মাইক হুইটনি

মাইকেল রয় হুইটনি (ইংরেজি: Mike Whitney; জন্ম: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৯) নিউ সাউথ ওয়েলসের সারে হিলস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে মাইক হুইটনি অস্ট্রেলীয় টেলিভিশনে কাজ করছেন। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্টএকদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছিলেন।

মাইক হুইটনি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমাইকেল রয় হুইটনি
জন্ম (1959-02-24) ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯
সারে হিলস, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাফাস্ট বোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩১৩)
১৩ আগস্ট ১৯৮১ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭৬)
১৭ মার্চ ১৯৮৩ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই১০ জানুয়ারি ১৯৯৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮০১৯৯৩নিউ সাউথ ওয়েলস
১৯৮১গ্লুচেস্টারশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১২ ৩৮
রানের সংখ্যা ৬৮ ৪০
ব্যাটিং গড় ৬.১৮ ৬.৬৬
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ১৩ ৯*
বল করেছে ২৬৭২ ২১০৬
উইকেট ৩৯ ৪৬
বোলিং গড় ৩৩.৯৭ ২৭.১৫
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৭/২৭ ৪/৩৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ১১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে অংশ নিতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে বারোটি টেস্ট ও আটত্রিশটি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন মাইক হুইটনি। ১৩ আগস্ট, ১৯৮১ তারিখে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লচেস্টারশায়ার দলে থাকাকালীন আঘাতপ্রাপ্ত খেলোয়াড়ের পরিবর্তে সফরকারী অস্ট্রেলীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[1] এরপর তিনি প্রায় ছয় বছর দলের বাইরে ছিলেন।

১৯৮০-এর দশকের শেষার্ধ্ব থেকে ১৯৯০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে তিনি তার সবগুলো খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু জাতীয় দলে থাকাকালীন দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনে ১২ টেস্টের বেশি খেলতে পারেননি। ১৯৯২ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে ১৭ উইকেট পান।[2]

১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলারের মর্যাদা পেয়েছেন।

অবসর

ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর টেলিভিশনে কাজ করছেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনি উইকএন্ডার অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন হুইটনি। এছাড়াও, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগের ধারাভাষ্যকার দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবন ও ভ্রমণ সম্পর্কে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।

২ সেপ্টেম্বর, ২০০২ তারিখে মার্ক টেলর, জন ডাইসন, ফিল এমরি, মাইক হুইটনি ও জিওফ লসনকে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ আজীবন সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.