulama-e-Deoband Ke Aakhri Lamhaat। Maktaba Rasheediya, Saharanpur। পৃষ্ঠা 70।
- রিজভি, সৈয়দ মাহবুব (১৯৮১)। হিস্টোরি অব দ্য দারুল উলুম দেওবন্দ (দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস)। দারুল উলুম দেওবন্দ: ইদারায়ে ইহতেমাম। পৃষ্ঠা ৪২–৪৩।
- 'abd (২০১০-০৬-১৯)। "Hakim al-Umma's khulafa"। ASHRAFIYA (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-৩১।
- হাফেজ মুহাম্মদ আকবর শাহ বুখারী, মুহাম্মদ তৈয়ব কাসমি (জুলাই ১৯৯৯)। দারুল উলুম দেওবন্দ কি ৫০ মিসালী শাখসিয়াত (উর্দু ভাষায়)। দারুল উলুম দেওবন্দ: মাকতাবা ফয়েজুল কুরআন। পৃষ্ঠা ১৪৩।
- আসির, আদ্রাভি (২ এপ্রিল ২০১৬)। তাজকিরা মাশাহিরে হিন্দ: কারওয়ানে রাফ্তা (উর্দু ভাষায়)। দেওবন্দ: দারুল মুআল্লিফীন। পৃষ্ঠা ২৩৯।
- Syed Muhammad Miyan Deobandi। Silk Letters Movement (পিডিএফ) (2012 সংস্করণ)। Deoband: Shaykhul Hind Academy.। পৃষ্ঠা 210। ১২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯।
- আশরাফ আলী, থানভী। হিফজুল ঈমান। দেওবন্দ: দারুল কিতাব। পৃষ্ঠা ১৯।
- আসির, দারুল উলুম দেওবন্দ (মে ২০১৫)। ইয়াহিয়ায়ে ইসলাম কি আজীম তেহরীক (উর্দু ভাষায়)। দেওবন্দ: দারুল মুআল্লিফীন। পৃষ্ঠা ২৫৯।