মার্কো ফন বাস্তেন

মার্সেল "মার্কো" ফন বাস্তেন (জন্ম অক্টোবর ৩১ ,১৯৬৪ উত্রেকত, নেদারল্যান্ড) ওলন্দাজ দলের সাবেক এই কুশলী স্ট্রাইকার , বর্তমানে ওলন্দাজ জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করছেন । প্রতিভাবান এই স্ট্রাইকার তার ক্যারিয়ারে ২৭৬ টি গোল করেন । ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় ।১৯৮৮,'৮৯ এবং '৯২ সালে তিনি তিনবার ইউরোপিয়ান ফুটবলার অফ দ্যা ইয়ার মনোনীত হন । ১৯৯২ সালে ওয়ার্ল্ড ফুটবলার অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন । ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের জরিপে শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের তালিকায় তার অবস্থান ৮ম ।

মার্কো ফন বাস্তেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম মার্সেল ফন বাস্তেন
জন্ম ৩১ অক্টোবর, ১৯৬৪
জন্ম স্থান ঊত্রেকট, নেদারল্যান্ড
মাঠে অবস্থান ফরোয়ার্ড
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৮২-১৯৮৭
১৯৮৭-১৯৯৩
আয়াক্স
এসি মিলান
(১৩৩(১২৮)
১৪৭(৯০))
জাতীয় দল
১৯৮৩-১৯৯২ নেদারল্যান্ড জাতীয় দল (৫৮ (২৪))
* শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

খেলোয়াড়ি জীবন

আয়াক্সের পক্ষে ফন বাস্তেনের অভিষেক হয় ১৯৮২ সালে । ৫-০ গোলে জয়ী হওয়া সে ম্যাচে জোহান ক্রুয়েফের বদলী হিসেবে খেলতে নেমে তিনি গোলও করেন । ওলন্দাজ ফুটবলে তার চাইতে বেশি খ্যাতিমান কেবল এই জোহান ক্রুয়েফ ।

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে সতীর্থ উইম কিয়েফট ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন , ফলে তিনি বেশি সুযোগ পাননি ।পরের বছর আয়াক্স কিয়েফট কে সেরি এ দল পিসার কাছে বেঁচে দিলে তিনি সুযোগ পেতে শুরু করেন ।

পরবর্তী ৪ মৌসুম তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা হন (১৯৮৪,১৯৮৫,১৯৮৬,১৯৮৭) । ১১২ ম্যাচে ১১৭ গোল করেন । ১৯৮৭ সালে সিলভিও বার্লোসকোনি তাকে মিলানে নিয়ে আসেন । সে মৌসুমে মিলান শিরোপো জিতলেও ইনজুরির কারণে তিনি মাত্র ১১ টি ম্যাচ খেলতে সক্ষম হন ।পরের বছর রুদ খুলিত এবং ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড ও মিলান দলে যোগ দেন

১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে তিনি ৫ টি গোল করেন । ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেন হ্যাটট্রিক , সেমি ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ১টি এবং ফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে অসাধারণ ভলির মাধ্যমে ১টি গোল করেন ।১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে এসি মিলানের হয়ে সেরি এ তে ১৯ টি গোল করেন । পরের মৌসুমে সেরি এ তে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন । মিলান সফলভাবে বেনফিকার বিরুদ্ধে তাদের ইউরোপীয় শিরোপো রক্ষা করে ।১৯৯০ বিশ্বকাপে হল্যান্ড দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়।

১৯৯০-৯১ মৌসুমে কোচ আরিগো সাচ্চির সাথে বিরোধের কারণে বেশি খেলার সুযোগ পাননি , সাম্পাদোরিয়া সে বছর স্কুডেট্টো জেতে। সাচ্চি বরখাস্ত হলে পরের মৌসুমে তিনি ২৫ গোল করে আবার সেরি এ তে সর্বোচ্চ স্কোরার হন । অপরাজিত থেকে এসি মিলান চ্যাম্পিয়ন হয় ।

১৯৯২ এর ইউরো তে হল্যান্ড সেমি ফাইনালে ডেনমার্কের কাছে পেনাল্টিতে হেরে যায় । এ ম্যাচে পিটার স্মাইকেল তার নেয়া পেনাল্টিটি ঠেকিয়ে দেন ।

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে এসি মিলানের অপরাজিত থাকার ধারা অব্যাহত থাকে । বাস্তেন অসাধারণ ফর্মে ছিলেন । কিন্তু আনকোনার বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন । আবার ফিরে এসে এসি মিলানের হয়ে মার্সেই এর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে অংশ নেন । এসি মিলান ফাইনাল ম্যাচটি হেরে যায় । এটিই ছিল তার শেষ পেশাদার ম্যাচ । ইনজুরির কাছে নতিস্বীকার করে তিনি অবসর নেন।

পরবর্তীকালে দিমিত্রিও আলবার্তিনি এবং ডেনিস বার্গক্যাম্প এর বিদায়ী ম্যাচে তিনি কিছু সময়ের জন্য মাঠে নামেন ।

সম্মাননা

ক্লাব

আন্তর্জাতিক

  • ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ: ১৯৮৮.

ব্যক্তিগত

  • ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার: ১৯৯২.
  • ওয়ার্ল্ড সকার প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার: ১৯৮৮, ১৯৯২.
  • ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার: ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯২.
  • ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট: ১৯৮৬.
  • ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ ১৯৮৮ সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়
  • ইতালীয় চ্যাম্পিয়নশীপ সর্বোচ্চ গোলদাতা : ১৯৯০, ১৯৯২.
  • ওলন্দাজ লীগ সর্বোচ্চ গোলদাতা : ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৮৭.

ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার

১৯৯৫ সালে এসি মিলান থেকে খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেয়ার পর বাস্তেন ফুটবল কোচিংয়ে না আসার সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি তার সিদ্ধান্ত বদল করেন । ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই রয়েল ওলন্দাজ ফুটবল এসোসিয়েশন তাকে ওলন্দাজ জাতীয় দলের দায়িত্ব দেয় ।

দলের দায়িত্ব পেয়েই বাস্তেন প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট , এডগার ডাভিডস , ক্লারেন্স সিডর্ফ , রয় মেকে কে দল থেকে বাদ দেন । তার অধীনে ওলন্দাজ জাতীয় দলে আয়াক্স , পিএসভি আইন্দহোভেন , ফেইর্নুডের প্রতিপত্তি খর্ব হয় ।

২০০৬ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ড পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নেন । এ ম্যাচে রুদ ফন নিস্টেলরয় কে না খেলানোয় বাস্তেন ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন ।

জার্মান মিডিয়ার খবর অনুযায়ী ২০০৮ সালে ওলন্দাজ ফেডারেশনের সাথে চুক্তি শেষ হয়ে যাবার পর বাস্তেন বায়ার্ন মিউনিখ দলের দায়িত্ব নেবেন।

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
রুদ খুলিত
ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার
১৯৮৮-৮৯
উত্তরসূরী
লোথার ম্যাথিয়াস
পূর্বসূরী
জা পিয়েরে পাপিন
ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার
১৯৯২
উত্তরসূরী
রবের্তো বাজ্জো
পূর্বসূরী
লোথার ম্যাথিয়াস
ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার
১৯৯২
উত্তরসূরী
রবের্তো বাজ্জো
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.