মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ইংরেজি: Football Association of Maldives; এছাড়াও সংক্ষেপে এফএএম নামে পরিচিত) হচ্ছে মালদ্বীপের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই সংস্থাটি ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠার ৪ বছর পর ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সদস্যপদ লাভ করে, এর পাশাপাশি একই বছরে সংস্থাটি তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এএফসির সদস্যপদ লাভ করে। এই সংস্থার সদর দপ্তর মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত।
এএফসি | |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৮২[1] |
সদর দপ্তর | মালে, মালদ্বীপ |
ফিফা অধিভুক্তি | ১৯৮৬[1] |
এএফসি অধিভুক্তি |
|
সভাপতি | বাসাম আদীল জলিল |
সহ-সভাপতি | |
ওয়েবসাইট | famaldives |
এই সংস্থাটি মালদ্বীপের পুরুষ, নারী এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ফুটবলে ধিভেহি প্রিমিয়ার লীগ, মালদ্বীপ এফএ কাপ এবং এফএএম নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের মতো প্রতিযোগিতার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বাসাম আদীল জলিল এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন হুসাইন জাওয়াজ।
গঠন
মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনটি সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি, সহ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মতো ব্যক্তিত্ব নিয়ে গঠিত। এই সংস্থার প্রধান কার্যালয় মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত, যেটি ফিফার গোল প্রজেক্টের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে।
ফিফা এবং এএফসি তাদের নির্বাচিত প্রশাসন গঠনের জন্য তাদের সদস্যদের প্রয়োজনীয়তার ফলে ২০০৬ সালের শেষের দিকে যুব মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলোর সাথে মিলিত করে মালদ্বীপ সরকার প্রথম একটি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসন গঠন করেছিল, যার সভাপতি ছিলেন মামুন আব্দুল গায়ুম। এফএএমকে মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রের অডিট অফিস (একই সময়ের মধ্যে, অর্থাৎ ২০০৬ সালের শেষের দিকে) দ্বারা অডিট করা হয়েছিল এবং সংস্থার তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে চেয়ারম্যান জনাব আবদুল শুকুরকে বরখাস্ত করা হয়নি এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব ইব্রাহিম ইসমাইল আলীকে মালদ্বীপের অলিম্পিক কমিটির একটি পদে স্থানান্তর করা হয়েছে।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে এফএএম-এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং আলী আজিমকে সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ফিফা এবং এএফসির আদেশে ২০১৩ সালের ২৬শে জানুয়ারি তারিখে দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ইহাম আহেম সভাপতি নির্বাচিত হন, একই সাথে মোহাম্মদ হানিম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। মোহাম্মদ হানিমের অবসসের পর ২০১৪ সালের ৪ঠা জুন তারিখে হোসাইন জায়েজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।[3] ২০১৬ সালের ২০শে নভেম্বর তারিখে বাসম থারিকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সভাপতি নির্বাচিত হন এবং হোসাইন জাওয়াজ সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন।
কর্মকর্তা
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।[1]
অবস্থান | নাম |
---|---|
সভাপতি | বাসাম আদীল জলিল |
সহ-সভাপতি | হুসেইন শাফিউ |
আলি উমর | |
সাধারণ সম্পাদক | হুসাইন জাওয়াজ |
কোষাধ্যক্ষ | |
গণমাধ্যম এবং যোগাযোগ পরিচালক | ফাইদ ইব্রাহিম |
প্রযুক্তিগত পরিচালক | |
ফুটসাল সমন্বয়কারী | ইসমাইল রিয়াজ |
জাতীয় দলের কোচ (পুরুষ) | মার্টিন কোপমান |
জাতীয় দলের কোচ (নারী) | আহমেদ নাশিদ |
রেফারি সমন্বয়কারী | মুহাম্মদ আমিজ |
তথ্যসূত্র
- "অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য"। fifa.com (ইংরেজি ভাষায়)। ফিফা। ১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- "A wonder court at your service"। The Straits Times। ১১ এপ্রিল ১৯৮৪।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- এএফসি-এ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ইংরেজি)