মিরিয়াম মার্গলিজ
মিরিয়াম মার্গলিজ ওবিই (জন্ম: ১৮ মে ১৯৪১) একজন ব্রিটিশ-অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী। তিনি মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে কিছু পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করার পর তিনি মার্টিন স্করসেসির দি এজ অব ইনোসেন্স (১৯৯৩)-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি হ্যারি পটার চলচ্চিত্র ধারাবাহিকে প্রফেসর স্প্রাউট চরিত্রে অভিনয় করেন।
মিরিয়াম মার্গলিজ | |
---|---|
Miriam Margolyes | |
জন্ম | অক্সফোর্ড, ইংল্যান্ড | ১৮ মে ১৯৪১
নাগরিকত্ব | যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়া (২০১৩) |
মাতৃশিক্ষায়তন | নিউনহাম কলেজ, ক্যামব্রিজ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৬৩–বর্তমান |
সঙ্গী | হিদার সাদারল্যান্ড (১৯৬৮–বর্তমান) |
ওয়েবসাইট | miriammargolyes |
মার্গলিজ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও ইতালিতে বসবাস করছেন। তিনি যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় মঞ্চে অভিনয় করছেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০১৩ সালে আই'ল ইট ইউ লাস্ট-এর অস্ট্রেলীয় প্রিমিয়ার। ২০১৩ সালে তিনি অস্ট্রেলীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।[1]
প্রারম্ভিক জীবন
মার্গলিজ ১৯৪১ সালের ১৮ই মে অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন।[2] তার পিতা জোসেফ মার্গলিজ (১৮৯৯-১৯৯৫) একজন স্কটিশ চিকিৎসক এবং গ্লাসগোর গর্বালস এলাকার সাধারণ অনুশীলনকারী,[3] এবং মাতা রুথ[4] (জন্মনাম: ওয়াল্টার্স; ১৯০৫-১৯৭৪) লিভারপুলের কার্কডেলের আসবাবপত্র ব্যবসায়ী ও নিলামকারীর কন্যা। তিনি তার পিতামাতার একমাত্র সন্তান।[5][6][7] তিনি ইহুদি পরিবারে বেড়ে ওঠেন।[8][9][10] তার পূর্বপুরুষগণ বেলারুশ ও পোল্যান্ড থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। তার প্র-মাতামহ সিমন স্যান্ডমান পোল্যান্ডের মার্গনিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন, মার্গলিজ ২০১৩ সালে সেখানে গিয়েছিলেন। তার পিতামহ মার্গলিজ বেলারুশের আমদুর (বর্তমান - ইন্দুরা) জন্মগ্রহণ করেন, যা তখন রুশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।[11]
পুরস্কার ও মনোনয়ন
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | মনোনীত কর্ম | ফলাফল | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|
১৯৮৯ | লস অ্যাঞ্জেলেস নাট্য সমালোচক সমিতি | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | লিটল ডরিট | বিজয়ী | [12][13] |
১৯৯১ | লরন্স অলিভিয়ে পুরস্কার | সঙ্গীতনাট্যে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | ডিকেন্স ওম্যান | মনোনীত | [14] |
১৯৯৩ | বাফটা চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | দি এজ অব ইনোসেন্স | বিজয়ী | [12][15] |
সনি রেডিও পুরস্কার | বেতারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | দ্য কুইন অ্যান্ড আই | বিজয়ী | [16] | |
১৯৯৭ | বর্ষসেরা টকিজ পারফর্মার | — | অলিভার টুইস্ট | বিজয়ী | [13] |
২০০১ | অডিওফাইলস ইয়ারফোনস পুরস্কার | — | আ ক্রিসমাস ক্যারল | বিজয়ী | [17] |
২০০৭ | থিয়েটারগোয়ার্স চয়েস পুরস্কার | সঙ্গীতনাট্যে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | উইকড | বিজয়ী | [18] |
২০১০ | মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | এন্ডগেম | বিজয়ী | [19] | |
২০১৮ | অডিওফাইলস ইয়ারফোনস পুরস্কার | — | ব্লিক হাউজ | বিজয়ী | [20] |
নাট্যকলায় অবদানের জন্য ২০০২ সালের নববর্ষ সম্মাননায় মার্গলিজকে অফিসার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার খেতাবে ভূষিত করা হয়।[21]
তথ্যসূত্র
- Margolyes, Miriam। "Miriam Margolyes » Bio"। Miriam Margolyes' official website। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২২।
- Empire (২৩ আগস্ট ২০১৫)। "Miriam Margolyes"। এম্পায়ার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২২।
- "BBC One - Matron, Medicine and Me, Series 1, Miriam Margolyes"। বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২২।
- Newnham College Register, 1871-1971: 1951-1970, Newnham College, Cambridge (Cambridge University Press), 1990, p. 130
- This Much Is True, Miriam Margolyes, John Murray Publishing, 2021
- "Miriam Margolyes: I had no secrets from my mother"। TheGuardian.com। ২২ জুন ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২২।
- "Liverpool's giant caring heart praised as foster campaign gathers pace"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২২।
- "Harry Potter actress Miriam Margolyes on her Gorbals roots, women in comedy and how Monty Python stars shunned her"। Daily Record। Scotland। ২ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২২।
- Farndale, Nigel (১১ অক্টোবর ২০০৯)। "Miriam Margolyes: 'I'm still a naughty schoolgirl at heart'"। The Daily Telegraph। London। ১১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২২।
- Chitra Ramaswamy (৬ আগস্ট ২০১২)। "As Miriam Margolyes prepares to perform her one-woman show, dedicated to the women in the victorian novelist's fiction, she reflects on her own fascinating life story"। The Scotsman। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২২।
- মার্গলিজ, মিরিয়াম (২০২১)। This Much is True। হ্যাচেট। আইএসবিএন 9781529379884।
- "Honours in the arts world"। বিবিসি নিউজ। ৩১ ডিসেম্বর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- "Miriam Margoyles comes to The Brewhouse"। Somerset County Gazette। ১১ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- গুডম্যান, জোন (১২ অক্টোবর ১৯৯৩)। "Miriam Margolyse Bubbles On and Off 'Innocence' Set : Movie: As the formidable dowager Mrs. Manson Mingott, the British actress brings verve and audacity to Martin Scorsese's film."। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- "Film | Actress in a Supporting Role in 1994"। BAFTA। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- "The Queen And I on BBC Radio Four Extra"। BBC Media Centre। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- "A Christmas Carol: Earphones Award Winner"। AudioFile। ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- "Theatregoers Name Wicked 'Best New Musical'"। londontheatredirect.com। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- "WOS Awards: Full Winners' Acceptance Speeches"। WhatsOnStage.com। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- "Bleak House: Earphones Award Winner"। অডিওফাইল। জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- "নং. 56430"। দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ ডিসেম্বর ২০০১।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মিরিয়াম মার্গলিজ (ইংরেজি)