মিউয়ন
মিউয়ন (যা এর প্রতিনিধিত্বকারী গ্রিক বর্ণ মিউ (μ) থেকে এসেছে) হল এক ধরনের মৌলিক কণিকা, যা ইলেকট্রনের সাথে নানাভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ, যার তড়িত আধান ঋণাত্মক এবং স্পিন ১⁄২। ইলেকট্রন, টাউওন এবং তিন ধরনের নিউট্রিনোর সাথে একত্রে একে লেপটন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি একটি অস্থিতিশীল উপপারমাণবিক কণিকা, যার গড় আয়ু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (২.২us)। অন্যান্য মৌলিক কণিকার মতো মিউয়নেরো প্রতিপদার্থ বিদ্যমান যার আধান বিপরীত কিন্তু ভর ও স্পিন সমান: প্রতি-মিউয়ন (যাকে ধনাত্মক মিউয়নও বলা হয়)। মিউয়নকে
μ−
দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং প্রতি-মিউয়নকে
μ+
দ্বারা। মিউয়নকে অতীতে মিউ মেসন বলা হত, যদিও আধুনিক কণা পদার্থবিজ্ঞানীরা মিউয়নকে মেসনের শ্রেণীভুক্ত করেন না।
গঠন | মৌলিক কণিকা |
---|---|
পরিসংখ্যান | ফার্মিওনীয় |
প্রজন্ম | দ্বিতীয় |
মিথষ্ক্রিয়া | মহাকর্ষ, তড়িতচৌম্বকীয়, দুর্বল |
প্রতীক | μ− |
প্রতিকণা | প্রতি-মিউয়ন |
তত্ত্ব | — |
আবিষ্কার | কার্ল ডি. এন্ডারসন (১৯৩৬) |
ভর | ১০৫.৬৫৮৩৬৯(৯)MeV/c2 |
জীবনকাল গড় | ২.১৯৭০৩(৪)×১০−৬s[1] |
ইলেকট্রিক চার্জ | −1 e |
Color charge | নেই |
স্পিন | ১⁄২ |

মিউয়নের ভর হল ১০৫.৭MeV/c2, যা ইলেকট্রনের ভরের প্রায় ২০০ গুণ। যেহেতু মিউয়নের মিথস্ক্রিয়া ইলেকট্রনের প্রায় অনুরূপ, মিউয়নকে মোটা দাগে অধিকতর ভরবিশিষ্ট ইলেকট্রন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ভর বেশি হবার কারণে মিউয়ন তড়িতচুম্বক ক্ষেত্রের অধীনে ইলেকট্রনের মতো দ্রুততার সাথে ত্বরিত হয় না, এবং তত বেশি ব্রেমস্টালুগ বিকিরণও নিঃসরণ করে না। একই কারণে নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তিসম্পন্ন মিউয়ন ইলেকট্রনের চেয়ে অনেক বেশি ভেদনযোগ্যতা রাখে - বেগ অর্জনের সময় এদের শ্লথতার কারণ হল সে সময়কার শক্তি ক্ষয়।
বায়ুমন্ডলে ক্রিয়াশীল মহাজাগতিক রশ্মির মাধ্যমে উৎপন্ন মিউয়ন পৃথিবী পৃষ্ঠ ভেদ করে বহু গভীরে যাবার ক্ষমতা রাখে।
তথ্যসূত্র
- W.-M. Yao et al. (Particle Data Group), J. Phys. G 33, 1 (2006)