মারে বেনেট

মারে জন বেনেট (ইংরেজি: Murray Bennett; জন্ম: ৬ অক্টোবর, ১৯৫৬) কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৫ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

মারে বেনেট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমারে জন বেনেট
জন্ম (1956-10-06) ৬ অক্টোবর ১৯৫৬
ব্রিসবেন, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩২৭)
২২ ডিসেম্বর ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট২৯ আগস্ট ১৯৮৫ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮১)
৬ অক্টোবর ১৯৮৪ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২৯ মার্চ ১৯৮৫ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮২১৯৮৮নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬৭ ২২
রানের সংখ্যা ৭১ ১৪৩৭ ৮০
ব্যাটিং গড় ২৩.৬৬ ৩.০০ ২৩.৯৫ ১০.০০
১০০/৫০ -/- -/- -/৪ -/-
সর্বোচ্চ রান ২৩ ৬* ৫৯* ৪৬
বল করেছে ৬৬৫ ৪০৮ ১৩৪৯৪ ১২০৬
উইকেট ১৫৭ ১৫
বোলিং গড় ৫৪.১৬ ৬৮.৭৫ ৩০.৯২ ৫৩.৮০
ইনিংসে ৫ উইকেট - - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - - - -
সেরা বোলিং ৩/৭৯ ২/২৭ ৬/৩২ ২/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/- ১/- ৪৯/ ৫/
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন মারে বেনেট

শৈশবকাল

বামহাতি অর্থোডক্স স্পিন বোলার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতেই প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। সিডনি গ্রেড ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট জর্জ দলের পক্ষে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে খেলেন। এরপর নিউ সাউথ ওয়েলসের বিদ্যালয় বালকদের সম্মিলিত দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[1] ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে রাজ্য যুব দল নিউ সাউথ ওয়েলস কোল্টসে খেলার সুযোগ পান। ঐ গ্রীষ্মে দুই খেলায় অংশ নিয়ে ১০.৪৪ গড়ে নয় উইকেট তুলে নেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় খেলায় অপরাজিত ১০২ রানের পাশাপাশি ইনিংসে ৬/৩৪ লাভ করেন ও কুইন্সল্যান্ড কোল্টসের বিপক্ষে দলকে জয় এনে দেন।[2] তাসত্ত্বেও, পরবর্তী মৌসুমে যুব দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পাননি ও ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে পর্যন্ত খেলার জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। ১২.৬৬ গড়ে ছয় উইকেট পান ও ব্যাট হাতে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। ৪.৭৫ গড়ে ১৯ রান করেছিলেন।[2] পরের মৌসুমে কোল্টসের পক্ষে আরও দুই খেলায় অংশ নেন। ২৮.৮০ গড়ে পাঁচ উইকেট ও একটি খেলায় অপরাজিত ১১৬ রান সংগ্রহ করেন।[2]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম পর্যন্ত মারে বেনেটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তবে, ২৬ বছর বয়সে শেফিল্ড শিল্ডে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটার পূর্ব-পর্যন্ত নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।[1] অভিষেক খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫২ ওভারে ২/৭৪ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ২৫টি ওভার মেইডেন ছিল। টেস্ট ক্রিকেটার ক্রেগ সার্জেন্টটনি মান তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।[2][3] এছাড়াও, ড্র হওয়া অধিক রানের খেলাটিতে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন।[2] পরের খেলায় তাসমানিয়ার বিপক্ষে ৪০.১ ওভার বোলিং করেন ৪/৫৫ পান। ২২টি ওভার মেইডেন করেন। তাসত্ত্বেও, দলের সাত উইকেটে পরাজয় থেকে এড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।[2] এরপরের খেলায় সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোন উইকেট পাননি। তবে, অপরাজিত ৫৯ রান তুলেন। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল।[2] পরবর্তী খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ৩/৪৭ লাভের পর পরের ইনিংসে ৫/৩৯ নিয়ে প্রতিপক্ষকে ১৯৭ রানে গুটিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন। খেলায় তিনি ৬৫.২ ওভার বোলিং করেন। তন্মধ্যে, ৩৯ ওভার মেইডেন ছিল।[2] ফলশ্রুতিতে, নিউ সাউথ ওয়েলসের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৩০-এ ধার্য হয়। বেনেট অপরাজিত ২১ রান তুলে দলকে চার উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন।[2] ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের খেলাতেও মারে বেনেট অভিষেক মৌসুমের খেলার ধারা অব্যাহত রাখেন। ৪/৬৫ ও ৫/১২৩ পান। প্রথম ইনিংসে জিওফ কুককে সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত করেন। ৯৯ রানে সতীর্থ স্পিনার বব হল্যান্ডের হাতে তালুবন্দী করে বিদেয় করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে জিওফ কুককে আবারও ৭৭ রানে বিদেয় করাসহ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ক্রিস টাভারেকে ১৪৭ রানে আউট করেন।[3] জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে নিচেরসারিতে নেমে ২৯ রান তুলেন। তবে, ২৬ রানের পরাজয়বরণ করেছিল তার দল।[2] তাসত্ত্বেও, বড়দের পর্যায়ের প্রথম পাঁচটি খেলায় ২১.০৮ গড়ে ২৩ উইকেট পান।[2]

মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধ্বে খুব কমই সফল হয়েছিলেন। বাদ-বাকী আট খেলায় মাত্র ১৫ উইকেট পান। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে সেরা বোলিং করেন ৪/৯ ও খেলায় ১০৬ রান খরচায় ৬ উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, ডেভ হোয়াটমোরডিন জোন্সকে উভয় ইনিংসে আউট করেছিলেন।[2][3] নিউ সাউথ ওয়েলস দল শেফিল্ড শিল্ডের চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেয়। তবে, মৌসুমের শেষদিকে কম সফলতা পেলেও তাকে দলে রাখা হয়েছিল। স্বল্প ব্যবধানের জয়ে খুব কমই ভূমিকা রাখেন। তার দল প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে ও মাত্র ২৭১ রানে গুটিয়ে যায়। বেনেট মিতব্যয়ী বোলিং করলেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৯ ওভারে ০/৫০ পান। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি মাত্র নয় রান করেন। নিউ সাউথ ওয়েলস ২৮০ রান তুলে ও প্রতিপক্ষকে ২৯৩ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়। এবারও তিনি ২২ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি। কিন্তু, দলীয় সঙ্গীরা সুন্দর বোলিং করে নিউ সাউথ ওয়েলসকে ৫৪ রানে জয় এনে দেন।[2] অভিষেক মৌসুমে ২৮.২৬ গড়ে ৩৮ উইকেট পান ও ৩২.৩৬ গড়ে ৩৫৬ রান তুলেছিলেন।[2] রাজ্য দলের পক্ষে তিনটি একদিনের খেলায় অংশ নিয়ে ওভারপ্রতি ৩.০৩ গড়ে রান দেন ও ৩০.০৩ গড়ে তিন উইকেট পেয়েছিলেন।[2]

জিম্বাবুয়ে গমন

মারে বেনেটকে একমাসব্যাপী জিম্বাবুয়ে সফরে অস্ট্রেলীয় যুব দলের সদস্য নির্বাচিত করা হয়। দলটি সেখানে দুইটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও দুইটি একদিনের খেলায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের মুখোমুখি হয়। প্রথম-শ্রেণীর খেলার প্রথমটিতে বেনেট ২৪ ও ২/৪৯ নিয়ে সফরকারীদের ইনিংস বিজয়ে কিঞ্চিৎ ভূমিকা রাখেন। এরপর দ্বিতীয় খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল ১২৬ ও ২১৬ রান তুলে। ২১ ও ৩৫ রান তুলেন তিনি। স্বাগতিক দল জয় পেয়ে সিরিজে সমতা আনতে সমর্থ হয়। বব হল্যান্ড ৩/৬৪ পেয়েছিলেন।[2] একদিনের খেলায় বেনেটকে কোন কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। ২০ ওভারে তিনি ১০৮ রান খরচায় ১ উইকেট পেয়েছিলেন।[2]

নিখুঁত ভাব বজায় রেখে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন ও আর্ম বলে বেশ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ১৯৮০-এর দশকে কার্যকরী বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় দলের আধিপত্য বিস্তারে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এ পর্যায়ে স্পিন নির্ভর বোলিং আক্রমণে বব হল্যান্ডের লেগ স্পিনগ্রেগ ম্যাথিউসের অফ স্পিনের সাথে মারে বেনেট নেতৃত্ব দিয়েছেন। দশটি রাউন্ড-রবিন খেলায় নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে সবগুলোতে অংশ নেন। পাশাপাশি, সফররত ইংরেজ ও শ্রীলঙ্কান একাদশের বিপক্ষেও প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[1][2]

পরবর্তী মৌসুমে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও দূর্বল ক্রীড়াশৈলী অব্যাহত রাখেন। মৌসুমের প্রথম খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হন। প্রতিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানদের পাল্টা আক্রমণে নির্ধারিত দশ ওভারে ৬৩ রান খরচ করে ফেলেন। দলের মোট রানের এক-তৃতীয়াংশ তার বল থেকে আসে। ফলশ্রুতিতে, খেসারত গুণতে হয় তাকে। মৌসুমের বাদ-বাকী সময় তাকে একদিনের দলের রাখা হয়।[2] তবে, প্রথম-শ্রেণীর দলে নিজ অবস্থান বজায় রাখেন ও নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে নয় খেলায় অংশ নেন। শেফিল্ডের তৃতীয় খেলায় নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মূল্যবান ৪৬ রান তুলেন ও দলকে ২৪৫ রানে নিয়ে যেতে সমর্থ হন। এরপর ৫/১৫ নিয়ে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান দলকে ১০১ রানে গুটিয়ে দিতে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেন। খেলায় তার দল ১০৯ রানে বিজয়ী হয়েছিল।[2] ফিরতি খেলায় বেনেট ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন ও ড্র হওয়া উচ্চ রানের খেলায় ৩/৪৫ পান।[2] এছাড়াও, তাসমানিয়ার বিপক্ষে ৫৪ ও ৩/৬২ পান।[2] তবে, অন্য খেলাগুলোয় কোন ইনিংসেই দুইয়ের অধিক উইকেট পাননি। ৩৬.৫৫ গড়ে ২০ উইকেট ও ২৫.২৫ গড়ে ২০২ রান তুলেন।[2] নিউ সাউথ ওয়েলস দল তাদের শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ও চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিতে পারেনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও আটটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন মারে বেনেট। ২২ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ আগস্ট, ১৯৮৫ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৮৪ সালের শীতকালে মারে বেনেট অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। সেখানকার ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে র‍্যামসবটম ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে পেশাদার বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন।[2] শুরুতে তিনি ধীরলয়ে শুরু করেন। বল হাতে নিয়ে প্রথম পাঁচ ইনিংসে মাত্র ১২ উইকেট শিকার করেন তিনি। জুনের শেষদিকে নিজেকে উপস্থাপনায় সচেষ্ট হন। সাত ইনিংসে ৩৫ উইকেট পান। প্রত্যেক ইনিংসেই কমপক্ষে চারটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[2] এ পর্যায়ে পাঁচটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। হ্যাসলিংডেনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ৮৫ রান করেন। লোয়ারহাউজের বিপক্ষে ৭/২৭ পান।[2] ১০.১৪ গড়ে ৮৩ উইকেট ও ৪২.১১ গড়ে ৭১৬ রান তুলেন তিনি।[2]

একদিনের খেলায় দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার একদিনের দলের সদস্যরূপে ভারত গমনার্থে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইন্দোরে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।[2][4] নির্ধারিত দশ ওভারে ০/৩৭ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে স্বাগতিক দলের সংগ্রহ ২৩৫/৫ রাখতে ভূমিকা রাখেন। তবে, সফরকারী দল ছয় উইকেটে জয় পেলে তাকে ব্যাটিং করার প্রয়োজন হয়নি। [2] অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যাবর্তনের পূর্বে বোম্বে দলের বিপক্ষে খেলেন। দশ ওভারে ১/৩৩ লাভ করেন।[2]

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে এনএসডব্লিউ দলের পক্ষে খেলার জন্যে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এ পর্যায়ে তিনি সিডনিতে কোন খেলায় অংশ নিতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, তৎকালীন বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য বিস্তারকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলার জন্যে মনোনীত হন।[1] এ খেলায় অংশগ্রহণের পূর্বে অনেকগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র দুই উইকেট লাভ করেছিলেন।[2] প্রথম ইনিংসে দলের ২৮৭ রানের মধ্যে তার অংশগ্রহণ ছিল অপরাজিত ১৬ রান। এরপর ২/৫৩ নিয়ে সফরকারীদেরকে ২১২ রানে গুটিয়ে দিতে সহায়তা করেন। ফলশ্রুতিতে, তার দল ৭৫ রানে এগিয়ে যায়।[2] গাস লোগিসহ ঐ সময়ের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডসের মূল্যবান উইকেট পান।[3] দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি মাত্র ছয় রান সংগ্রহ করেন ও দল ১২৯ রানে গুটিয়ে যায়। সফরকারী ক্যারিবীয় দলের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মাত্র ২০৫ রান।[2] দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৩২ পান। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেরা বোলিং পরিসংখ্যানরূপে বিবেচিত হয়। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেসমন্ড হেইন্স, রিচার্ডস ও অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডকে আউট করেন। ফলশ্রুতিতে, এনএসডব্লিউ ৭২ রানে জয় পায়।[2][3] পরের খেলায় সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মারে বেনেট রান খড়ায় ভুগেন ও উইকেটবিহীন অবস্থায় মাঠ ছাড়েন।[2] এরফলে, রাজ্য দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।

টেস্টে অংশগ্রহণ

একই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে জয় পেয়ে একাধিপত্য বজায় রাখে। পাশাপাশি সিরিজ জয় করে। সামগ্রিকভাবে তার খেলার ধরন আশাপ্রদ না হলেও দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে খেলায় সুযোগ দেয়। এর কারণ হিসেবে প্রস্তুতিমূলক খেলায় ক্যারিবীয়দের দূর্বলতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়।

মেলবোর্নে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় মারে বেনেটের। এ সময়টুকু বড়দিনের ছুটির আমেজ বিরাজ করছিল। কোন উইকেট নিতে পারেননি। ওভার প্রতি প্রায় চার রান দিয়ে বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ০/৯০। এ সময়ে তিনি কোন মেইডেন ওভারের সন্ধান পাননি। তবে, প্রথম ইনিংসে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন ও কোনক্রমে শেষ ওভার ব্যাট দিয়ে বল ঠেকিয়ে দলের পরাজয় রোধ করতে সক্ষম হন। এ পর্যায়ে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ও দলের দুই উইকেট হাতে ছিল।[2] এরফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাধারে ১১ জয়ের পর জয়রথ রুদ্ধ করেন। ঐ সময়ে এটিই একাধারে টেস্ট জয়ের রেকর্ড ছিল।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্পিন বান্ধব পঞ্চম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। টেস্ট অভিষেকে উইকেট শূন্য অবস্থায় ছিলেন। এ পর্যায়ে প্রথমবারের মতো দলীয় এনএসডব্লিউ’র স্পিনার বব হল্যান্ডের সাথে জুটি গড়েন।[5] নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রস্তুতিমূলক খেলার ন্যায় একই ফলাফল আসে। তবে, হল্যান্ড খেলায় ৯৪ রান খরচায় ১০ উইকেট পান। বেনেট ২৩ রান এবং ২/৪৫ ও ৩/৭৯ লাভ করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে উইকেট-রক্ষক জেফ ডুজনকে আউট করে নিজস্ব প্রথম উইকেট লাভ করেন। এরপর শেষদিকে মাইকেল হোল্ডিংকে শূন্য রানে বিদেয় করে সফরকারীদেরকে ইনিংস শেষ করেন।[2] দ্বিতীয় ইনিংসে রিচি রিচার্ডসনকে আউট করার পর রিচার্ডসকে আর্ম বলে ৫৮ রানে বোল্ড করেন। ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাধারে ২৭ টেস্টে অপরাজিত থাকার রেকর্ড থামিয়ে দেয়।

টেস্টে সফলতা লাভের পর বেনেটকে একদিনের আন্তর্জাতিক দলে রাখা হয়। এ পর্যায়ে দুইটি ঘরোয়া একদিনের খেলায় ১৯ ওভার বোলিং করে ৫৩ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছিলেন।[2] ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে বিশ্ব সিরিজ কাপে নিজস্ব প্রথম পাঁচটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[2][6] মেলবোর্নে প্রথম খেলায় নির্ধারিত দশ ওভারে ১/২৩ বোলিং করে মিতব্যয়ীতার পরিচয় দেন। গর্ডন গ্রীনিজকে আউট করে প্রথম ওডিআই উইকেট লাভ করেছিলেন।[2][3] বেনেটের এ প্রচেষ্টাকে বানচাল করে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ২৪১ রানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। এ পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সাত উইকেট হাতে রাখে ও পাঁচ ওভার না খেলে সতীর্থ বোলারদের কাছ থেকে দ্রুত রান সংগ্রহ করে সফলতা পায়।[2][6]

এরপর নিজ শহর এসসিজিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। দশ ওভারে ১/৪৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ব্রেন্ডন কুরুপ্পুকে আউট করেন তিনি। এ খেলায় অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানেরা ছয় উইকেটের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে পরাভূত করে।[2] ব্রিসবেনে পরের খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানেরা বেনেটের বল স্বাচ্ছন্দ্যে মোকাবেলা করে। ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। তিন রান করেন ও অস্ট্রেলিয়া দল ১৯১ রানে গুটিয়ে যায়। এরপর তিনি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। তিন ওভারে ২১ রান দেন। পাঁচ উইকেট ও ১২ ওভার হাতে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা বিজয়ী হয়।[2][6] সিডনিতেও পরের খেলায় এ ধারা বজায় থাকে। নিজ মাঠে বেনেট কোন সফলতা পাননি। ছয় ওভারে ৪০ রান দেন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে পাঁচ উইকেটের জয় পায়। শ্রীলঙ্কাকে তার দল পরাজিত করলেও নয় ওভারে ০/৪৮ পান। ফলে, ঐ গ্রীষ্মের বাদ-বাকী ১১টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হন। ৮৮.০০ গড়ে দুই উইকেট ও ওভারপ্রতি ৪.৬৩ রান দিয়ে তার ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ শেষ হয়ে যায়।[2]

এরপর রাজ্য দলে ফিরে আসেন ও তিন মৌসুমের মধ্যে দ্বিতীয়বার নিউ সাউথ ওয়েলস দলকে তাদের শিরোপা বিজয়ে সহায়তা করেন।[2][7] কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২২ ও ৩/৩৯ নিয়ে দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। এরপর ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে খেলার জয়ে অবদান রাখেন। দলের ৩১০ রানের মধ্যে তার সংগ্রহ ছিল ১৯। এরপর ৩/৪৭ নিয়ে প্রথম ইনিংসে দলকে ৬৭ রানে এগিয়ে নিয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ভিক্টোরিয়া দল অগ্রসর হলে তিনি ৬/৫৭ পান ও ২৫ রানের ব্যবধানে দলকে জয়যুক্ত করেন।[2]

চূড়ান্ত খেলায় ২/৫৪ পান। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার ও ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যান গ্লেন ট্রিম্বলকে আউট করেন। এরপর প্রথম ইনিংসে ১০ রান করলে কুইন্সল্যান্ড ৫৬ রানে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ট্রিম্বল ও টেস্ট ব্যাটসম্যান গ্রেগ রিচিকে আউট করেন ৪/৩২ পান। ২২০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ১৬৩ রানে উইকেট পতনের পর তিনি মাঠে নামেন। এক রান তুলে বিদেয় নেন তিনি। তবে, শেষ জুটিতে প্রয়োজনীয় রান তুললে জয় পায় তার দল।[2][3]

সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলার জন্যে মারে বেনেটকে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। শারজায় অনুষ্ঠিত চতুর্দেশীয় কাপে নিজস্ব শেষ দুইটি ওডিআইয়ে অংশ নেন।[2][6] প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে নামে। প্রতিপক্ষকে ১৭৭/৮ রানে আটকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। নির্ধারিত দশ ওভারে ২/২৭ পান। নিম্নমূখী রানের ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া দলও গভীর সঙ্কটে নিপতিত হয়। শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নামলেও শূন্য রানে রান আউটের শিকার হন। তবে, বর্ডারের নেতৃত্বাধীন দলটি শেষ বলে জয়সূচক রান তুলে দুই উইকেটে জয় পায় ও চূড়ান্ত খেলায় ভারতের মুখোমুখি হয়।[2][6] ১৩৯ রানে গুটিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের ইনিংসে মারে বেনেট শূন্য রানে প্যাভিলিয়নমূখী হন। এছাড়াও, দশ ওভারে ০/৩৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ভারত দল দশ ওভারেরও বেশি বল হাতে রেখে তিন উইকেটে জয় তুলে নেয়।[2][6]

জাতীয় দলে প্রত্যাখ্যান

১৯৮৫ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে মারে বেনেটকে অস্ট্রেলিয়া দলে রাখা হয়। টেস্ট সিরিজকে ঘিরে চারটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিলেও মাত্র তিন উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে, অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে তাকে বাদ দিয়ে দল গঠন করা হয়।[2] জুন মাসে বেনেটকে দল থেকে ছাড় দেয়া হয়। ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে চার্চ দলের পক্ষে খেলেন। টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তির পূর্বে দুই ইনিংসের খেলাগুলোয় ১১ উইকেট পান।[2] তবে, পরবর্তী ছয়টি কাউন্টি খেলায় মাত্র ১২ উইকেট পেয়েছিলেন। কিন্তু, ঐ খেলাগুলোর শেষেরটিতে ১/৯৯ ও ৪/৩৯ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া একাদশকে কেন্টের বিপক্ষে সাত উইকেটের জয়ে বেশ সহায়তা করেছিলেন।[2]

ওভালে খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বশেষ টেস্টে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন।[2] ছয় টেস্টের ঐ সিরিজে ঐ পর্যায়ে সফরকারীরা ১-২ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়েছিল। জয় পেলে তারা অ্যাশেজ অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হবে এ স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামে। বেনেট খেলায় খুব কমই প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলেন। ১/১১১ এবং ১২ ও ১১ রান তুললে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। পাশাপাশি ৩-১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যায়।[2] মাইক গ্যাটিংয়ের উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এ সফরে ৪৭.৮৭ গড়ে মাত্র ১৬ উইকেট পান ও ১১ খেলায় ১৫.৮৫ গড়ে ১১১ রান তুলেছিলেন।[2][3]

শুরুতে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমের বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছিলেন। ঐ সময় দক্ষিণ আফ্রিকা দল বর্ণবৈষম্যবাদ নীতি অবলম্বনের কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিষিদ্ধঘোষিত ছিল। এরফলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থেকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। কিন্তু, শুরুরদিকেই আর্থক সুবিধা বাদেই প্রত্যাহার করে নেন নিজেকে।[8]

১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক উপেক্ষার শিকারে পরিণত হন। ঐ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ১১টি শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[2] মৌসুমের চতুর্থ খেলায় সফররত নিউজিল্যান্ডীয় একাদশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪/৫৬ পান। জন রাইট, জন রিড, ব্রুস এডগারজেরেমি কোনি তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।[2][3] এরপর তিনি শিল্ডের খেলাগুলোয় উপর্যুপরী বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। অপরাজিত ৫৫ রান তুলে নিউ সাউথ ওয়েলসকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন ও ২৮৬ রান তুলে তার দল। এরপর ৪/৪৭ নিয়ে রাজ্য দলকে প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানে এগিয়ে নিয়ে যান। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐ খেলায় তার দল ১৫১ রানে বিজয়ী হয়।[2] সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪/৩৮ ও ৩/৩২ নিয়ে ইনিংস বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। ঐ দুই খেলায় বেনেট প্রতিপক্ষীয়দের কাছে বেশ সমীহের পাত্রে পরিণত হন। বোলিংকৃত ওভারগুলোর ৪৪% মেইডেন ছিল ও ওভারপ্রতি মাত্র ১.৩৯ গড়ে রান দিয়েছিলেন।[2] এরপর, ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৪/৭১ লাভের পর তাসমানিয়ার বিপক্ষে ইনিংস বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। অপরাজিত ৫৭ রানের পাশাপাশি ৩/৫৩ ও ২/২৩ পান।[2] ঐ মৌসুম শেষে মারে বেনেট ২৭.৪০ গড়ে ৩২ উইকেট পান ও ৩৩.৩৩ গড়ে ৩০০ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[2]

১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে মারে বেনেটের বোলিং তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ছয়টি শিল্ডের খেলায় ৪৯.৩৩ গড়ে মাত্র ৯ উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেরা করেন ৩/৭৯। তবে, নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১.৬৬ গড়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। মৌসুমের শেষদিকে দল থেকে বাদ পড়েন ও শিল্ডের চূড়ান্ত খেলায় নিউ সাউথ ওয়েলসের বিজয়ে অংশ নিতে পারেননি।[2] তাসত্ত্বেও, তাকে কেবলমাত্র একটি সীমিত ওভারের খেলায় রাখা হয়েছিল। পাঁচ ওভারে ৩৪ রান দিলেও কোন উইকেট পাননি।[2]

১৯৮৭-৮৮ মৌসুম পর্যন্ত এনএসডব্লিউ’র পক্ষে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।[2] শেষ মৌসুমটি মোটেই সুবিধের হয়নি। মাত্র পাঁচটি শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ হয় তার। ৪৩.৫০ গড়ে মাত্র চার উইকেট ও ৫.৫০ গড়ে মাত্র ৩৩ রান তুলেন। জানুয়ারিতে শেষবারের মতো দল থেকে বাদ পড়েন। এছাড়াও, কোন একদিনের খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি।[2]

অবসর

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২৩.৯৫ গড়ে ১৪৩৭ রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, চারটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল। ৩০.৯২ গড়ে ১৫৭ উইকেট পান। এরপর ১৯৯১-৯২ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত এনএসডব্লিউ’র সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও, ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত এনএসডব্লিউ’র দল নির্বাচক ছিলেন।[9]

সেন্ট জর্জ ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। এক পর্যায়ে ক্লাবের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।[10] ক্লাবের প্রতিভাবান খেলোয়াড় অন্বেষণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা তার নামে মারে বেনেট পথওয়ে নামকরণ করা হয়। ২০০৭ সালে বীমাকর্মী হিসেবে কাজ করেন।[11]

তথ্যসূত্র

  1. Cashman; Franks; Maxwell; Sainsbury; Stoddart; Weaver; Webster (১৯৯৭)। The A-Z of Australian cricketers। Melbourne: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 7273। আইএসবিএন 0-19-550604-9।
  2. "Player Oracle MJ Bennett"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-১৬
  3. "Player Oracle MJ Bennett"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪
  4. "Statsguru - Australia - Tests - Results list"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-২১
  5. Christison, Darren (১৯৯৪)। Allan Border:The ManFive Mile Press। পৃষ্ঠা 4748। আইএসবিএন 0-86788-874-1।
  6. "Statsguru - Australia - One Day Internationals - Results list"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-২১
  7. Williamson, Martin। "A history of the Sheffield Shield"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-৩০
  8. "How the rebels let the side down"The Sydney Morning Herald। ২০০৫-১২-১০।
  9. Australia / Players / Murray Bennett
  10. "New South Wales Districts Cricket Association Centenary"। ৭ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২০
  11. "A RETIREMENT POLICY (on page 3 of PDF)" (পিডিএফ)Sydney Morning Herald। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৭। পৃষ্ঠা 8। ১৯ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.