মার্ভ হিউজ
মার্ভিন গ্রিগরি হিউজ (ইংরেজি: Merv Hughes; জন্ম: ২৩ নভেম্বর, ১৯৬১) ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ইউরোয়ায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ‘ফ্রুটফ্লাই’ ডাকনামে পরিচিত ডানহাতি ফাস্ট বোলার মার্ভ হিউজ ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের হয়ে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি হ্যাট্রিক করেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্ভিন গ্রিগরি হিউজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ইউরোয়া ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২৩ নভেম্বর ১৯৬১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ফ্রুটফ্লাই[1] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৩২) | ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ মার্চ ১৯৯৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১০৪) | ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ মে ১৯৯৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭/৯৮-১৯৯৮/৯৯ | অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮১/৮২-১৯৯৪/৯৫ | ভিক্টোরিয়া বুশর্যাঞ্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ আগস্ট ২০১৭ |
কার্যকরী নিম্নসারির ব্যাটসম্যান হিসেবেও সফলকাম ছিলেন তিনি। এছাড়াও, প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ান বুশরেঞ্জার্স ও অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স ও বিশ্ব সিরিজ কাপে অস্ট্রেলিয়া এ-দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন
ভিক্টোরিয়ার ইউরোয়ায় জন্মগ্রহণকারী হিউজ এপোলো বে এলাকায় অবস্থিত কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়ন করেন। কিন্তু তার পরিবার ইউরোয়ায় ফিরে আসলে ১ম বছর এখানেই পার করেন। ওয়েরিবি এলাকায় তৃতীয় গ্রেডে অধ্যয়নকালীন তিনি ক্রীড়ায় জড়িত হন। পঞ্চম গ্রেডে অধ্যয়নকালীন তিনি ফুটবল খেলায় জড়িত হতে বাবার অনুমতি লাভ করেন। বয়সভিত্তিক খেলায় তিনি সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। ফুটবলের প্রতি তার আসক্তি ছিল অসন্তুষ্টিজনক।[2]
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ফুটসক্রে দলের হয়ে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ফুটসক্রে (বর্তমানে - ফুটসক্রে-এজওয়াটার) পরবর্তীকালে তাদের প্রধান মাঠের নাম তার সম্মানে নামাঙ্কিত করে মার্ভিন জি. হিউজ ওভাল রাখে। ১৯৮১-৮২ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ক্রিকেট খেলার জন্য নির্বাচিত হন ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার অভিষেক ঘটে।
১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় অভিষেক ঘটে। ঐ খেলায় তিনি ১২৩ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট লাভ করেন। পরের বছর অ্যাশেজ সিরিজে অংশগ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত অন্য কোন টেস্টে খেলার জন্য নির্বাচিত হননি। হিউজ তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫৩ টেস্টে খেলে ২১২ উইকেট লাভ করেছেন। এছাড়াও, ৩৩টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করে ৩৮ উইকেট দখল করেন।
সর্ববৃহৎ সাফল্য হিসেবে ছিল ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হ্যাট্রিক লাভ করা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র বোলাররূপে তিনি একটি টেস্ট হ্যাট্রিক করতে তিন ওভারের ছোঁয়া লাগিয়েছেন ও সময় নিয়েছেন দুইদিন। হ্যাট্রিক পূরণের লক্ষ্যে প্রথম উইকেট পান তার ব্যক্তিগত ৩৬তম ওভারের শেষ বলে কার্টলি অ্যামব্রোসকে কট-আউটের মাধ্যমে। ব্যক্তিগত ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে প্যাট্রিক প্যাটারসন আউট করলে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। পরদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রীনিজকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে তার পরম আকাঙ্খিত হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন।[3] ঐ খেলায় তিনি ৮৭ রানে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১ উইকেট লাভ করেছিলেন। টেস্টে দু’টি অর্ধ-শতকসহ সহস্রাধিক রান করেছেন।
পরিসংখ্যান
টেস্টে ৫-উইকেট লাভ
# | পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৫/৬৭ | ৭ | শ্রীলঙ্কা | ওয়াকা গ্রাউন্ড | পার্থ | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৮৮ |
২ | ৫/১৩০ | ৮ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ওয়াকা গ্রাউন্ড | পার্থ | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৮৮ |
৩ | ৮/৮৭ | ৮ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ওয়াকা গ্রাউন্ড | পার্থ | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৮৮ |
৪ | ৫/৮৮ | ২০ | শ্রীলঙ্কা | বেলেরিভ ওভাল | হোবার্ট | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৮৯ |
৫ | ৫/১১১ | ২২ | পাকিস্তান | অ্যাডিলেড ওভাল | অ্যাডিলেড | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৯০ |
৬ | ৫/৬৪ | ৪১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | অ্যাডিলেড ওভাল | অ্যাডিলেড | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৯৩ |
৭ | ৫/৯২ | ৪৮ | ইংল্যান্ড | ট্রেন্ট ব্রিজ | নটিংহাম | ইংল্যান্ড | ১৯৯৩ |
টেস্ট ১০-উইকেট লাভ
# | পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১৩/২১৭ | ৮ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ওয়াকা গ্রাউন্ড | পার্থ | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৮৮ |
আন্তর্জাতিক পুরস্কার
ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার
ক্রমিক | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | পাকিস্তান | অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড | ১১ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ | ১০–১–৩০–৩ ; ডিএনবি | অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে বিজয়ী[4] |
তথ্যসূত্র
- "Cricinfo profile"। Content.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-০৪।
- Patrick Keane, in association with Merv Hughes, Merv: the Full Story (Australia: HarperCollinsPublishers, 1997), page 11.
- "AUSTRALIA v WEST INDIES 1988-89: Second Test Match"। Wisden। C1 control character in
|শিরোনাম=
at position 29 (সাহায্য) - "1988-1989 Benson & Hedges World Series - 2nd Match - Australia v Pakistan - Adelaide"। Howstat। ১০ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৫।
আরও দেখুন
গ্রন্থপঞ্জি
- Patrick Keane, in association with Merv Hughes, Merv: the Full Story (Australia: HarperCollinsPublishers, 1997)
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মার্ভ হিউজ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে মার্ভ হিউজ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- আইএমডিবি সংযোগ