মিজাভু

মিজাভু বা মিঝাভু (মালয়ালম: മിഴാവ്) হল একটি বৃহৎ তামার ড্রাম, যেটি কেরলের বিখ্যাত কুড়িয়াট্টম এবং কুথু নৃত্যের সঙ্গে সঙ্গতকারী ঘাতবাদ্য হিসাবে বাজানো হয়। আম্বালাবাসী নাম্বিয়ার সম্প্রদায়ের মানুষের এটি বাজানোর অধিকার ছিল। ১৯৬৫ সালের পরে, কলামন্ডলম থেকে মিজাভু কোষ শুরু করার পর মিজাভু বাদ্যে জাতিপ্রথার বাধা ভেঙে যায় এবং আজকাল যে কেউ কুড়িয়াট্টম, নাঙ্গিয়ার কুথু, চাকিয়ার কুথু, এবং মিজাভু থায়াম্বাকার সঙ্গে মিজাভু বাজাতে পারেন।

মিজাভানা তে (কাঠের বাক্সটি বিশেষত মিজাভুকে রাখার জন্য তৈরি) রাখা মিজাভু।

উৎস

কুঞ্চন নাম্বিয়ার মিজাভু

ড্রামটি কেবল হাত দিয়ে বাজানো হয়। নাম্বিয়রের সংস্কৃত নাম "পাণিবাদ্য" ('পাণি' অর্থ হাত এবং 'বাদ্য' এসেছে 'বাদনম'ক্রিয়া থেকে, যার অর্থ বাজানো, এর পুরোপুরি অর্থ হল যিনি হাত দিয়ে বাজান) এই কারণটি থেকে এসেছে।

ধর্মানুষ্ঠান

মিজাভুকে "ব্রহ্মচর্য" হিসাবে ধরা হয় এবং এটি পবিত্র হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি মন্দিরের পবিত্র কুড়িয়াট্টম এবং কুথু নৃত্য প্রদর্শনের সময় ব্যবহৃত হয়। এখনো কেবলমাত্র আম্বালাবাসী নাম্বিয়ার সম্প্রদায়ের সদস্যদেরই মন্দিরে বা কুঠাম্বালমের স্থানে এটি বাজানোর অনুমতি রয়েছে।

মিজাভুকে শাস্ত্রীয় পাঠ্য শিলাপতিকরমে উল্লেখ করা হয়েছে। এটিকে কুঠাম্বালমে প্রতিমা হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ব্রাহ্মণ্য হিসাবে গণ্য করা হয়। উপনয়নমের মতো ব্রাহ্মণের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি মিজাভুর জন্যও পালিত হয়।[1]

মিজাভুকে কাঠের বাক্সে রাখা হয় (মালয়ালমে মিজাভানা নামে পরিচিত) যাতে এটি মেঝেতে স্পর্শ না করে। যখন এটি বাদনের অযোগ্য হয়ে যায়, বাদ্যযন্ত্রটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দির চত্বরে দাহ করা হয়।[1]

চাকিয়ার কুথুর হয়ে মিজাভু বাজাচ্ছেন কলামণ্ডলম অচ্যুতানন্দন

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Mizhavu"। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২১

আরো পড়ুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.