মাছের ডিম

মাছের ডিম হচ্ছে মাছ ও মাছজাতীয় কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর গর্ভাশয় থেকে সংগৃহীয় পূর্ণ বিকশিত ডিমইংরেজিতে মাছের ডিমকে Roe বলে। চিংড়ি, স্ক্যালপ ইত্যাদির ডিমকেও রোই বলে। মাছের ডিম দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন রন্ধনশৈলীতে নানা ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। সমুদ্রজাত মাছের ডিম।যেমন লাম্পসাকার, হেক এবং স্যালমনের ডিম থেকে উৎকৃষ্ট পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।[1] মাছের ডিম থেকে ক্যাভিয়ার প্রস্তুত করা হয়।

ইলিশ মাছের ডিম বাঙালি রন্ধনশৈলীতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে

বিভিন্ন দেশে মাছের ডিম

বাংলাদেশ

রুই মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে ভাজি

বাংলাদেশে মাছের ডিমের মধ্যে ইলিশ মাছের ডিমের চাহিদা সব থেকে বেশি। পদ্মার তীরবর্তী মাওয়া ঘাটে ইলিশ মাছের ডিম ভেজে বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশে মাছের ডিম আস্ত ভেজে কিংবা অন্যান্য উপকরণের সংগে ভেঙে রান্না করা হয়। ভোজনরসিক বাঙালিরা উচ্ছে দিয়ে রুইজাতীয় মাছের ডিমের ভাজি খেতে খুব পছন্দ করে।

চীন

চীনের অনেক রাজ্যে কাঁকড়ার ডিম খুব জনপ্রিয়। ক্রাব রোই টোফু জাতীয় খাবারের শীর্ষে কাঁকড়ার ডিম দিয়ে পরিবেশন করা হয়। ইয়েৎসি নদীর নিম্নপ্রবাহ অঞ্চলে চিংড়ির ডিম জনপ্রিয়।

ভারত

ভারতের পূর্বাঞ্চলের উপজাতি প্রধান এলাকায় মাছের ডিম খুবই জনপ্রিয়। এখানকার অনেক স্থানে উন্মুক্ত আগুনে মাছের ডিম পুড়িয়ে খাওয়া হয়। পটল এর মধ্যে মাছের ডিম ভরে রান্না করা পটলের দোলমা খুবই জনপ্রিয়।

পাকিস্তান

সিন্ধু নদ তীরবর্তী সকল এলাকা এবং বিশেষ করে দক্ষিণ পাকিস্তান সিন্ধে পাল্লা মাছের ডিম খুবই জনপ্রিয়। লাল মরিচ বাটা মাখিয়ে মাছের ডিম ভেজে এবং ঘন ঝোলের তরকারী রেঁধে খাওয়া হয়।

তথ্যসূত্র

  1. Roe of Marine Animals Is Best Natural Source of Omega-3 Science Daily, 11 December 2009.(ইংরেজি)

টেমপ্লেট:মাছেরডিম

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.