মালাপ্পুরম জেলা
মালাপ্পুরম জেলা কেরালার ১৪ টি জেলার মধ্যে একটি, যা ৭০ কিমি (৪৩ মা) সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন৷ জেলাসদর ও প্রশাসনিক দপ্তর মালাপ্পুরম শহরের নামানুসারে জেলাটি নামাঙ্কিত৷ কেরালার সর্বাধিক জনবহুল জেলা এটি যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ নিয়ে গঠিত।[13] ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই জুন তারিখে এই জেলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। জেলাটি ৩,৫৫৪ কিমি২ (১,৩৭২ মা২) বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত যা এটিকে ক্ষেত্রফলের ভিত্তিতে কেরালার তৃতীয় বৃহত্তম জেলা করে তুলেছে। কেরালার একমাত্র এই জেলারই পশ্চিম দিকে রয়েছে আরব সাগর এবং পূর্ব সীমান্তে রয়েছে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা।
মালাপ্পুরম জেলা | |
---|---|
জেলা | |
ডাকনাম: কেরালা ফুটবলের মক্কা,[1][2][3] পর্বতচূড়ার শহর[4] | |
কেরালায় মালাপ্পুরম জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১১.০৩° উত্তর ৭৬.০৫° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | কেরল |
জেলা গঠন | ১৬ জুন ১৯৬৯ |
প্রতিষ্ঠাতা | কেরল সরকার |
সদর | মালাপ্পুরম |
তালুক | তালিকা
|
সরকার | |
• জেলা সমাহর্তা | কে. গোপালকৃষ্ণণ, আইএএস[5] |
• জেলা পুলিশ অধীক্ষক | ইউ. আবদুল করিম, আইপিএস[6] |
• জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি | এ. পি. উণ্ণিকৃষ্ণণ (আইইউএমএল)[7] |
• লোকসভা সাংসদ |
|
আয়তন | |
• জেলা | ৩,৫৫৪ বর্গকিমি (১,৩৭২ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | তৃতীয় |
সর্বোচ্চ উচ্চতা (মুকুর্তি) | ২,৫৯৪ মিটার (৮,৫১০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৮) | |
• জেলা | ৪৪,৯৪,৯৯৮[8] |
• ক্রম | প্রথম |
• জনঘনত্ব | ১,২৬৫/বর্গকিমি (৩,২৮০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৪৪.১৮%[9] |
• মহানগর | ১৭,২৯,৫২২[9] |
বিশেষণ | মালাপ্পুরমীয়[10] |
জনতত্ত্ব | |
• ভাষা (২০১১) | |
• ধর্ম (২০১১) | |
মানবোন্নয়ন | |
• লিঙ্গানুপাত (২০১১) | ১০৯৮ ♀/১০০০ ♂[9] |
• সাক্ষরতার হার (২০১১) | ৯৩.৫৭%[9] |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | আইএন-কেএল |
যানবাহন নিবন্ধন |
|
ওয়েবসাইট | malappuram |
মালাপ্পুরম জেলাটিতে রয়েছে সাতটি তহশীল এগুলি হল যথাক্রমে - এরনাড় (মঞ্জেরী),কোণ্ডোট্টি, নীলম্বুর, পেরিন্তালমন্না, পোন্নানি, তিরূর এবং তিরুরঙ্গাড়ি। জেনেটির অর্থনীতি মূলত পরিযায়ীদের উপর নির্ভরশীল। [14] কেরালা রাজ্যের মধ্যে মালাপ্পুরম জেলাটির মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ সর্বনিম্ন। ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের তথ্য অনুসারে কেরালা রাজ্যের স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সর্বমোট পরিমাণে এই জেলাটি এর্নাকুলাম এবং তিরুবনন্তপুরম জেলার পরে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। [15] জেলার সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা মালায়ালাম। সংখ্যাভিত্তিক ধর্মাবলম্বী ক্রম অনুযায়ী প্রথমে আসে ইসলাম ধর্মাবলম্বী, হিন্দু এবং খ্রিস্টান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এই জেলায় সংখ্যালঘু। এটি ভারতের সর্বপ্রথম ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং সাইবার স্বাক্ষর জেলা।[16][17] রাজনৈতিকভাবে জেলাটি ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগ বা আইইউএমএল-এর গড় বলা যেতে পারে।[18]
১.৭ মিলিয়ন জনসংখ্যা বিশিষ্ট মালাপ্পুরমমহানগর অঞ্চল জনসংখ্যার ভিত্তিতে কেরালার চতুর্থ এবং সমগ্র ভারতের ২৫তম বৃহত্তম শহরাঞ্চল।[19] ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এই জেলার জনসংখ্যার ৪৪.২০% লোক শহরাঞ্চলে বাস করেন। ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই জেলার শহরবাসী জনসংখ্যার পরিমাণ বিপুল হারে বৃদ্ধি পায়, এই বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৪১০.২১%।[20] ভারতীয় দ্রুতগতিতে শহরায়ন হওয়া জেলাগুলির মধ্যে এই জেলাটি অগ্রগণ্য।[21]
ব্রিটিশ ভারতের মালাবার জেলায় অবস্থিত মালাপ্পুরম শহরটি ছিল পূর্বতন ব্রিটিশ সেনাদের সদর দপ্তর। এটি ছাড়া ওই জেলায় ব্রিটিশ বিভাগীয় সেনার সদরদপ্তর গুলির ছিল তালসেরি, কালিকট, পালঘাট, এবং কোচিন বন্দর।[22] মধ্যযুগীয় প্রাক্কালে এই জেলাটি ছিল কেরালার চারটি বিখ্যাত রাজবংশের বাসভূমি, কেরালায় আধিপত্য বিস্তার করা এই চারটি রাজবংশই যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। এই জেলার পেরুম্বড়প্পু বা পেরুম্বড়প্পু স্বরূপম ছিল কোচিন সাম্রাজ্যের রাজাদের রাজবাড়ী এবং কালিকটের জমিদার রাজার বসত বাড়ী ছিল এই জেলারই নেদিইরুপ্পুতে।
নামকরণ
মালয়ালম ভাষায় মালাপ্পুরম শব্দের আক্ষরিক অর্থ পাহাড়ের উপর অবস্থিত।[23][24] জেলায় কিছুদুর পর পর ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ছোট ছোট পাহাড় দেখা যায়, এই পাহাড় গুলির মধ্যে আরিম্ব্র পাহাড়, কোটীকুত্তি পাহাড়, পান্ডুলার পাহাড় এবং চেক্কুন্নু পাহাড় উল্লেখযোগ্য।[25] জেলাটির সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল বাদে বাকি সমগ্র এলাকাই প্রচুর ছোট ছোট পাহাড় দেখা যায়।
ইতিহাস
প্রাচীন রোমের সাথে ভারতবর্ষের সামুদ্রিক যোগাযোগ স্থাপনকারী টিণ্ডিস বন্দরটির উল্লেখ পাওয়া যায় বিভিন্ন গ্রিক গ্রন্থে, বর্তমানে পোন্নানি ও তানূর ওই স্থানের মিল পাওয়া যায়। পেরুমাল সাম্রাজ্যের পক্ষভেদের পর যথেষ্ট সংখ্যক শহর রাজ্য ওই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয় যথা, বল্লুবনাড়, বেট্টতুনাড়, পরপ্পনাড় এবং এরনাড়।[26][27] মধ্যযুগীয় কেরালায় রাজনৈতিকভাবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মহামাঘম উৎসবটি হত এই জেলার তিরুনাবায় শহরে। বল্লুবনাড় রাজ্যের রাজধানী ছিল এই জেলারই অঙ্গাড়িপুরম শহরে। এরনাড়ের পূর্বতন সদর ছিল কোণ্ডোট্টিতে, যদিও পরবর্তীকালে এরাড়ীরা সমুদ্র বন্দর প্রাপ্তির উপলক্ষ্যে কালিকট দখল করে এবং সেখানেই নিজেদের নতুন রাজধানী স্থানান্তরিত করে। পরে আবার এরনাড়ের রাজধানী মালাপ্পুরম শহরে স্থানান্তরিত হয় এবং ব্রিটিশ শাসনকালে এটি পুনরায় স্থানান্তরিত করা হয় মঞ্জেরী শহরে। খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতাব্দীতে বল্লুবনাড়ের বৃহত্তর অংশ, বেট্টতুনাড়, পরপ্পনাড় কালিকটের জামোরিনদের হস্তগত হয়।
মধ্যযুগে কেরালায় জামোরিনদের শাসনকালে এই জেলাসহ উক্ত রাজ্য আরব বণিকদের সঙ্গে যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়। এই রাজ্যের উপকূলবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর বন্দর গুলি ছিল পরপ্পনঙ্গাড়ি, পোন্নানি ও তানূর। পোন্নানির ত্রিককক্কবিল কোয়িলকম ছিল জামোরিনদের দ্বিতীয় সদর। পোন্নানি ছিল এই রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তর সেনানিবাস এবং নৌবাহিনী সদর দপ্তর।[28] কোট্টক্কাল-এর ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রাপ্ত পুরাতন নির্মাণ গুলি ঐতিহাসিক মতে ছিল জামোরিনের পূর্ব শাখার রাজপ্রাসাদগুলির অবশিষ্টাংশ। এরনাড় অঞ্চলে মালাপ্পুরম শহরে ছিল এই রাজ্যের স্থলবাহিনীর সদর দপ্তর।[29] জামোরিনের রাজপরিবারের মূল বসতভিটা ছিল মঞ্জেরী শহরের মঞ্জেরী কোয়িলকমস-এ।[30]
খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে, ঐতিহাসিক ঘটনা অনুযায়ী এই জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কালিকট নৌসেনা (স্থানীয় ভাষায় কুঞ্জলি মারক্কর নামে পরিচিত) এবং পর্তুগিজ ঔপনিবেশিকদের মধ্যে একাধিকবার যুদ্ধের প্রমাণ পাওয়া যায়। ভারতীয় উপকূল বরাবর বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে এই কুঞ্জলি মারক্কররাই প্রথমবার সফলভাবে অভিযান চালায়।[31][32] তানূর শহরটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে অবস্থিত অন্যতম পুরাতন পর্তুগিজ উপনিবেশ। কুঞ্জলি মারক্কর এবং পর্তুগিজ উপনিবেশকরদের মধ্যে নৌযুদ্ধ সময়কালীন পোন্নানি বন্দরটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে দ্বিতীয় যাইনুদ্দিন মাখদুমের রচিত The তুহফৎ উল মুজাহিদীন ছিল মধ্যযুগীয় কেরালার ইতিহাস নিয়ে কোন কেরালাবাসীর রচিত প্রথম পুস্তক। পুস্তকটি আরবি ভাষায় লিখিত ছিল এবং ১৪৯৮ থেকে ১৫৮৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কালিকট নৌসেনা দ্বারা পর্তুগীজদের আক্রমণ প্রতিহত করার একাধিক খন্ডচিত্র উল্লেখিত ছিল। শুধু তাই নয় কালিকট এর জামোরিনের মালাবার উপকূল দখলের চিন্তাভাবনাও এই পুস্তকে বর্ণিত।[33]
খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর সময়কালীন বিতর্কিত মহীশূর রাজ্যের শাসক হায়দার আলী এবং টিপু সুলতান জামোরিন অবধি অভিযান চালান। তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের সময়ে ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে ৭ থেকে ১২ই ডিসেম্বর এর মধ্যে সংগঠিত সংঘটিত তিরুরঙ্গাড়ির যুদ্ধ ছিল টিপু সুলতান ও বৃটিশ সেনার মধ্যে হওয়া একাধিক যুদ্ধের একত্রীকরণ।[34] ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতান ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের পরাজিত হলে তাদের মধ্যে শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে বর্তমান মালাপ্পুরম জেলা সহ মালাবার উপকূলের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। কনোলি সাহেবের বাংলায় এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরনো সেগুন গাছ রোপন করা হয়, স্থানটি বর্তমানে নীলম্বুর শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত। স্থানটি তৎকালীন মালাবারের জেলা সমাহর্তা স্যার হেনরি ভ্যালেন্টাইন কনোলির স্মৃতিতে নামাঙ্কিত।[35]
১৭৯২ থেকে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই জেলাটি ছিল মাপিলা গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম কেন্দ্র। মোটামুটি ভাবে এই সময়কালে ছোট-বড় মোট ৮৩০ টি দাঙ্গার ইতিহাস রয়েছে। ১৮৪১ থেকে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ৮৬ টিরও বেশি ব্রিটিশ সরকারবিরোধী দাঙ্গা হয় বলে নথিভূক্ত রয়েছে।[36] জেলাটি ব্রিটিশ ভারতের দক্ষিণ মালাবার মহকুমার এরনাড়, বল্লুবনাড় এবং পোন্নানি এই তিনটি খণ্ডে শাসিত হতো। মালাবার স্পেশাল পুলিশ-এর সদরদপ্তর ছিল মালাপ্পুরম শহরে। ব্রিটিশরা মালাপ্পুরম শহরের উচ্চতম স্থানে কড়লুন্দি নদীর তীরে একটি সেনানিবাস নির্মাণ করেন৷[37] দাঙ্গাগুলির মধ্যে সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণটি ছিলো মোপলা বিদ্রোহ৷ পূক্কোটুরের যুদ্ধ এই বিদ্রোহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷[38][39] ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে আগস্ট তারিখে ব্রিটিশ সৈন্য পুলিশ এবং কর্মকর্তারা পলায়ন করলে এরনাড়, বল্লুবনাড়, পোন্নানি এবং কালিকটের মোট ২০০ টি গ্রাম ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হয়।[40] ব্রিটিশ শাসন মুক্তির 6 মাস যেতে না যেতেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একইরকম আবার নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে সচেষ্ট হন। ১৯২১ সালে সংঘটিত ওয়াগণ ট্রাজেডি মালাবার বিদ্রোহের একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা, দুই বছর বিশে নভেম্বর তারিখে ৬৪ জন নেতা শহীদ হন।[41]
ব্রিটিশ ভারতের মালাবার জেলার পাঁচটি রাজস্ব বিভাগের একটি ছিল মালাপ্পুরম বিভাগ। এই বিভাগে ছিল মঞ্জেরী এবং পেরিন্তলমন্না দুটি আইন বিভাগীয় তালুক। মালাবারের অন্যান্য বিভাগগুলি ছিল তালসেরি, কালিকট, পালঘাট এবং কোচিন বন্দর।[22] মালাপ্পুরমের চারটি বিভাগ ছিলো যথা এরনাড়, পেরিন্তলমন্না, তিরূর এবং পোন্নানি; চারটি শহর অবং ছিলো ১৪ টি উন্নয়ন ব্লক ও ৯৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত৷ পরে তিরূর তালুক ভেঙে তিরুরঙ্গাড়ি এবং এরনাড় তালুক ত্রিখণ্ডিত করে নীলম্বুর ও কোণ্ডোট্টি নতুন তালুক গঠন করা হয়৷
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী আরবের দেশগুলিতে তৈল উত্তোলক এবং তৈল শোধনাগার এর প্রভূত উন্নতি ঘটলে এই অঞ্চল থেকে বহু লোক আরবে গমন করেন। তারা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য বিভিন্নভাবে বাহ্যিক সাহায্য করেন এবং কবে শেষ হবে বিংশ শতাব্দীতে জিলাপি প্রথম বিশ্বমানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক সাক্ষরতা সূচক অতিক্রম করে।[42]
তথ্যসূত্র
- "Malabar Premier League to be launched in the Mecca of Kerala football"। The Hindu। ৩ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৯।
- "Football hub proposed in Malappuram, the Mecca of Kerala football"। Deccan Chronicle। ১৮ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৯।
- "Kerala kids who sacrificed chocolates to buy football flooded with footballs after video goes viral"। m.dailyhunt.in। ৮ নভেম্বর ২০১৯। ২৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৯।
- Manoj। "Malappuram, the hill top town"। nativeplanet.com। Native Planet। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০।
- "Jaffer Malik,IAS steps down as Malappuram collector; N.Gopalakrishnan,IAS is the new collector"। Keralakaumudi dialy। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২০।
- "Malappuram Police"। Malappuram police। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "Malappuram Jilla Panchayath"। malappuramdistrictpanchayath.kerala.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯।
- Annual Vital Statistics Report - 2018 (পিডিএফ)। Thiruvananthapuram: Department of Economics and Statistics, Government of Kerala। ২০২০। পৃষ্ঠা 55। ২ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২০।
- "Malappuram's first book stall bids adieu"। The Hindu। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২০।
- "Population profile of Kerala"। spb.kerala.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৯।
- Radhakrishnan, S. Anil (১৪ ডিসেম্বর ২০১৯)। "Engaging Kerala's non-resident diaspora"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "Economy of Malappuram"। ecostat.kerala.gov.in। ১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২০।
- "The first E-literate district of India"। The Times of India। ১৮ আগস্ট ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।
- "The first cyber literate district of India"। The Hindu। ৬ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।
- K C Arun (২ মার্চ ২০১৯)। "Malappuram: Citadel of league politics"। New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২০।
- "The Malappuram Urban Agglomeration" (পিডিএফ)। censusindia.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২০।
- "Urbanisation in Kerala"। spbkerala। Government of Kerala। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২০।
- "Why India has the fastest-growing cities"। Livemint। ২৭ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২০।
- 1951 census handbook - Malabar district (পিডিএফ)। Chennai: Government of Madras। ১৯৫৩। পৃষ্ঠা 1।
- "Malappuram, The Hill Top Town"। nativeplanet.com। ৩০ জুন ২০১৪।
- "Cultural counterpoint"। The Financial Express। ২৪ মার্চ ২০১৩।
- Akash Singh (৭ মে ২০১৮)। "Hilly areas of Malappuram"। Native Planet। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০।
- Nair, K. K. (২০১৩)। By Sweat and Sword: Trade, Diplomacy and War in Kerala Through the Ages (ইংরেজি ভাষায়)। KK Nair। আইএসবিএন 978-81-7304-973-6।
- Ramachandran, C. M.। Problems of Higher Education in India: A Case Study (ইংরেজি ভাষায়)। Mittal Publications।
- K. V. Krishna Iyer Zamorins of Calicut: From the Earliest Times to AD 1806. Calicut: Norman Printing Bureau, 1938
- Logan, William। MALABAR MANUAL: With Commentary by VED from VICTORIA INSTITUTIONS (Volume 2 সংস্করণ)। VICTORIA INSTITUTIONS, Aaradhana, DEVERKOVIL 673508। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০।
- Narayanan, M. G. S. (১৯৯৬)। Perumals of Kerala: Political and Social Conditions of Kerala Under the Cēra Perumals of Makotai (c. 800 A.D.-1124 A.D.) (ইংরেজি ভাষায়)। Xavier Press।
- "Maritime Heritage - Join Indian Navy | Government of India"। www.joinindiannavy.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২০।
- Singh, Arun Kumar (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Give Indian Navy its due"। The Asian Age। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২০।
- AG Noorani "Archived copy"। ২১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৩।
- Naravane, M.S. (২০১৪)। Battles of the Honorable East India Company। A.P.H. Publishing Corporation। পৃষ্ঠা 176। আইএসবিএন 9788131300343।
- "Oldest teak plantation, Conolly's Plot, to reopen after maintenance"। Mathrubhumi। ১৬ মে ২০১৭। ১২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২০।
- K. Madhavan Nair, 'Malayalathile Mappila Lahala,' Mathrubhumi, 24 March 1923.
- Malappuram British History
- Tottenham GRF (ed), The Mappila Rebellion 1921-22, Govt Press Madras 1922 P 71
- Karim KK Muhammed Abdul, Variam Kunnath Kunjahammed Haji, Kalima Books, Kozhikkode 1992 (Malayalam)
- Malabar Desiyathayude Idapedalukal. Dr. M. T. Ansari. DC Books
- Panikkar, K. N., Against Lord and State: Religion and Peasant Uprisings in Malabar 1836-1921
- "Summer Journey 2011"। Time। ২১ জুলাই ২০১১। ২৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২০।