মাহে জেলা
ভারতের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চারটি জেলার মধ্যে একটি হল মাহে জেলা (ফরাসি: District de Mahé)। জেলাটি সম্পূর্ণ মাহে অঞ্চল নিয়ে গঠিত।[1] আয়তনের দিক থেকে মাহে জেলা ভারতের সবচেয়ে ক্ষুদ্র জেলা।[2] ৯ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এই জেলাটির স্থলসীমান্তে চতুর্দিকে রয়েছে কেরালা রাজ্যের উত্তর মালাবার অঞ্চল। জেলাটি উত্তরে তিনভাগ কণ্ণুর জেলা এবং দক্ষিণে একভাগ কালিকট জেলা দ্বারা পরিবেষ্ঠিত। শুধু তাই নয় ভৌগোলিকভাবে মাহে জেলাও উত্তর মালাবার অঞ্চলেরই অন্তর্ভুক্ত।
| মাহে জেলা മയ്യഴി ജില്ല | |
|---|---|
| পুদুচেরির জেলা | |
 | |
| স্থানাঙ্ক: ১১°৪২′ উত্তর ৭৫°৩২′ পূর্ব | |
| রাষ্ট্র |  ভারত |
| কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | পুদুচেরি |
| আয়তন | |
| • মোট | ৯ বর্গকিমি (৩ বর্গমাইল) |
| জনসংখ্যা (২০১১) | |
| • মোট | ৪১,৮১৬ |
| • জনঘনত্ব | ৪,৬০০/বর্গকিমি (১২,০০০/বর্গমাইল) |
| ভাষা | |
| • দাপ্তরিক | মালয়ালম, তামিল, ইংরাজী |
| • সহ দাপ্তরিক/সাংস্কৃতিক | ফরাসি |
| সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
| পিন | ৬৭৩৩০৯, ৬৭৩৩১০, ৬৭৩৩১১, |
| যানবাহন নিবন্ধন | PY-03 (পি ওয়াই ০৩) |
ভারতের ৭৩৬ টি জেলার মধ্যে এই জেলাটি ষষ্ঠ সর্বনিম্ন জনসংখ্যা বিশিষ্ট জেলা।[3]
তালুক বা উপজেলা
- মাহে বা মাইয়ালি
- চেরুকল্লায়ী
- পাল্লূর
- পাণ্ডক্কাল
জনতত্ত্ব
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে মাহি জেলার জনসংখ্যা ছিলো ৪১,৮১৬ জন,[3] যা লিশটেনস্টাইন রাষ্ট্রের জনসংখ্যার সমতুল্য।[6] ২০১১ খ্রিস্টাব্দে জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতের ৬৪০ টি জেলার মধ্যে মাহে জেলা জনসংখ্যা অনুযায়ী ৬৩৫ নম্বর স্থানে রয়েছে। [3] জেলাটিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৬৫৯ জন (১২,০৭০ জন প্রতি বর্গমাইল) লোকের বাস।[3] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জেলাটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৩.৮৬ শতাংশ।[3] এখানে প্রতি হাজার পুরুষে ১১৭৬ জন মহিলা বাস করেন। [3] জেলাটির সর্বমোট সাক্ষরতার হার ৯৭.৮৭ শতাংশ পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯৮.৬৩ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৯৭.২৫ শতাংশ।[3]
ধর্ম
২০১১ খ্রিস্টাব্দে জনগণনা অনুযায়ী মাহে জেলার বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের পাইচিত্র
মাহে জেলা হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও মুসলিম ধর্ম অনুসারী মানুষের সংখ্যাও যথেষ্ট।
মাহে জেলায় অবস্থিত শ্রী পুতালম ভগবতী মন্দির হলো একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক ভগবতী দেবীর মন্দির। মন্দিরটির ইতিহাসে ভারতীয় এবং ফরাসি সৈন্যের অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনাও জড়িত। [7] মাহে যাত্রা উপলক্ষে খ্রিস্টীয় ধর্মযাজক ইগ্নেশিয়াস এ এস হিপোলাইটস ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে জেলাটিতে সেন্ট তেরেসা গির্জাটি নির্মাণ করান।[8]
পর্যটন
মূপ্পেনকুণ্ণু শিখর
মাহে জেলার একটি বিখ্যাত চরৈবেতি স্থান হল মূপ্পেনকুণ্ণু শিখর বা চূড়া। পর্যটকদের জন্য সেখানে হাঁটার জন্য পাকা বাঁধানো রাস্তা বসার জন্য বেঞ্চ এবং বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একাধিক লজ ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। চূড়াটিতে একটি ঐতিহাসিক লাইটহাউজ রয়েছে, এছাড়াও এখান থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য মনোরম। [10]
তটবীথি
মাহে নদীর তীর বরাবর হেঁটে যাওয়ার রাস্তাটি মনোরম ও পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম কারণ। এ ছাড়াও নদীর ধারে একাধিক পার্কে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার পরিবেশ রয়েছে। সারা শহর জুড়ে রয়েছে একাধিক হাঁটার রাস্তা।[11]
আড়িমুখম
মাহে নদী এবং আরব সাগরের মিলনস্থলে অবস্থিত আড়িমুখম হলো একটি নদীমোহনা। এখানে একটি ছোট টেগর উদ্যান রয়েছে। সাম্প্রতিককালে মাহে নদী বরাবর নদীর মোহনা থেকে মাহে সেতু অবধি দু'কিলোমিটার বিস্তৃত একটি পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে[12]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Mahe District official website
- title = District census 2011
- "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- http://mahe.gov.in/
- Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Pondicherry: Government"। India 2010: A Reference Annual (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1222। আইএসবিএন 978-81-230-1617-7।
- US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
212 Liechtenstein 35,236 July 2011 est.
- https://mahe.gov.in/tourist-place/tp-puthalam-temple/
- https://mahe.gov.in/tourist-place/tp-st-theresa-shrine/
- http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
- https://mahe.gov.in/tourist-place/tp-hillock/
- https://mahe.gov.in/tourist-place/tp-walkway/
- https://mahe.gov.in/tourist-place/tp-azhimukham/