মাইগ্রেন

মাইগ্রেন (ইংরেজি: Migraine) একধরনের মাথাব্যথা। মাথার একদিকে হয় বলে বিখ্যাত হলেও দুদিকেও হতে দেখা গেছে। যাদের মাইগ্রেন হবার প্রবণতা আছে, তাদের শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য ও কিছু খাবার যেমন চকলেট, আঙুরের রস, পনির ইত্যদির প্রভাবে পুনরায় নতুন করে ভয়ঙ্কর মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। তবে মাইগ্রেনে শুধু মাথাব্যথাই হয় না, তার সঙ্গে আরো কয়েকটি স্নায়বিক উপসর্গ হয়ে থাকে (যেমন কিছু আলো বা শব্দের অনুভূতি)। উপসর্গ অনুযায়ী মাইগ্রেনের মধ্যেও অনেক রকমফের আছে। কারো কারো মতে সেরকম কয়েকটি মাইগ্রেনের উপসর্গ থাকলে মাথা ব্যথা না থাকলেও মাইগ্রেন হয়েছে বলা যেতে পারে।

মনে রাখবেন, উইকিপিডিয়া কোনো চিকিৎসীয় পরামর্শ দেয় না।
মাইগ্রেন
বিশেষত্বস্নায়ুচিকিৎসাবিজ্ঞান উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

"মাইগ্রেন" শব্দের উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ ἡμικρανία (হেমিক্রানিয়া) থেকে, যার অর্থ "মাথার একদিকে ব্যথা"[1]। ἡμι- (হেমি-), "অর্ধেক", এবং κρανίον (ক্রানিয়ন), "খুলি" থেকেই এর সৃষ্টি।[2]

প্যাথোফিজিওলজি

কর্টিক্যাল স্প্রেডিং ডিপ্রেশন-এর অ্যানিমেশন।

ধারণা করা হয়, মাইগ্রেন একধরনের নিউরোভাস্কুলার ডিজঅর্ডার[3][4]। কারণ এই সমস্যা মস্তিষ্কে সৃষ্টি হয় এবং তারপর ধীরে ধীরে রক্তশিরায় ছড়িয়ে যায়।[5] কিছু গবেষক ধারণা করেন, নিউরোনাল বিষয়গুলো অধিকতর প্রভাব ফেলে।[6] অন্যদিকে কয়েকজন মনে করেন রক্তশিরাই মূল প্রভাব ফেলে।[7] কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন এই দুই-ই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।[8] নিউরোট্রান্সমিটার সেরোটোনিন-এর উচ্চস্তরসমূহ, যা ৫-হাইড্রোক্সিট্রিপ্টামিন নামেও পরিচিত, এই ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলে ধারণা করা হয়।[5]

সমাজ ও সংস্কৃতিতে এর প্রভাব

মাইগ্রেন চিকিৎসা খাতের খরচ বাড়িয়ে তোলে ও উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ধারণা করা হয় যে ইউরোপীয় অঞ্চলে এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার। এতে প্রতি বছর €২৭ বিলিয়ন খরচ হয়।[9] যুক্তরাষ্ট্রে এই খরচ প্রায় $১৭ বিলিয়ন।[10] এর প্রায় দশমাংশ খরচ ট্রিপটন-এর কারণে ঘটে।[10] এরমধ্যে $১৫ বিলিয়ন পরোক্ষ খরচ, যার মধ্যে কাজে অনুপস্থিতি একটি অন্যতম বড় কারণ।[10] যারা মাইগ্রেন সহ্য করেও কাজে যায়, তাদের ক্ষেত্রে কার্যক্ষমতা এক তৃতীয়াংশ কমে যায়।[9] ব্যক্তির পরিবারেও এর খারাপ প্রভাব দেখা দেয়।[9]

তথ্যসূত্র

  1. Liddell, Henry George; Scott, Robert। "ἡμικρανία"A Greek-English Lexicon on Perseus
  2. Anderson, Kenneth; Anderson, Lois E.; Glanze, Walter D. (১৯৯৪)। Mosby's Medical, Nursing, and Allied Health Dictionary (4 সংস্করণ)। Mosby। পৃষ্ঠা 998আইএসবিএন 978-0-8151-6111-0।
  3. Bartleson JD, Cutrer FM (মে ২০১০)। "Migraine update. Diagnosis and treatment"। Minn Med93 (5): 36–41। পিএমআইডি 20572569
  4. "How To Diagnose Migraine?"PR Fire (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩
  5. The Headaches Chp. 29, Pg. 276
  6. Goadsby, PJ (জানুয়ারি ২০০৯)। "The vascular theory of migraine – a great story wrecked by the facts"। Brain : a journal of neurology132 (Pt 1): 6–7। ডিওআই:10.1093/brain/awn321পিএমআইডি 19098031
  7. Brennan, KC (জুন ২০১০)। "An update on the blood vessel in migraine"। Current Opinion in Neurology23 (3): 266–74। ডিওআই:10.1097/WCO.0b013e32833821c1পিএমআইডি 20216215 অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  8. Dodick, DW (এপ্রিল ২০০৮)। "Examining the essence of migraine – is it the blood vessel or the brain? A debate"Headache48 (4): 661–7। ডিওআই:10.1111/j.1526-4610.2008.01079.xপিএমআইডি 18377395
  9. Stovner, LJ (জুন ২০০৮)। "Impact of headache in Europe: a review for the Eurolight project"The journal of headache and pain9 (3): 139–46। ডিওআই:10.1007/s10194-008-0038-6পিএমআইডি 18418547পিএমসি 2386850অবাধে প্রবেশযোগ্য অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  10. Mennini, FS (আগস্ট ২০০৮)। "Improving care through health economics analyses: cost of illness and headache"The journal of headache and pain9 (4): 199–206। ডিওআই:10.1007/s10194-008-0051-9পিএমআইডি 18604472পিএমসি 3451939অবাধে প্রবেশযোগ্য অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)

টীকা

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:স্নায়ুতন্ত্রের রোগ টেমপ্লেট:মাথা ব্যথা টেমপ্লেট:Antimigraine preparations

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.