মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল

মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল (三重県? মিয়ে কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর কান্‌সাই অঞ্চলের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[1] এর রাজধানী ৎসু নগর।[2]

মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল
三重県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
  জাপানি三重県
  রোমাজিMie-ken
মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল পতাকা
পতাকা
মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল অফিসিয়াল লোগো
মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক
মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩৪°৪২′ উত্তর ১৩৬°৩০′ পূর্ব
দেশজাপান
অঞ্চলকান্‌সাই
দ্বীপহোনশু
রাজধানীৎসু
আয়তন
  মোট৫,৭৭৭.২২ বর্গকিমি (২,২৩০.৬০ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম২৫শ
জনসংখ্যা (১লা আগস্ট, ২০১৬)
  মোট১৮,০৮,৫৪৯
  ক্রম২৩শ
  জনঘনত্ব৩১৩.০৫/বর্গকিমি (৮১০.৮/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-24
জেলা
পৌরসভা২৯
ফুলআইরিস
(আইরিস এন্সাটা)
গাছসুগি
(ক্রিপ্টোমেরিয়া জাপোনিকা)
পাখিস্নোয়ি প্লোভার
(ক্যারাড্রিয়াস আলেক্সান্দ্রিনাস)
মাছজাপানি কাঁটাওয়ালা চিংড়ি
(প্যানিউলিরাস জাপোনিকাস)
ওয়েবসাইটwww.pref.mie.jp/
ইংরেজি/

ইতিহাস

নাইকূ, ইসে মহাতীর্থ।

মেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত অধুনা মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চলটি ইসে, শিমা, ইগা ও আংশিক কিই প্রদেশে বিভক্ত ছিল।[3]

মিয়েতে মানুষের বসতির নিদর্শন ১০ হাজার বছরের বেশি পুরোনো। জোমোনয়ায়োই যুগে সমুদ্রের উপকূল ও নদীর পাড় বরাবর কৃষিকাজ শুরু হয়। ইসে তীর্থ য়ায়োই যুগে নির্মিত হয় বলে কথিত আছে, আর খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে অধুনা মেইওয়া শহরে রাজকুমারী সাইওর একাধারে বাসভবন ও কার্যালয় হিসেবে সাইকুউ রাজপ্রাসাদ নির্মিত হয়। সাইও ছিলেন ইসে তীর্থের মুখ্য উপাসিকা।

শিমা নগরে সমবেত জি৭ নেতৃবৃন্দ, ২০১৬।

এদো যুগে মিয়ে অঞ্চলটি বহু খণ্ডে বহু সামন্তপ্রভুর মালিকানাধীন ছিল। এই সময় তোওকাইদো ও ইসে সড়কের মত পরিবহন পরিকাঠামো নির্মিত হয়। ওমিনাতো, কুওয়ানা ও আনোওৎসুর মত বন্দর নগর এবং দুর্গনগরের নির্মাণ ও উন্নয়ন ঘটে। ইসে তীর্থে তীর্থযাত্রাও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

মেইজি পুনর্গঠনের পর পূর্বতন ইসে, শিমা, ইগা প্রদেশের সম্পূর্ণ অংশ ও কিই প্রদেশের কিয়দংশ নিয়ে একাধিক বার পুনর্বিন্যাস ঘটে। শেষমেষ ১৮৭৬ খ্রিঃ আধুনিক মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়।

১৯৫৯ খ্রিঃ ইসে-ওয়ান টাইফুনে মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল বিধ্বস্ত হয়। এই টাইফুনটি জাপানের নথিভুক্ত ইতিহাসে বৃহত্তম ছিল।

২০১৬ এর মে মাসে শিমা নগরে ৪২ তম জি৭ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়া অনুপস্থিত ছিল।

ভূগোল

মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল কিই উপদ্বীপের পূর্বাংশ অধিকার করে আছে। এর উত্তর ও পশ্চিম সীমায় অবস্থিত অন্যান্য প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল আইচি, গিফু, শিগা, কিয়োতো, নারা এবং ওয়াকায়ামা। একে কান্‌সাই অঞ্চলের অংশ ধরা হয়, কারণ সংস্কৃতিগতভাবে কান্‌সাই অঞ্চলের অন্যান্য অংশের সাথে এর যোগ আছে এবং কান্‌সাই উপভাষাতেই মিয়ের মানুষ কথা বলেন।

উত্তর-দক্ষিণে মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চলের বিস্তার ১৭০ কিমি এবং পূর্ব-পশ্চিমে তা ৮০ কিমি। মিয়েকে পাঁচটি ভৌগোলিক উপাঞ্চলে ভাগ করা যায়, যথা: উত্তর-পশ্চিমের সুযুকা পর্বতমালা, আইচির সীমানায় ইসে উপসাগর থেকে শুরু করে দক্ষিণে ইসে নগর অবধি প্রসারিত ইসে সমভূমি অঞ্চল, ইসে সমভূমির দক্ষিণে শিমা উপদ্বীপ, নারার সীমানায় ইগা অববাহিকা এবং মধ্য মিয়ে থেকে দক্ষিণে প্রসারিত নুনোবিকি পার্বত্য অঞ্চল।[4] মিয়ের জনসংখ্যার অধিকাংশ ইসে সমভূমিতে বাস করেন।

নুনোবিকি জলাধার।

২০০৮ এর ৩১শে মার্চের হিসেব অনুযায়ী মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চলের ৩৫ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে ইসে-শিমা ও য়োশিনো-কুমানো জাতীয় উদ্যান, মুরোও-আকামে-আওয়্যামা ও সুযুকা উপ-জাতীয় উদ্যান এবং পাঁচটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[5]

তথ্যসূত্র

  1. Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Mie prefecture" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 628, পৃ. 628,; "Kansai" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 477, পৃ. 477,
  2. Nussbaum, "Tsu" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 995, পৃ. 995,
  3. Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 780, পৃ. 780,
  4. "Mie Prefecture homepage: Mie's Geography and Climate (pdf)" (পিডিএফ)। ২০ মে ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৬
  5. "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.