মুরজিয়া
মুরজিয়াহ ( আরবি: المرجئة , বাংলা: "যারা বিলম্বিত করেছে"), মুরজি বা মুর্জি নামেও পরিচিত, একটি প্রাথমিক ইসলামিক সম্প্রদায় ছিল। মুরজিয়াহরা এই মত পোষণ করেছিলেন যে একজন মুসলমান ধর্মত্যাগী হয়েছে কিনা তা বিচার করার অধিকার একমাত্র আল্লাহরই রয়েছে। ফলস্বরূপ, মুসলমানদের উচিত বড় পাপের প্রতিশ্রুতি স্থগিত করা ( ইরজা ) এবং অবিশ্বাসের অভিযোগ ( তাকফির ) না করা বা যে কেউ ইসলামকে তাদের বিশ্বাস বলে দাবি করেছে তাকে সেই অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। তারা আরও বিশ্বাস করত যে ভাল কাজ বা এগুলি বাদ দেওয়া একজন ব্যক্তির বিশ্বাসকে প্রভাবিত করে না, এবং যে ব্যক্তি আনুগত্যের অন্য কোন কাজ করেনি, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বিশুদ্ধ বিশ্বাসে থাকবে ততক্ষণ পরকালে শাস্তি পাবে না। তারা বলতেন যে "অবাধ্যতা ঈমানের ক্ষতি করে না যেমন ভালো কাজ কুফরের সাথে সাহায্য করে না।" [1] মুরজিতে তরীকার সদস্যরা এই মতবাদকে এখনও ধরে রেখেছে। [2]
ইসলাম বিষয়ক ধারাবাহিক রচনার একটি অংশ আকীদা |
---|
|
বারো ইমাম
|
১ আহমাদিয়া, কুতুববাদ ও ওয়াহাবিবাদ সহ ২ আলাওয়ি, আসাসিন ও দ্রুজ সহ ৩ আলেভি, বাক্তাশি, কিযিবাশ ও কালান্দারিয়া সহ ৪ আযারিকা, আজারদি, হারুবিয়া, নাজদাত এবং সুফ্রিয়া সহ ইসলাম প্রবেশদ্বার |
উত্তরাধিকার
সুন্নি আইনশাস্ত্রের হানাফী (হিজরি. ৬৯৯-৭৬৭) মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা আবু হানিফাকে প্রায়শই মুরজিয়াহ বিশ্বাসের জন্য অভিযুক্ত করা হয়[1], তবে, পরবর্তীতে তাহাভির মত অন্যান্য হানাফীদের দ্বারা তার ভিত্তির মাধ্যমে এই অভিযোগগুলি থেকে তিনি মুক্তি পান, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুন্নি পাঠ্য, আল-আকিদা আল-তাহাবিয়া; সুন্নি মুসলিম মতবাদের একটি জনপ্রিয় পাঠ্যবই।
তথ্যসূত্র
- "Murjiʾah, ISLAMIC SECT"। britannica। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- "Royal House of Tahir Buruj" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৪-১৭। ২০২১-০৫-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
সময়রেখা | |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
|
ইসলাম প্রসঙ্গসমূহ | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
|