মাঝগ্রাম-পাবনা-ঢালারচর লাইন

মাঝগ্রাম–পাবনা–ঢালারচর রেলপথ বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালিত হয়। এই রেলপথটি পাবনা জেলায় অবস্থিত।[1]

মাঝগ্রাম–পাবনা–ঢালারচর রেলপথ
টেবুনিয়াতে মাঝগ্রাম–পাবনা–ঢালারচর রেলপথ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিসক্রিয়
মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
অঞ্চল বাংলাদেশ
বিরতিস্থল
স্টেশন১১
পরিষেবা
ধরনবাংলাদেশের ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি গেজ রেলপথ
পরিচালকপশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে
ইতিহাস
চালু
  • ১৪ জুলাই ২০১৮ (মাঝগ্রাম–পাবনা রেলপথ)
  • ২৬ জানুয়ারি ২০২০ (পাবনা–ঢালারচর রেলপথ)
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য৭৮ কিলোমিটার
ট্র্যাক গেজব্রড-গেজ ১,৬৭৬ মিলিমিটার ( ফুট  ইঞ্চি)
চালন গতি১০০ কিমি/ঘণ্টা
ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ লাইন

হতে বাহাদুরাবাদ ঘাট-নারায়নগঞ্জ লাইন
তারাকান্দী
জগন্নাথগঞ্জ আপার
হতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
ভূঞাপুর
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব
জগন্নাথগঞ্জ ঘাট
যমুনা নদীর উপর ফেরি
(বর্তমানে গমনপথের অংশ নয়)
যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম
শহীদ মনসুর আলী
সিরাজগঞ্জ ঘাট
সিরাজগঞ্জ বাজার
সিরাজগঞ্জ রায়পুর
কালিয়া হরিপুর
জামতৈল
সলপ
উল্লাপাড়া
মহিষাখোলা
লাহিড়ী মোহনপুর
দিলপাশার
শরৎনগর
বড়ালব্রীজ
ভাঙ্গুড়া
গুয়াখড়া
চাটমোহর
গফুরাবাদ
মুলাডুলি
ঢালারচর
বাঁধেরহাট
কাশিনাথপুর
সাঁথিয়া রাজাপুর
তাঁতীবন্ধ
দুবলিয়া
রাঘবপুর
পাবনা
টেবুনিয়া
দাশুড়িয়া
মাঝগ্রাম জংশন
চিলাহাটি-
দর্শনা লাইন
চিলাহাটি-
দর্শনা লাইন
ঈশ্বরদী জংশন
চিলাহাটি-
দর্শনা লাইন
সূত্র: বাংলাদেশ রেলওয়ে মানচিত্র

ইতিহাস

পাট রপ্তানিকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ লাইন ৫৫ মাইল রেলপথ চালু করা হয় ১৯১৬ সালে। পাবনা জেলা শহরে রেললাইন বাস্তবায়নের দাবীতে ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে ৫ দিন ব্যাপী লাগাতার ভাবে হরতাল পালন করা হয়েছিল। পরে সরকার রেললাইন তৈরীর জন্য ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১২ সালের ৬ নভেম্বরে। ঈশ্বরদী মাঝগ্রাম থেকে পাবনা সদর পর্যন্ত ২৫ কিমি লাইন নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয় ৩৮৯.৫৫ একর। পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ৬২৪.৬ একর মোট ১০১৪.২১ একর। মাজগ্রাম থেকে দাশুড়িয়া, টেবুনিয়া, পাবনা সদর, রাঘবপুর দুবলিয়া, তাঁতীবন্ধ, চিনাখড়া, কাশিনাথপুর হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত । প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৯৮২৮৬.৫৬ লাখ টাকা। অনুমোদিত ১৪৩৬০২.৬৭ লাখ টাকা। ২০১০ সালের ৫ অক্টোবরে একনেকে এ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে ৭৮.৮০ কি.মি নতুন রেলপথ নির্মাণ লুপ লাইন ১০.৮২ কি.মি। এই রেলপথে ৪০ ফুটেরও বেশি বড় সেতু আছে ১১টি। ছোট সেতু ১০৬টি। লেভেল ক্রসিং গেট ৫০টি। ৯টি বি ক্লাস এবং ২টি থার্ড ক্লাসসহ স্টেশন ভবন আছে ১১টি। প্লাটফর্ম ১২ হাজার ৯৬০ বর্গ মিটার। প্লাটফর্ম শেড ২৪৩০ বর্গ মিটার। চুক্তিতে উল্লেখ, কারার লাইট সিগন্যালিংসহ টেলি কমিউনিকেশন সিস্টেম ৮টি স্টেশন। কম্পিউটার বেজড ইন্টারলকিং কালার লাইট সিগন্যালযুক্ত ১টি স্টেশন। এ ছাড়া কার পার্কিং এরিয়া আছে ৫৬৮০ বর্গমিটার। ওভার ব্রিজ ১টি। এপ্রোচ রোড ২৬ হাজার ৪শ বর্গমিটার। ঢালারচর থেকে আরিচা ঘাট রুটে সেতু নির্মিত হলে বিপ্লব ঘটে যাবে রেল যোগাযোগের মানচিত্রে।

উদ্ভোধন

রেল নিয়ে পাবনা শহরবাসীর স্বপ্ন বহুদিনের। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে তৎকালীন সরকার ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী ঈশ্বরদী ও নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঝগ্রাম থেকে পাবনা পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের ফলে প্রকল্পটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এরপর ১৯৭৯ সালে প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়। ভেস্তে যায় পাবনাবাসীর রেলস্বপ্ন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে নতুন করে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে। প্রকল্পর পরিধি বাড়িয়ে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা জেলা সদর হয়ে জেলার বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়।

২০১৩ সালের ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে এক জনসভায় এই রেলপথ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। চার দফা সময় বাড়িয়ে তৈরি হয় মাঝগ্রাম থেকে পাবনা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রেলপথ। ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই পাবনা পুলিশ লাইন মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেলপথ ও পাবনা এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনের চলাচল উদ্বোধন করেন।[2]

স্টেশন তালিকা

মাঝগ্রাম-পাবনা-ঢালারচর লাইনে ১১ টি রেলওয়ে স্টেশন আছে। নিম্নে স্টেশনের নাম উল্লেখ করা হলো:

তথ্যসূত্র

  1. "শনিবার চালু হচ্ছে পাবনা রেলপথ | banglatribune.com"Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১২
  2. "পাবনা স্টেশনে একবেলা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১২
  3. "ট্রেনের জন্য অপেক্ষা ফুরাল ৪৫ বছর পর"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.