মার্ক বার্জেস
মার্ক গর্ডন বার্জেস (ইংরেজি: Mark Burgess; জন্ম: ১৭ জুলাই, ১৯৪৪) অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮১ সময়কালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও, ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ মেয়াদে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্ক গর্ডন বার্জেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | ১৭ জুলাই ১৯৪৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | গর্ডন বার্জেস (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১২) | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১) | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৬ - ১৯৮০ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ এপ্রিল ২০১৭ |
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
---|---|---|---|
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
ইডেন | |||
জাতীয় দল | |||
১৯৬৫-১৯৬৭ | নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ | ৭ | (১) |
* শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অকল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।[1] দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন মার্ক বার্জেস।
প্রারম্ভিক জীবন
অকল্যান্ডের কাছাকাছি রেমুইরা এলাকায় শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। সেখানেই রেমুইরা ইন্টারমিডিয়েট গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত অকল্যান্ড গ্রামার স্কুলে থাকাকালে সহজাত ক্রীড়া প্রতিভা তুলে ধরেন। এরফলে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে বেশ কয়েক বছর খেলেছেন। ক্রিকেট খেলার প্রথম একদাশ দলটিতে পরবর্তীকালে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যাডলি হাওয়ার্থ এবং টেস্ট খেলোয়াড় টেরি জার্ভিস ও রস মর্গ্যানের অংশগ্রহণ ছিল।
তার বাবা গর্ডন বার্জেস ১৯৪০-৪১ থেকে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুম পর্যন্ত অকল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন।[2] এছাড়াও ১৯৬৯ সালে ইংল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তানে নিউজিল্যান্ড দলকে পরিচালনা করেন গর্ডন বার্জেস।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে বার্জেসের। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সদস্যরূপে অকল্যান্ডের বিপক্ষে তার এ অভিষেক। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে প্লাঙ্কেট শীল্ডে অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম খেলায় অংশ নেন। ঐ প্রতিযোগিতায় ৬ খেলায় অংশ নিয়ে ৩৩.৭৫ গড়ে ২৭০ রান তোলেন। এরফলে তিনি দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন ও ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে টেস্টবিহীন সফরে অস্ট্রেলিয়ায় যান। এরপর ভারতের বিপক্ষে চার টেস্টে অংশ নিয়ে তিনটি অর্ধ-শতক করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭১ তোলেন ৩৩.৮৭ গড়ে।
টেস্ট ক্রিকেট
১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ইংল্যান্ডে তিনি খুব কমই সফলতা পান। কিন্তু, ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অংশগ্রহণের পর তিনি আরও নয় টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন ও ২১.৬৫ গড়ে ৩৬৮ রানসহ এক উইকেট পেয়েছিলেন। নাগপুরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ৮৯ তোলেন যা খেলার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল। পরের ইনিংসে ১২ করেন। এছাড়াও, ৩/২৩ ও ১/১৮ পান। তিনিসহ ভিক পোলার্ড ও হ্যাডলি হাওয়ার্থের স্পিনে নিউজিল্যান্ড রক্ষা পায় ও এগারোবার প্রচেষ্টার পর ভারতে দলটি প্রথমবারের মতো টেস্ট জয় করেছিল।
পাকিস্তানে তিনি তার প্রথম টেস্ট শতক হাঁকান। ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে সিরিজ জয়ের তাদের জয় বা ড্রয়ের প্রয়োজন ছিল যা বিদেশের মাটিতে কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ বিজয় হিসেবে চিহ্নিত হয়। প্রথম ইনিংসে ৫৯ করেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১/৮ হবার পর দলটি মাত্র ৮৪ রানে এগিয়ে যায় ও সমূহ পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। কিন্তু, নবম উইকেটে বব কুনেছকে সাথে নিয়ে মূল্যবান ৯৬ রানের জুটি গড়েন। ঐ ইনিংসে তিনি ১১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। উইজডেনের মতে, বার্জেস চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন সোয়া চার ঘণ্টার ব্যবধানে।[3]
অধিনায়কত্ব
বার্জেস তার ৫০ টেস্টের ১০টিতে নিউজিল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে দল কেবলমাত্র একটি টেস্টে জয় পায়। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে ওয়েলিংটনে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ জয়টি দুই দেশের মধ্যকার ৪৮তম টেস্টে প্রথম ছিল। ১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অধিনায়কত্ব করেন। সেমি-ফাইনালে উঠলেও ইংল্যান্ডের কাছে মাত্র নয় রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়।
ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্সের মতে, তার নেতৃত্ব গুণে নিজ দলসহ প্রতিপক্ষের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তার দৃষ্টিতে জয় কিংবা পরাজয়বরণ, তবে জীবন বা মৃত্যু নয়।[4]
১৯৮০-৮১ মৌসুমে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। অধিনায়ক হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত জিওফ হাওয়ার্থের দলে ৪৯ ও অপরাজিত ১০* তোলেন। পরের খেলায় তাসমানিয়ার বিপক্ষে ১৩৪ তোলেন ও সফর শেষে ৩৬ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি।
ফুটবলে অংশগ্রহণ
১৯৬৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বর্ষসেরা ফুটবলার মনোনীত হন। জাতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পক্ষে ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ফুটবল খেলেন। ৭ খেলায় তিনি ১ গোল করেন।[5] এছাড়াও ১৯৬৭ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক খেলায় অংশ নেন। প্রায় ত্রিশ বছর পর নিউজিল্যান্ড সকার কাউন্সিলের সাথে জড়িত থাকেন।[6] ২০১৩ সালে বার্জেস ফ্রেন্ডস অব ফুটবল নামীয় স্বাধীন দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মনোনীত হন।[7]
তথ্যসূত্র
- "Auckland players". CricketArchive. Retrieved 5 April, 2017
- Gordon Burgess at Cricket Archive
- Wisden 1971, p. 864.
- C. Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, 1983, p. 378.
- "New Zealand – U-23 International Matches"। RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১০।
- "Soccer: Burgess keen to save goals"। New Zealand Herald। ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯।
- Friends of Football Committee ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে. Friends of Football. Retrieved 31 December 2014.
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মার্ক বার্জেস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে মার্ক বার্জেস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী গ্লেন টার্নার |
নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৭৭/৭৮-১৯৭৮/৭৯ |
উত্তরসূরী জিওফ হাওয়ার্থ |