মালি জাতীয় ফুটবল দল

মালি জাতীয় ফুটবল দল (ফরাসি: Équipe nationale de football du Mali, ইংরেজি: Mali national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মালির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম মালির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মালীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬৩ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৬০ সালের ১৩ই এপ্রিল তারিখে, মালি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; মাদাগাস্কারে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে মালি মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রকে ৪–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।

মালি
দলের লোগো
ডাকনামলে আইগলে (ঈগল)
অ্যাসোসিয়েশনমালীয় ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনক্যাফ (আফ্রিকা)
প্রধান কোচমুহাম্মদ মাগাসুবা
অধিনায়কমোল্লা ওয়াগ
সর্বাধিক ম্যাচসেদু কেইতা (১০২)
শীর্ষ গোলদাতাসেদু কেইতা (২৫)
মাঠস্তাদ দু ২৬ মার্স
ফিফা কোডMLI
ওয়েবসাইটwww.malifootball.com
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৫২ হ্রাস ৪ (৩১ মার্চ ২০২২)[1]
সর্বোচ্চ২৩ (জুন ২০১৩)
সর্বনিম্ন১১৭ (অক্টোবর ২০০১)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৬১ বৃদ্ধি ৮ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[2]
সর্বোচ্চ৪০ (ডিসেম্বর ১৯৭১)
সর্বনিম্ন১২৭ (সেপ্টেম্বর ১৯৯৬)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 মালি ৪–৩ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র 
(মাদাগাস্কার; ১৩ এপ্রিল ১৯৬০)
বৃহত্তম জয়
 মালি ১১–০ মৌরিতানিয়া 
(সেনেগাল; ১ অক্টোবর ১৯৭২)
বৃহত্তম পরাজয়
 আলজেরিয়া ৭–০ মালি 
(আলজেরিয়া; ১৩ নভেম্বর ১৯৮৮)
 কুয়েত ৮–১ মালি 
(কুয়েত সিটি, কুয়েত; ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭)
আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স
অংশগ্রহণ১২ (১৯৭২-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরানার-আপ (১৯৭২)
আফ্রিকান নেশন্স চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ৩ (২০১১-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরানার-আপ (২০১৬)

৬০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট স্তাদ দু ২৬ মার্সে লে আইগলে নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় মালির রাজধানী বামাকোয় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন মুহাম্মদ মাগাসুবা এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আমিয়েঁর রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মোল্লা ওয়াগ

মালি এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে মালি এপর্যন্ত ১২ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৭২ আফ্রিকান কাপ অফ নেশন্সের ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কাছে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

সেদু কেইতা, মুহম্মদু সিদিবে, মুহম্মদু দিয়ারা, ফ্রেদেরিক কানুতে এবং মোল্লা ওয়াগের মতো খেলোয়াড়গণ মালির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৩ সালের জুন মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে মালি তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (২৩তম) অর্জন করে এবং ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১১৭তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে মালির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৪০তম (যা তারা ১৯৭১ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১২৭। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
৩১ মার্চ ২০২২ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[1]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৫০অপরিবর্তিত  প্যারাগুয়ে১৪৪৩.৩
৫১বৃদ্ধি  কাতার১৪৪১.৪১
৫২হ্রাস  মালি১৪৩৬.৬২
৫৩হ্রাস  কোত দিভোয়ার১৪৩৫.২৮
৫৪অপরিবর্তিত  উত্তর আয়ারল্যান্ড১৪২৩.৫৫
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
৩০ এপ্রিল ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[2]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৬০হ্রাস ১৫  তিউনিসিয়া১৬১২
৬১বৃদ্ধি  মালি১৬০৭
৬২বৃদ্ধি  উত্তর আয়ারল্যান্ড১৬০৩
৬৩হ্রাস ১২  বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা১৫৮৯

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

ফিফা বিশ্বকাপবাছাইপর্ব
সালপর্বঅবস্থানম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগোম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০অংশগ্রহণ করেনিঅংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬প্রত্যাহারপ্রত্যাহার
মেক্সিকো ১৯৭০অংশগ্রহণ করেনিঅংশগ্রহণ করেনি
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪প্রত্যাহারপ্রত্যাহার
ফ্রান্স ১৯৯৮
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২উত্তীর্ণ হয়নি
জার্মানি ২০০৬১২১৫১৫
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০১৬৩০২১
ব্রাজিল ২০১৪
রাশিয়া ২০১৮১০
কাতার ২০২২অনির্ধারিতঅনির্ধারিত
মোট০/২৩৪৪১৬১১১৭৫৯৫৭

অর্জন

তথ্যসূত্র

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.