মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (ইংরেজি: Multiple Sclerosis বা সংক্ষেপে MS বা এম.এস.) হলো একধরনের ডি-মায়েলিনেটিং রোগ, যাতে মানব মস্তিষ্কে ও স্নায়ুরজ্জুতে বিদ্যমান স্নায়ুকোষগুলোকে আচ্ছাদনকারী অন্তরক আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[1] এই ক্ষতির কারণে স্নায়ুতন্ত্রের অংশবিশেষের অন্য অংশগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং ফলশ্রূতিতে, বৃহৎ পরিসরে বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক উপসর্গের সৃষ্টি হয়। এসব উপসর্গের মধ্যে সাধারণত শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং কখনও কখনও মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়।[2][3] সুনির্দিষ্ট উপসর্গসমূহের মধ্যে দ্বৈত প্রতিবিম্ব, এক চোখে অন্ধত্ব, মাংসপেশীর দূর্বলতা, ঈন্দ্রিয়ানুভূতিগত সমস্যা অথবা অঙ্গসঞ্চালনে সমণ্বয়হীনতা উল্লেখযোগ্য।[1] এম.এস. ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখা দিতে পারে, যেগুলোর ফলে বিচ্ছিন্ন আক্রমণের সাথে নতুন উপসর্গ (পুনরাবনতিশীল রুপ) কিংবা সময়ের সাথে নতুন নতুন উপসর্গ (অগ্রসরমান রূপ) দেখা দিতে পারে।[4] দুটি আক্রমণের মধ্যকার সময়ে কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে। তবুও, ক্রমবর্ধমান রোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে কিছু স্নায়ুবিক সমস্যা অবশিষ্ট থেকে যেতে পারে।[4]

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস
প্রতিশব্দdisseminated sclerosis, encephalomyelitis disseminata
বিশেষত্বNeurology

এ রোগের কারণ সুস্পষ্ট নয়। তথাপি রোগ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আক্রমণ অথবা মায়েলিন উৎপন্নকারী কোষগুলোর বিকলতাকেই এ রোগের অন্তর্নিহিত কারণ বলে মনে করা হয়ে থাকে।[5] এ রোগের সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে, জিনগত ও পরিবেশীয় নিয়ামক যেমন, ভাইরাস সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য, যেখানে ভাইরাস সংক্রমণ রোগের অগ্রসরতাকে ত্বরান্বিত করে বলে আশঙ্কা করা হয়।[2][6] এম.এস. সাধারণত দৃশ্যমান লক্ষণ ও উপসর্গ এবং পর্যবেক্ষণকে সমর্থনকারী মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়ে থাকে।[7]

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের কোন প্রতিষেধক নেই।[1] আক্রমণের পরে শারীরবৃত্তিক ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং নতুন আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যেই চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।[2] এ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো সুবিধাজনকভাবে কার্যকরী হওয়া সত্ত্বেও, এগুলোর এমন কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে যেগুলো হয়ত রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।[1] ফিজিওথেরাপি এক্ষেত্রে রোগীদের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করতে পারে।[1] তবে অনেকেই বিকল্প চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন, যদিও এর কার্যকারীতার কোন প্রমাণ নেই।[8] দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির পূর্বাভাস দেয়া খুবই কঠিন। যদিও, বিশেষ জনগোষ্ঠী, যেমন যারা অল্প বয়সে রোগের শিকার হন, যারা এ রোগের পুনরাবনতিশীল প্রকরণে আক্রান্ত হন কিংবা যারা প্রাথমিকভাবে অল্প কয়েকবার আক্রমণের শিকার হন, তাদের ক্ষেত্রে অনেকসময় ভালো পরিণতি দেখা যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালো পরিণতি দেখা যায়।[9] সাধারণ জনগোষ্ঠীর তুলনায় এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ুষ্কাল গড়ে ৫ থেকে ১০ বছর কম হয়ে থাকে।[2]

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অটোইমিউন রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার্বজনীন।[10] ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। যেখানে বিভিন্ন অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার উল্লেখযোগ্য তারতম্য বিদ্যমান।[11][12] ঐ বছরে প্রায় ২০,০০০ মানুষ এই রোগের কারণে মারা যায়, যেখানে ১৯৯০ সালে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২,০০০।[13] সাধারণত ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই রোগটি প্রথম দেখা দেয় এবং পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রে রোগটি প্রায় দ্বিগুণ হারে বেশি দেখা দেয়।[14] ১৮৬৮ সালে জিন-মার্টিন চার্কোট সর্বপ্রথম এই রোগটি বর্ণনা করেন।[15] মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামটি এই রোগের কারণে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জুর হোয়াইট ম্যাটারে হওয়া অসংখ্য ক্ষতচিন্হকে নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়।[15] কিছু সংখ্যক নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ও রোগ শনাক্তকরণ পদ্ধতি বর্তমানে উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে।[16]

লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ

এম.এস আক্রান্ত একজন ব্যক্তি প্রায় যেকোন ধরনের স্নায়বিক সমস্যা নানারকম হতে পারে। যেমন- অনৈচ্ছিক পেশির কাজে সমস্যা হতে পারে, চেষ্টিয়,দর্শনে ইত্যাদি হল সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা।[2] সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট সমস্যা দেখা যায় স্নায়ুতে। স্নায়ুর সংবেদনশীলতার ব্যাপকহারে হ্রাস পায়, এর ফলে সুই বা পিন দিয়ে শরীরে স্পর্শ করলে শরীর অনুভব করতে পারে না, পেশিতে দুর্বলতার সৃষ্টি হয়,খিচুনী দেখা যায়, এবং ঐচ্ছিক পেশি নাড়ানো কঠিন হয়। কঠিন হয় শরীরের ভারসাম্য রাখা(ataxia);কথা বলতে,খেতে সমস্যা হয়, সমস্যা হয় দর্শনে (nystagmus, optic neuritis or double vision), অবসাদগ্রস্থতা অনূভুত হয়, তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, মুত্রথলি,এবং অন্ত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়।[2] চিন্তাভাবনা করাও কঠিন হয়ে দাড়ায়, মানসিক সমস্যা যেমন: হতাশাগ্রস্থতা, অস্থির অস্থির লাগা এই সবকিছুই খুবই সাধারণ লক্ষণ।[2] এম.এস এর অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শারীরিক তাপমাত্রার সম্মুখিন হওয়ার ফলে সৃষ্ট দশা বা উথফের প্রপঞ্চ (Uhthoff's phenomenon) এবং ঘাড় বাঁকানোর সময় পিঠ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার মত অনুভূতি বা হার্মাইটের লক্ষণ (Lhermitte's sign) উল্লেখযোগ্য।[2]

কারণ

মাল্টিপল স্কেলোরোসিসের কারণ অজানা। তারপরেও ধারণা করা হয় এই রোগ জেনেটিক এবং পরিবেশগত উভয়ের মিলিতভাবে সংঘটিত হওয়া কোনো রোগ।[2] নানান তথ্যকে বিশ্লেষণ করে ব্যখা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু কোনোটাই নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত নয়। পরিবেশগত যেসব আশঙ্কার কারণ আছে তার কিছু নিরাময়যোগ্য হলেও, তারপরেও আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজন, যাতে করে এই রোগের কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরী করা যায়। [২৪]

পূর্বাভাস

এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ৩০ বছর পর্যন্ত রোগী বেচে থাকে, আর যারা এই রোগে আক্রান্ত হয় না, তারা খুব বেশি হলে আক্রান্ত ব্যক্তির তুলনায় ৫-১০ বছর বেশি বাচে।[2](অর্থাৎ কেও যদি এই রোগে চল্লিশ বছর বয়সে আক্রান্ত হয় তাহলে সে ৭০ বছর অবধি বেচে থাকবে) প্রায় ৪০% লোক যাদের MS থাকে তারা ৭০ বছর এর ঊর্ধ্বে যেতে পারেন।[97] তা সত্তেও দুই তৃতীয়াংশ লোক যাদের MS থাকে তারা এই রোগের কারণে মারা যায়। আত্মগত্যাই তাদের মিধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় যদিও অনেক লোক মৃত্যুর আগেই হাটার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তবুও ৯০% ক্ষেত্রে মানুষ এই রোগ হওয়ার দশ বছর পর্যন্ত হাটতে সক্ষম হয় এবং ৭৫% ক্ষেত্রে মানুষ ১৫ বছর পর্যন্ত হাটতে সক্ষম থাকে।[98] [needs update?]

ইতিহাস

মেডিকেল আবিষ্কার

Robert Carswell (1793–1857), প্যাথোলজির একজন ব্রিটিশ অধ্যাপক এবং Jean Cruveilhier (1791–1873), ফ্রান্সের প্যাথোলজিক এনাটমির অধ্যাপক, অনেক মেডিক্যাল রোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করলেও এই রোগকে আলাদা করে শনাক্ত করতে পারেন নি।[17] বিশেষ করে কারসয়েল এই ব্যাধিকে"পুষ্টির অভাবে ক্ষত" বলে উল্লেখ করেন।[2] অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে পরীক্ষা করে সুইস প্যাথোলজিস্ট Georg Eduard Rindfleisch (1836–1908) ১৮৬৩ সালে এই ক্ষতটা ধমনীর চারপাশে অবস্থান করে বলে উল্লেখ করেন।[18][19]

ফ্রেন্স neurologist Jean-Martin Charcot (1825–1893) হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি যিনি মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস কে শনাক্ত করেন এবং একে অন্য সকল রোগ থেকে আলাদা এবং সম্পূর্ণ নতুন রোগ বলে উল্লেখ করেন।[17]

ঐতিহাসিক নজির

কিছু ইতিহাসে বিখ্যাত ব্যক্তি আছে যাদের ও সম্ভবত MS ছিল।

একজন তরুণী যাকে হ্যাল্ডোরা বলা হয়, যে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের সময়কার ছিল,বাস করত আইসল্যান্ডে, হঠাৎ করে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিল,কিন্তু কথিত আছে দরবেশের কাছে প্রার্থনা করার পর সাতদিন পর সে সুস্থ হয়ে যায়। Schiedam এর সন্নাসীনি Lidwina (1380–1433), একজন ডাচ নান সম্ভবত MS এ আক্রান্ত ছিলেন। ১৭ বছর বয়স থেকে ৫৩ বছর বয়স অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত তার ছিল অবিরাম ব্যাথা, পায়ে দুর্বলতা, এবং ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি। যা MS এর সাধারণ লক্ষণ।[20] ধারণা করা যায় উভয় ঘটনার পেশেন্টের ক্ষেত্রেই MS ই দায়ী ছিল।[21]

যুক্তরাজ্যের George III এর নাতী, Prince Augustus Frederick, Duke of Sussex এবং Lady Augusta Murrayর পুত্র Augustus Frederick d'Este (1794–1848) নিশ্চিতভাবে MS ছিল। D'Este এর একটি ডায়রি/দিনপঞ্জী পাওয়া গিয়েছিল। যেখানে সে ২২ বছর ধরে যে রোগের সাথে বসবাস করেছিল, তার অভিজ্ঞতা লিখে রেখেছিল। তার ডায়রী শুরু হয়েছিল ১৮২২ সালে এবং শেষ হয়েছিল ১৮৪৬ সালে। কিন্তু ১৯৪৮ পর্যন্ত কেন এমনটা হয়েছিল সেটা জানা যায় নি। তার এই রোগটা ২৮ বছর বয়সে শুরু হয়েছিল হঠাৎ করে ক্ষণস্থায়ীভাবে দৃষ্টি হারানোর মাধ্যমে। তার বন্ধুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরে এই ব্যাধির সূচনা হয়। তার পায়ে দুর্বলতার শুরু হয়,হাতে অসাড় অবস্থার সূচনা হয়, মাথাঘুরা শুরু হয়, যৌনপ্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। ১৮৪৪ সালে তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করা শুরু করেন। অসুস্থতা সত্তেও তিনি একটা উৎসবমুখর জীবনের স্বপ্ন দেখতেন।[22][23] অন্য আরেকজন ব্রিটিষ এর ডায়রী পাওয়া যার নাম W. N. P. Barbellion (1889–1919), যিনি তার সকল সংগ্রামকে দিনপঞ্জীতে লিপিবদ্ধ কিরে গিয়েছিলেন।[23] তার দিনপঞ্জী প্রকাশ হয়েছিল ১৯১৯ সালে যার শিরোনাম ছিল The Journal of a Disappointed Man.[24]

তথ্যসূত্র

  1. "NINDS Multiple Sclerosis Information Page"National Institute of Neurological Disorders and Stroke। নভেম্বর ১৯, ২০১৫। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৬
  2. Compston, A.; Coles, A. (অক্টোবর ২০০৮)। "Multiple sclerosis"। Lancet372 (9648): 1502–17। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(08)61620-7পিএমআইডি 18970977
  3. Murray, E.D.; Price, B.H. (২০১২)। "Depression and Psychosis in Neurological Practice"। Daroff, R.; Fenichel, G.; Jankovic, J.; Mazziotta, J। Bradley's neurology in clinical practice. (6th সংস্করণ)। Philadelphia, PA: Elsevier/Saunders। আইএসবিএন 1-4377-0434-4।
  4. Lublin FD, Reingold SC (এপ্রিল ১৯৯৬)। "Defining the clinical course of multiple sclerosis: results of an international survey"Neurology46 (4): 907–11। ডিওআই:10.1212/WNL.46.4.907পিএমআইডি 8780061
  5. Nakahara, J.; Maeda, M.; Aiso, S.; Suzuki, N. (ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Current concepts in multiple sclerosis: autoimmunity versus oligodendrogliopathy."। Clinical reviews in allergy & immunology42 (1): 26–34। ডিওআই:10.1007/s12016-011-8287-6পিএমআইডি 22189514
  6. Ascherio, A.; Munger, K.L. (এপ্রিল ২০০৭)। "Environmental risk factors for multiple sclerosis. Part I: the role of infection"Annals of Neurology61 (4): 288–99। ডিওআই:10.1002/ana.21117পিএমআইডি 17444504
  7. Tsang, B.K.; Macdonell, R. (ডিসেম্বর ২০১১)। "Multiple sclerosis- diagnosis, management and prognosis"। Australian family physician40 (12): 948–55। পিএমআইডি 22146321
  8. Huntley A (জানুয়ারি ২০০৬)। "A review of the evidence for efficacy of complementary and alternative medicines in MS"। Int MS J13 (1): 5–12, 4। পিএমআইডি 16420779
  9. Weinshenker BG (১৯৯৪)। "Natural history of multiple sclerosis"। Annals of Neurology36 (Suppl): S6–11। ডিওআই:10.1002/ana.410360704পিএমআইডি 8017890
  10. Berer, K.; Krishnamoorthy, G. (এপ্রিল ২০১৪)। "Microbial view of central nervous system autoimmunity"। FEBS Letters। S0014-5793 (14): 00293–2। ডিওআই:10.1016/j.febslet.2014.04.007পিএমআইডি 24746689
  11. Global Burden of Disease Study 2013, Collaborators (২২ আগস্ট ২০১৫)। "Global, regional, and national incidence, prevalence, and years lived with disability for 301 acute and chronic diseases and injuries in 188 countries, 1990-2013: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2013."। Lancet (London, England)386 (9995): 743–800। ডিওআই:10.1016/s0140-6736(15)60692-4পিএমআইডি 26063472
  12. World Health Organization (২০০৮)। Atlas: Multiple Sclerosis Resources in the World 2008 (পিডিএফ)। Geneva: World Health Organization। পৃষ্ঠা 15–16। আইএসবিএন 92-4-156375-3।
  13. GBD 2013 Mortality and Causes of Death, Collaborators (১৭ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Global, regional, and national age-sex specific all-cause and cause-specific mortality for 240 causes of death, 1990-2013: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2013."Lancet385: 117–171 (table 2)। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(14)61682-2পিএমআইডি 25530442পিএমসি 4340604অবাধে প্রবেশযোগ্য
  14. Milo, R.; Kahana, E. (মার্চ ২০১০)। "Multiple sclerosis: geoepidemiology, genetics and the environment"। Autoimmun Rev9 (5): A387–94। ডিওআই:10.1016/j.autrev.2009.11.010পিএমআইডি 19932200
  15. Clanet M (জুন ২০০৮)। "Jean-Martin Charcot. 1825 to 1893"Int MS J15 (2): 59–61। পিএমআইডি 18782501। ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
    * Charcot, J. (১৮৬৮)। "Histologie de la sclerose en plaques"। Gazette des hopitaux, Paris41: 554–5।
  16. Cohen JA (জুলাই ২০০৯)। "Emerging therapies for relapsing multiple sclerosis"। Arch. Neurol.66 (7): 821–8। ডিওআই:10.1001/archneurol.2009.104পিএমআইডি 19597083
  17. Compston A (অক্টোবর ১৯৮৮)। "The 150th anniversary of the first depiction of the lesions of multiple sclerosis"J. Neurol. Neurosurg. Psychiatr.51 (10): 1249–52। ডিওআই:10.1136/jnnp.51.10.1249পিএমআইডি 3066846পিএমসি 1032909অবাধে প্রবেশযোগ্য
  18. Lassmann H (অক্টোবর ১৯৯৯)। "The pathology of multiple sclerosis and its evolution"Philosophical Transactions of the Royal Society B354 (1390): 1635–40। ডিওআই:10.1098/rstb.1999.0508পিএমআইডি 10603616পিএমসি 1692680অবাধে প্রবেশযোগ্য
  19. Lassmann H (জুলাই ২০০৫)। "Multiple sclerosis pathology: evolution of pathogenetic concepts"। Brain Pathology15 (3): 217–22। ডিওআই:10.1111/j.1750-3639.2005.tb00523.xপিএমআইডি 16196388
  20. Medaer R (সেপ্টেম্বর ১৯৭৯)। "Does the history of multiple sclerosis go back as far as the 14th century?"। Acta Neurol. Scand.60 (3): 189–92। ডিওআই:10.1111/j.1600-0447.1979.tb08970.xপিএমআইডি 390966
  21. Holmøy T (২০০৬)। "A Norse contribution to the history of neurological diseases"। Eur. Neurol.55 (1): 57–8। ডিওআই:10.1159/000091431পিএমআইডি 16479124
  22. Firth D (১৯৪৮)। The Case of August D`Esté। Cambridge: Cambridge University Press।
  23. Pearce JM (২০০৫)। "Historical descriptions of multiple sclerosis"। Eur. Neurol.54 (1): 49–53। ডিওআই:10.1159/000087387পিএমআইডি 16103678
  24. Barbellion, Wilhelm Nero Pilate (১৯১৯)। The Journal of a Disappointed Man। New York: George H. Doran। আইএসবিএন 0-7012-1906-8।

বহিঃসংযোগ

শ্রেণীবিন্যাস
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.