মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দল
মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Maldives national football team, ধিবেহী: ދިވެހިރާއްޖޭ ގައުމީ ފުޓްބޯލް ޓީމް) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মালদ্বীপের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম মালদ্বীপের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৮৬ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৭৯ সালের ২৭শে আগস্ট তারিখে, মালদ্বীপ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; রেউনিওঁয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে মালদ্বীপ সেশেলসের কাছে ৯–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
ডাকনাম | লাল স্নেপার | |||
---|---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | |||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | |||
প্রধান কোচ | মার্টিন কোপমান | |||
অধিনায়ক | আকরাম আব্দুল ঘানি | |||
সর্বাধিক ম্যাচ | ইমরান মুহাম্মদ (১০৯) | |||
শীর্ষ গোলদাতা | আলি আসফাক (৫৩) | |||
মাঠ | মালদ্বীপ জাতীয় স্টেডিয়াম | |||
ফিফা কোড | MDV | |||
ওয়েবসাইট | famaldives | |||
| ||||
ফিফা র্যাঙ্কিং | ||||
বর্তমান | ১৫৬ ১ (৩১ মার্চ ২০২২)[1] | |||
সর্বোচ্চ | ১২৪ (জুলাই–আগস্ট ২০০৬) | |||
সর্বনিম্ন | ১৮৩ (আগস্ট–সেপ্টেম্বর ১৯৯৭) | |||
এলো র্যাঙ্কিং | ||||
বর্তমান | ১৯৭ ৩ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[2] | |||
সর্বোচ্চ | ১৬৩ (মার্চ ২০১১) | |||
সর্বনিম্ন | ২০৯ (জুন ২০০১) | |||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | ||||
সেশেলস ৯–০ মালদ্বীপ (রেউনিওঁ; ২৭ আগস্ট ১৯৭৯) | ||||
বৃহত্তম জয় | ||||
মালদ্বীপ ১২–০ মঙ্গোলিয়া (মালে, মালদ্বীপ; ৩ ডিসেম্বর ২০০৩) | ||||
বৃহত্তম পরাজয় | ||||
ইরান ১৭–০ মালদ্বীপ (দামেস্ক, সিরিয়া; ২ জুন ১৯৯৭) | ||||
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ | ||||
অংশগ্রহণ | ১৫ (১৯৯৫-এ প্রথম) | |||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (২০০৮, ২০১৮) | |||
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ | ||||
অংশগ্রহণ | ২ (২০১২-এ প্রথম) | |||
সেরা সাফল্য | তৃতীয় স্থান (২০১৪) |
১২,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে লাল স্নেপার নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন মার্টিন কোপমান এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন নিউ রেডিয়েন্টের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আকরাম আব্দুল ঘানি।
মালদ্বীপ এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপেও মালদ্বীপ এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়াও, মালদ্বীপ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত ২ বার (২০০৮ এবং ২০১৮) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে মালদ্বীপ এপর্যন্ত ২ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৪ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করা, যেখানে তারা আফগানিস্তানের সাথে অতিরিক্ত সময় শেষে ১–১ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টি শুট-আউটে ৮–৭ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
ইমরান মুহাম্মদ, আলি আসফাক, আকরাম আব্দুল ঘানি, হাসান নাইজ এবং আলি ফাসিরের মতো খেলোয়াড়গণ মালদ্বীপের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
ইতিহাস
১৯৯৭ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ কাপের তৃতীয় আসরে মালদ্বীপ অংশগ্রহণ করে। এটি ছিল মালদ্বীপ দলে প্রথম কোন আঞ্চলিক ফুটবল টুনার্মেন্টে অংশগ্রহণ। মালদ্বীপ ভারত ও বাংলাদেশের সাথে গ্রুপ বি-এ ছিল এবং গ্রুপে দ্বিতীয় দল হিসেবে দুই পয়েন্ট নিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে। মালদ্বীপ গ্রুপ পর্বে তাদের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের সাথে ১–১ গোলে ড্র করে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের সাথে ২–২ গোলে ড্র করে।
মালদ্বীপ সেমি-ফাইনালে ২–১ গোলে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। কিন্তু ফাইনালে ৫–১ গোলে ভারতের কাছে পরাজিত হয়। ফাইনালে মালদ্বীপের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আব্দুল লতিফ।
জার্সির ইতিহাস
হোম
২০০৮
|
২০০৯
|
২০১০
|
২০১১-২০১২
|
২০১৩-২০১৪
|
২০১৪–
|
র্যাঙ্কিং
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৬ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে মালদ্বীপ তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১২৪তম) অর্জন করে এবং ১৯৯৭ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৮৩তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে মালদ্বীপের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৬৩তম (যা তারা ২০১১ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২০৯। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
|
|
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য
ফিফা বিশ্বকাপ
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | |||||||||||||||
১৯৫৪ | |||||||||||||||
১৯৫৮ | |||||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | |||||||||||||||
১৯৭০ | |||||||||||||||
১৯৭৪ | |||||||||||||||
১৯৭৮ | |||||||||||||||
১৯৮২ | |||||||||||||||
১৯৮৬ | |||||||||||||||
১৯৯০ | প্রত্যাহার | প্রত্যাহার | |||||||||||||
১৯৯৪ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৯৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৬ | ০ | ০ | ৬ | ০ | ৫৯ | ||||||||
২০০২ | ৬ | ১ | ১ | ৪ | ৮ | ১৯ | |||||||||
২০০৬ | ৮ | ৩ | ১ | ৪ | ১৮ | ১৪ | |||||||||
২০১০ | ২ | ১ | ০ | ১ | ২ | ৩ | |||||||||
২০১৪ | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ৫ | |||||||||
২০১৮ | ৮ | ২ | ০ | ৬ | ৮ | ২০ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২১ | ৩২ | ৭ | ২ | ২৩ | ৩৬ | ১২০ |
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ
বছর | এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ ফলাফল | বাছাইপর্বের ফলাফল | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
রাউন্ড | খে | জ | ড্র* | হা | গোপ | গোবি | খে | জ | ড্র | হা | গোপ | গোবি | |||
২০০৬ | অযোগ্য | অযোগ্য | |||||||||||||
২০০৮ | অযোগ্য | অযোগ্য | |||||||||||||
২০১০ | যোগ্যতা অর্জন করেনি | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৯ | ৫ | ||||||||
২০১২ | গ্রুপ পর্ব | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৫ | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৬ | ১ | ||
২০১৪ | তৃতীয় স্থান | ৫ | ১ | ২ | ২ | ৭ | ৭ | স্বাগতিক হিসাবে যোগ্যতা | |||||||
সর্বমোট | – | ৮ | ২ | ২ | ৪ | ৯ | ১২ | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ১৫ | ৬ |
দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশন কাপ রেকর্ড
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
বছর | রাউন্ড | খে | জ | ড্র* | হা | গোপ | গোবি |
১৯৯৫ | প্রত্যাহার | ||||||
১৯৯৭ | রানার-আপ | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৬ | ৯ |
১৯৯৯ | তৃতীয় স্থান | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৬ | ৪ |
২০০৩ | রানার-আপ | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ১১ | ৪ |
২০০৫ | সেমি-ফাইনাল | ৪ | ২ | ১ | ১ | ১১ | ২ |
২০০৮ | চ্যাম্পিয়ান | ৫ | ৪ | ০ | ১ | ৪ | ২ |
২০০৯ | রানার-আপ | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ১১ | ৩ |
২০১১ | সেমি-ফাইনাল | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৫ | ৫ |
২০১৩ | সেমি-ফাইনাল | ৪ | ২ | ১ | ১ | ১৮ | ৩ |
সর্বমোট | বিজয়ী ১ | ৩৫ | ১৮ | ১০ | ৭ | ৭৬ | ৩২ |
তথ্যসূত্র
- "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২।
- গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- এএফসি-এ মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)