মারিয়া রেসা
মারিয়া অ্যাঞ্জেলিতা রেসা (তাগালগ উচ্চারণ: [ˈɾesa], জন্ম ২ অক্টোবর, ১৯৬৩) একজন ফিলিপিনো সাংবাদিক এবং লেখক, র্যাপলারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রথম স্বাধীন ফিলিপিনো নোবেল বিজয়ী।[2] তিনি এর আগে প্রায় দুই দশক কাটিয়েছেন সিএনএন -এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে। রেসা দিমিত্রি মুরাতভের সাথে যৌথভাবে ২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন;[3] তিনি প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী জোনাস গহর স্টের কর্তৃক মনোনীত হন।[4]
মারিয়া রেসা | |
---|---|
জন্ম | |
নাগরিকত্ব | ফিলিপাইন[1] |
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় (BA) University of the Philippines Diliman |
পেশা | সাংবাদিক, লেখক |
পরিচিতির কারণ | র্যাপলার এর সহ-প্রতিষ্ঠা |
পুরস্কার | ২০২১ নোবেল শান্তি পুরস্কার |
ওয়েবসাইট | Rappler mariaressa |
২০২০ সালে তাকে ফিলিপাইনের বিতর্কিত সাইবার অপরাধ বিরোধী আইন,[5][6] সাইবার-লাইবেলে (ইন্টারনেটে ইমেইল বা অন্য কোনও মাধ্যমে কারো জন্য ক্ষতিকর তথ্য দেয়া) দোষী সাব্যস্ত করা হয়[7][8]। এই পদক্ষেপকে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সাংবাদিকরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের উপর একটি আঘাত হিসেবে বিবেচনা করে নিন্দা প্রকাশ করে।[9][10][11]
রেসাকে সারা বিশ্বের ভুয়া সংবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন সাংবাদিকদের একজন হিসেবে টাইমস পার্সন অফ দ্য ইয়ার ২০১৮-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে, ব্যবসায়ী উইলফ্রেডো কেং সম্পর্কিত একটি মিথ্যা সংবাদ র্যাপলারে প্রকাশ করার অভিযোগে তাকে সাইবারলাইবেলের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। ১৫ জুন, ২০২০ তারিখে ম্যানিলার একটি আদালত তাকে সাইবার লাইবেলের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। যেহেতু তিনি ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি রডরিগো দুতের্তের একজন স্পষ্টবাদী সমালোচক, তাই বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই তাকে গ্রেপ্তার এবং দোষী সাব্যস্ত করাকে দুতের্তের সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ হিসেবে দেখেছেন।[12][13][14] রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস কর্তৃক চালু করা তথ্য ও গণতন্ত্র কমিশনের ২৫ জন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বের মধ্যে রেসা অন্যতম।[15]
তথ্যসূত্র
- Macaraig, Ayee (ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯)। "From wars to Duterte: Maria Ressa 'refuses to hide'"। ফিলস্টার গ্লোবাল। Agence France-Presse। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯।
- Arsenault, Adrienne (এপ্রিল ২৭, ২০১৭)। "'Democracy as we know it is dead': Filipino journalists fight fake news"। CBC News।
- https://archive.is/20211008090154/https://www.nobelprize.org/prizes/peace/2021/summary/
- "Hektisk nomineringsaktivitet før fredsprisfrist"। Dagsavisen। ৩১ জানুয়ারি ২০২১।
- "Philippines: Maria Ressa's cyber libel verdict 'a method of silencing dissent'"। Deutsche Welle (www.dw.com) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-১৫। ২০২০-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।
- "Philippine cybercrime law takes effect amid protests"। BBC News। অক্টোবর ৩, ২০১২।
- Regencia, Ted (২০২০-০৬-১৫)। "Maria Ressa found guilty in blow to Philippines' press freedom"। aljazeera.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।
- Ratcliffe, Rebecca (জুন ১৫, ২০২০)। "Maria Ressa: Rappler editor found guilty of cyber libel charges in Philippines"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০২০।
- "Philippines: CFWIJ condemns cyber libel conviction of Maria Ressa"। The Coalition For Women In Journalism (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-১৫। ২০২০-০৬-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- "US Senators Durbin, Markey, Leahy slam Ressa libel verdict"। Philippine Daily Inquirer (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- Cabato, Regine (জুন ১৫, ২০২০)। "Conviction of Maria Ressa, hard-hitting Philippine American journalist, sparks condemnation"। The Washington Post।
- Gonzales, Cathrine (২০২০-০৬-১৫)। "Robredo: Ressa's cyber libel conviction a threat to Filipinos' freedom"। Philippine Daily Inquirer (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- Dancel, Raul (২০২০-০৬-১৫)। "Court finds prominent Philippine journalist and Duterte critic Maria Ressa guilty of cyber-libel"। The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- "Maria A. Ressa | Reporters without borders"। RSF। সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০২০।