মিয়াজি নূর মুহাম্মদ
মিয়াজি নূর মুহাম্মদ (সুফি নূর মুহাম্মদ, মিয়াজি নূর মুহাম্মদ ঝানঝানবী নামেও পরিচিত; ১৭৮৬ – ১৮৪৩) ছিলেন একজন ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত ও সুফি ব্যক্তিত্ব। তার অন্যতম শিষ্য ছিলেন ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি। এই মুহাজিরে মক্কি থেকেই দেওবন্দ আন্দোলনের প্রসার ঘটে। তিনি সৈয়দ আহমদ বেরলভির সাথে বালাকোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার পীরের নাম শাহ আব্দুর রহিম ওলায়েতী।
মিয়াজি নূর মুহাম্মদ ঝানঝানবী | |
---|---|
میاں جی نور محمد جھجھانوی | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৭৮৬ ইং |
মৃত্যু | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৮৪৩ ৫৬–৫৭) | (বয়স
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | বালাকোট যুদ্ধ |
প্রধান আগ্রহ | তাসাউফ |
যেখানের শিক্ষার্থী | মাদ্রাসায়ে রহিমিয়্যা |
মুসলিম নেতা | |
এর শিষ্য | শাহ আব্দুর রহিম ওলায়েতী |
শিষ্য
|
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
![]() |
![]() |
জীবনী
নূর মুহাম্মদ ১৭৮৬ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মজঃফরনগর জেলার ঝানঝানা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ জামাল উদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি ছিলেন তার পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। পিতা-মাতা উভয় দিক থেকেই তিনি সৈয়দ ছিলেন। তার পাঁচ ভাই ও এক বোন। তিনি দিল্লির মাদ্রাসায়ে রহিমিয়্যায় ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে পারেন নি। তথাপি তিনি ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন। ফার্সি ভাষার উপর দক্ষতা ছিল। আরবিও জানতেন। তিনি পারিবারিক নিয়ম অনুযায়ী সর্বপ্রথম কুরআন হেফজ করেন, অতঃপর ফার্সি ভাষা শিক্ষা করেন। দিল্লি থেকে তিনি ঝানঝানায় গমন করে কিছুদিন সেখানে অবস্থান করেন। অতঃপর তিনি নিজ এলাকায় গমন করেন এবং সেখানকার এক মসজিদে শিশুদের কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য চাকরি গ্রহণ করেন। তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার ঝানঝানায় গমন করে জুমআর দিন পূর্ণ দিবস সেখানে অবস্থান করে সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার তার লোহারীস্থ মক্তবে পৌছে যেতেন।[1]
তিনি শাহ আব্দুর রহিম ওলায়েতীর হাতে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন। ওলায়েতী তাকে খেলাফত প্রদান করেছিল। ওলায়েতী দলবল নিয়ে সৈয়দ আহমদ শহীদের সাথে বালাকোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ওলায়েতীর মুরিদ হিসেবেও তিনি বালাকোটের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই যুদ্ধে ওলায়েতী মৃত্যুবরণ করেন। মিয়াজি নূর মুহাম্মদ সুফি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন: ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি, হাফেজ জামেন শহিদ, শায়খ মুহাম্মদ থানভী প্রমুখ।[1]
১৮৪৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[1]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
উদ্ধৃতি
- বিজনুরি, আজিজুর রহমান (১৯৬৭)। তাজকিরায়ে মাশায়েখে দেওবন্দ [দীপ্তিময় মনীষীগণের জীবনকথা]। ছফিউল্লাহ, মুহাম্মদ কর্তৃক অনূদিত। বিজনুর, ভারত; বাংলাবাজার, ঢাকা: ইদারায়ে মাদানি দারুত তালিফ; মাকতাবায়ে ত্বহা। পৃষ্ঠা ২২–৩৫। ওসিএলসি 19927541।
গ্রন্থপঞ্জি
- কান্ধলভি, মুহাম্মদ জাকারিয়া। তারীখে মাশায়েখে চিশত। করাচি: মাকতাবাতুশ শায়খ। পৃষ্ঠা ২৩২–২৪২।
- হাবিবুর রহমান, মুহাম্মদ (২০০৬)। দারুল উলূম দেওবন্দ মুবাশশারাত, পরিচিতি ও আকাবিরের কারামত। বাংলাবাজার, ঢাকা: আল কাউসার প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২২–২৩।
- হাবিবুর রহমান, মুহাম্মদ (১৯৯৮)। আমরা যাদের উত্তরসূরী (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: আল কাউসার প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২২–২৯।