মিছরি

মিছরি এক প্রকারের মিষ্টি জাতীয় দানাদার খাদ্যদ্রব্য। আখের রস বা তালের রস থেকে স্ফটিকের মতো মিছরি তৈরী করা হয়। মিছরিকে বলা হয় দানাবাঁধা চিনি।[1][2]

সাদা মিছরির দানা

প্রধানত চিনির তৈরী বলে মিছরি সাধারণত লালাভ সাদা রঙয়ের হয়ে থাকে। হাইড্রোজ নামক রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে মিছরিকে ফকফকা সাদা করা হয়। তবে নানা প্রকার রঙ মিশিয়ে এটা রঙিনও পাওয়া যায়। বিভিন্ন ছাঁচে ঢালাই করে একে নানারকমের আকার দেওয়া হয় । তাল মিছরি গলার কাশিতে উপকারী।

মিছরির খাদ্যগুণ

তালমিছরি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি মিষ্টি হওয়ার ফলে একে বলে প্রকৃতিক চিনি। রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধির নিয়ামক গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স (GI) স্বাভাবিকভাবে অন্যন্য খাবারে থাকে ৫৫%, কিন্তু তালমিছরিতে তার পরিমাণ মাত্র ৩৫%। তালমিছরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ভিটামিনস, মিনারেলস (ক্যালশিয়াম, পট্যাশিয়াম, আইরন, জিঙ্ক, ফসফরাস ইত্যাদি) আর আমাইনো এসিডস। একটি অল্প লভ্য ভিটামিন, বি ১২, যা মূলত আমিষাশী খাবারেই পাওয়া যায়, তা তালমিছরিতে পাওয়া যায়।[3]

মিছরির উপকারিতা

তাল মিছরি অনেক উপকারী গুণ সমৃদ্ধ। যেমন- আনিমিয়া, হাড়ের সমস্যা, সর্দি কাশির উপশম, চোখের দৃষ্টি বাড়ানো, কিডনি স্টোন, পেটে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের আলসার, কন্সটিপেশন, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, ডায়রিয়া, শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট, আর্থারাইটিস, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ও তালমিছরি খুব উপকারী। [3][4]

প্রস্তুত প্রণালী

তালমিছরি হলো প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি একপ্রকার চিনিজাতীয় দ্রব্য। তালমিছরিতে থাকে খাঁটি তালের রস। সেই তাল গুড় জ্বাল দেওয়া হয় একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এরপরে সেটিকে ঢালা হয় ট্রেতে বা কোনো পাত্রে। এরপরে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এই ট্রেগুলিকে চট দিয়ে ঢেকে রাখা হয় একটি বন্ধ ঘরে। সপ্তাহখানেক পরে ওপরে ও নিচের অংশগুলি শুকিয়ে দানাতে পরিণত হয়,অর্থাৎ‍ তালমিছরিতে পরিণত হয়। মাঝের স্তরটি তখনও নরম এবং চটচটে থাকে এবং সেটিকে বিশেষ উপায়ে আলাদা করে নেওয়া হয়। মিছরি তৈরি করার মরসুম মোটে চারটি। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শ্রাবণের প্রথমার্দ্ধ,এই সময়েই বানানো হয় তালমিছরি।

তথ্যসূত্র

  1. অনলাইন অভিধান
  2. জানা-অজানা - মিছরি
  3. তালমিছরির উপকারিতা, জেনে নিন। "জেনে নিন তালমিছরির উপকারিতা"https://m.dailyhunt.in/news/india/bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৯ |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. তাল মিছরি কেন খাবেন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.