মাদুরবায়ল
মাদুরবায়ল দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার পশ্চিম দিকে অবস্থিত একটি আবাসিক অঞ্চল। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা ছিল ৮৬,১৯৫ জন।
মাদুরবায়ল மதுரவாயல் | |
---|---|
চেন্নাইয়ের অঞ্চল | |
ডাকনাম: চেন্নাইয়ের পশ্চিম দ্বার | |
![]() ![]() মাদুরবায়ল ![]() ![]() মাদুরবায়ল | |
স্থানাঙ্ক: ১৩.০৬৭৫° উত্তর ৮০.১৬৩২° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ![]() |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | চেন্নাই |
তালুক | মাদুরবায়ল |
মহানগর | চেন্নাই |
সরকার | |
• শাসক | চেন্নাই নগর নিগম |
উচ্চতা | ১৬ মিটার (৫২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৮৬,১৯৫ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০০০৯৫ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-12 (টিএন-১২) |
নগর পরিকল্পনা | সিএমডিএ |
সিভিক এজেন্সি | চেন্নাই নগরনিগম |
ওয়েবসাইট | www |
ব্রিটিশ শাসনকালে এটি "এট্টম কল" নামে পরিচিত ছিল কারণ চেন্নাই বন্দর থেকে পশ্চিম দিকে এর দূরত্ব ছিল একেবারে ১২.৮৭ কিলোমিটার (৮.০০ মা)। চেন্নাই শহরের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র কোয়মবেড়ু থেকে এটি তিন কিলোমিটার পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকার চেন্নাই শহর বিবর্ধন এর একটি অর্ডার পাস করায় যার ভিত্তিতে মাদুরবায়লকে চেন্নাই নগরনিগমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[1][2] নিকটবর্তী লোকালয়গুলি হল নেরকুন্দ্রম, মুগপের, বানগরম, বলসরবক্কম, আলবক্কম ও পোরূর।
চেন্নাই বাইপাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ মাদুরবায়ল উত্তর দিকে উত্তর শহরতলীতে বিস্তৃত হয়। লোকালয়ে ক্লোভারলীফ ইন্টারচেঞ্জ উড়ালপুল মাদুরবায়ল জংশন কার্যকরী হওয়ার পর থেকে এখানকার জনবিন্যাস ও অর্থনৈতিক বিপুল পরিবর্তন দেখা যায়, জমির মূল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়।[3][4]
২০০৯ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ভারতীয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্পের অন্তর্গত ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ চেন্নাই বন্দর – মাদুরবায়ল এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাস করেন।[5]
জনতত্ত্ব
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে মাদুরবায়ল লোকালয়ের জনসংখ্যা ছিল ৮৬,১৯৫ জন, যেখানে প্রতি হাজার পুরুষে ৯৯৩ জন নারী বাস করতেন।[7] মোট শিশু সংখ্যা ১০,৩৯২ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ৫,২৭৭ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ৫,১১৫ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি শতাংশ যথাক্রমে ১৩.৫৮ ও ০.৩৬। শহরটির সাক্ষরতার হার ছিল ৮৭.৬১ শতাংশ যা জাতীয় সাক্ষরতার হারের তুলনায় বেশি।[7] শহরে মোট পরিবার সংখ্যা ২১,৬২৩ টি। মোট শ্রমজীবীর সংখ্যা ৩৩,২০৮ জন, যার মধ্যে কৃষক ২৩৪ জন, মূল কৃষিজীবী ১৩০ জন গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ৪১৭ জন, অন্যান্য শ্রমজীবী ২৯,৬১৩ জন। মোট প্রান্তিক শ্রমজীবী সংখ্যা ২,৮১৩ জন, যার মধ্যে প্রান্তিক কৃষক ৩২ জন, প্রান্তিক কৃষিজীবী ২৫ জন, প্রান্তিক গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ৭৮ জন, অন্যান্য প্রান্তিক শ্রমজীবী ২,৬৭৮ জন।[8]
তথ্যসূত্র
- "Chennai City Expansion Order" (পিডিএফ)। chennaicorporation.gov.in। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯। ১৯ মে ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮।
- "More areas to come under Chennai Corporation"। The Hindu। Chennai, India। ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯। ২ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১২।
- "Maduravoyal flyover a hit before it's opened"। Times of India। ৭ জুন ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১২।
- Madhavan, T. (২২ আগস্ট ২০১০)। "Maduravoyal flyover, a relief for motorists"। The Hindu। Chennai, India। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১২।
- "PM lays foundation"। ৮ জানুয়ারি ২০০৯। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১২।
- "Population By Religious Community - Tamil Nadu" (XLS)। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- "Census Info 2011 Final population totals"। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪।
- "Census Info 2011 Final population totals - Maduravoyal"। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪।